বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২, ০৫:৩৩ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর পবা উপজেলা নওহাটার তেঘর-বসন্তপুর গ্রামের মাঠে সাংবাদিকের চাষ করা ‘ফাতেমা’ জাতের ধান ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এর প্রায় শীষে পাওয়া গেছে প্রায় ৯শো’টি ধান। দেশে উৎপাদিত প্রচলিত জাতের ধানের চেয়ে এই ধানের ফলন অনেক বেশী।
রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ ও পবা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৌখিন কৃষক সাংবাদিক সরকার দুলাল মাহবুব চাষ করেছেন এই নতুন জাতের ধান। ওই ধান দেখতে এবং কিনতে বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ ভিড় জমাচ্ছে তার ধান ক্ষেতে। সাংবাদিকতার পাশাপাশি নিজের জমিতে আধুনিক চাষাবাদে রয়েছে তার ব্যাপক আগ্রহ।
গতানুগতিক কৃষির পরিবর্তে নতুন জাতের এ ধান উৎপাদনে তিনি সাফলতার স্বপ্ন দেখছেন। লাভজনক হওয়ায় তার মতো এলাকার অনেকেই এখন নতুন এ জাতের ধান চাষের জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তবে কৃষিবিদদের উদ্ভাবিত এবং প্রচলিত এই ধানের জাত নয় বলে যতেœর পুরোটা নেয়া সম্ভব হয়নি বলে তিনি জানান। এরপরেও অন্যান্য ধানের চেয়ে প্রায় দ্বিগুন ফলন হবে বলে তিনি জানান।
দেখতে ব্রি-২৮ ধানের মতো এর জাতের বৈশিষ্ট্য বলে দুলাল মাহবুব জানান। অন্য ধানের মতোই এ ধানের চাষ পদ্ধতি। আউশ, আমন ও বোরো তিন মৌসুমেই এ ধানের চাষ করা যায়। তবে বোরো মৌসূমে এর উৎপাদন সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। গাছের উচ্চতা প্রায় ৫ফিট যা অন্য ধানের তুলনায় বেশি। গাছগুলো শক্ত হওয়ায় হেলে পড়ে না।
আর এক একটি ধানের শীষে ৫০০-১০০০টি করে ধান পাওয়া গেছে। অন্য সাধারণ ধানের ৫টি শীষের যে ধান হবে এ ধানের একটি শীষে তার সমান ধান হবে। ফলে সাধারণ ধানের তুলনায় ফলন অনেক বেশী হবে। চলতি মৌসূমে তিনি ৪৫ শতাংশ জমিতে এই ধান চাষ করেছেন। ধান অনেকটা পাকা শুরু হয়েছে। ধারণা করছেন ৬০ মণ ধান হবে। এধানে রোগ ও পোকামাকড়ের হার তুলনামূলক কম। এছাড়া চাল খুব চিকন ও ভাতও খেতে খুব সুস্বাদু।