মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ০৫:৫৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক গৃহীত দশটি উদ্ভাবনী উদ্যোগ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। নগরীর মহিষবাথানস্থ কারিতাস অফিস হল রুমে রোববার সকাল ১০ এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির কালচারাল একাডেমির আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন অত্র একাডেমির গবেষণা কর্মকর্তা বেনজামিন টুডু। মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একাডেমির উপপরিচালক কল্যাণ চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির কালচারাল একাডেমির নির্বাহী পরিষদ সদস্য যোগেন্দ্র নাথ সরেন, চিত্তরঞ্জন সরদার, সুসেন কুমার শ্যামদুয়ার, কলেস্তিনা হাঁসদা, মুন্ডুমালা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামেল মার্ডি, সাপাহার বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ভুট্টো পাহান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নারায়নচন্দ্র মুরারী ও নেপাল উরাও।
রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির কালচারাল একাডেমির সংগীত প্রশিক্ষক মানুয়েল সরেন এর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন অত্র একাডেমির সহকারী গবেষণা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহানসহ রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত সঁওতাল, উরাও, মুন্ডা, মাহ্লে, মাহাতো কোল, কডা, গড়াইত ও বর্মনসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আদিবাসী শিক্ষার্থীবৃন্দ।
সভার মুল আলোচক উপপরিচালক কল্যাণ চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর উদ্ভাবনী প্রসংনীয় বিশেষ দশটি উদ্যোগ যেমন- নারীর ক্ষমতায়ন, আশ্রয়ন, শিক্ষা সহায়তা, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, ডিজিটাল বাংলাদেশ, কমিউনিটি ক্লিনিক ও শিশু বিকাশ, বিনিয়োগ বিকাশ, পরিবেশ সুরক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচী ও সবার জন্য বিদ্যুৎ বিষয়ে আলোচনা করেন। সেইসাথে প্রতিটি বিষয়ের উপর আলোচনা করেন তিনি।
আলোচনা তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকার ক্ষমতায় ছিলেন বলে দেশ আজ এতদূর এগিয়ে গেছে। এমডিজি যথাযথভাবে বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করেছে। এই সরকার আগামীতে ক্ষমতায় থাকলে চলমান এসডিজিও ২০৩০ সালের পূর্বেই বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। এছাড়াও ২০৪১ সালের মধ্যে অবশ্যই বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে আলোচনায় উল্লেখ করেন তিনি। পরে উপস্থিত আদিবাসী নেতৃবৃন্দ উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন এবং মতামত দেন।