বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৫ অপরাহ্ন
নিউজ ডেস্ক :
পদ্মা সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে রাতেও গাড়ির দীর্ঘ সারি। অনিয়ম রোধে পরিচালনা করা হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালতও।
পদ্মা সেতু খুলে দেয়ার পর গতকাল রবিবার (২৬ জুন) সকাল থেকেই ভিড় শুরু হয়। দুপুরে কিছুটা কম থাকলেও বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা থেকে রাতেও হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে পদ্মার দুইপাড়ে। টোল প্লাজার কাউন্টারগুলোকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। গাড়ির যানজট এড়িয়ে অনেকে আবার পায়ে হেঁটেও পার হওয়ার চেষ্টা করেন।
এদিকে কেউ কেউ টোল প্লাজা পার হওয়ার পরই আনন্দে বেপরোয়া গতিতে উঠে যাচ্ছেন সেতুতে। ভাড়া করা পিকআপ ভ্যান নিয়ে দলবেঁধেও বেসামাল হয়ে ছুটেছেন সেতু দেখতে।
পদ্মা সেতুতে পায়ে হেঁটে চলা, হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালানোসহ বিভিন্ন বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সতর্ক করা হচ্ছে চালক ও যাত্রীদের।
এদিকে, পদ্মা সেতুর ওপর গাড়ি থেকে নেমে হাঁটাহাঁটি বন্ধে কঠোর হচ্ছে সেতু বিভাগ। সেতুর ওপরে যানবাহন হতে নামা নিষিদ্ধ হলেও অনেকেই তা অমান্য করছেন। এমনকি সেতুতে নেমে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি চুরি ও ক্ষতিসাধনের ঘটনাও ঘটছে বলে জানায় সেতু বিভাগ।
এছাড়া পদ্মা সেতুর রেলিংয়ের নাট খুলে নিয়ে টিকটক ভিডিও তৈরি করে রবিবার এক যুবক আটক হওয়ার পর নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর হচ্ছে সেতু কর্তৃপক্ষ।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক মো. শফিকুল ইসলামের সই করা এক চিঠি ইঞ্জিনিয়ারিং সাপোর্ট অ্যান্ড সেফটি টিমকে পাঠানো হয়েছে। ওই চিঠিতে মূল সেতুর উপরিভাগ এবং মাওয়া-জাজিরা প্রান্তে টহল ও নিরাপত্তা জোরদার করার অনুরোধ জানানো হয়।
চিঠিতে প্রকল্প পরিচালক জানান, সেতুর ওপরে যানবাহন থেকে নেমে হাঁটাহাঁটি নিষিদ্ধ হলেও সেতুতে নেমে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি চুরি ও ক্ষতি করার ঘটনা ঘটছে। সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে অনেক গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি ও মালামাল আছে। এসব জায়গায় মানুষ ঢুকে পড়ে ক্ষতি করছে।