সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন
মোহা: সফিকুল ইসলাম, শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) সংবাদদাতা:
শিবগঞ্জে নতুন জাতের আমের সন্ধান পাওয়া গেছে ।নাম হলে মামুন -৩। স্থানটি হলো জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের ভাতুরিয়া বিল মাঠে। এ জাতের আমের উদ্ভাবক হলেন চককীর্তি ইউনিয়নের কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামের কৃষক লিয়াকত আলির ছেলে মামুন অর রশিদ।
সরজমিনে তার নিজ আম বাগানে গিয়ে কথা হয় তার সাথে। তিনি জানান প্রায় ১০ বছর আগে আমার পিতা মাঠে কাজ করার সময় আঠির চারা দেখতে পেয়ে তা তুলে নিয়ে এসে নিজ বসতবাড়িতে রোপন করেন। দুই বছর পরেই গাছটি কয়েকটি আম ধরে।সে আম গুলো পাকে আষাঢ মাসের শেষের দিকে। আম খেতে অত্যš Í সুস্বাদু হওয়ায় সে গাছে কয়েকটি চারা কার্টিং করে ভাতুরিয়া বিলের মাঠে নিজ জমিতে রোপন করি। কয়েকবছরের মধ্যে দুইবিঘা জমিতে ৩৩ ঝাড় গাছ রোপন করি।
তিনি জানান এ জাতের আেেমর প্রধান বৈশিষ্ট হলো আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জে গুঠি, খীরসাপাত,ন্যাংড়া, গোপালভোগ, মোহনভোগ, বগলাগুঠি সহ বিভিন্ন জাতের আম যখন শেষের পথে, তখন মামুন -৩ আম পাকতে শুরু করে এবং পাকা অবস্থায় বেশ কিছুদিন গাছে থাকলেও ঝরে পড়ে না।তিনি আরো জানান এ জাতের আমের খোসা অত্যন্ত পাতলা, আঠি ছোট, দেখতে অত্যন্ত সুন্দর । রং হালকা কমলা ও লাল। পোকা মাকড়ে আক্রমণ না করায় কোন প্যাকেটিংয়ের প্রয়োজন হয় না। রাসায়নিক বিষ প্রয়োগ করতে হয় না। রাসায়নিক সারে পরিবর্তে ছাগলের মল (লাদি) গরুর শুকনা গোবর, খৈলসহ প্রাকৃতিক সার প্রয়োগ করলেই চলে। মুকুল ধরে মার্চ মাসের শেষের দিকে অর্থাৎ বাংলা চৈত্র মাসে। ঝড়ে এ জাতের আম পড়ে কম।
আমের নামকরণ সম্বদ্ধে তিনি জানান এ আমের জাত সম্পর্কে কেউ কিছু বলতে না পারায় আমি আমার নাম অনুসারে নাম রেখেছি মামুন -৩। ছোট থেকে আমার স্বপ্ন ছিল আমি কৃষি ক্ষেত্রে নতুন কিছু করবো। তাই এটি দিয়েই শুরু করেছি। কয়েকদিন আগে ৪ মণ আম কানসাট আম বাজারে নিয়ে গিয়ে আড়তদারের কাছে দাম চেয়েছিলাম। ৩ হাজার টাকা মন। তারা কোন দাম দর না করেই ৪ মণ আমই ক্রয় করে। বর্তমানে আমার বাগানে এ জাতের ৩৩ ঝাড় গাছে আম আছে। তাতে প্রায় ১শ মণ হবে বলে ধারণা করছি। তাতে প্রায় ৪লাখ টাকা পাবো ইনশাল্লাহ।
খরচ সম্পর্কে তিনি জানান অন্যান্য জাতের আম গাছের চেয়ে এ জাতের আম গাছে পরিচর্যা খরচও কম। এ পর্যন্ত আমি দুই বিঘা জমির ৩৩ ঝাড় আম গাছে প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ করেছি। অন্যান্য আম গাছের পরিচর্যা খরচের চেয়ে অনেক কম।তিনি বলেন এ পর্যন্ত কোন কৃষি অফিসার এখানে আসেনি এবং কোন সহযোগিতা পাইনি। নিজেই টেলিভিষণ, অনলাইন নিউজ পোর্টালও পত্রিকা পড়ে পদ্ধতি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি।
এব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শরিফুল ইসলাম বলেন এ জাতের আম সম্পর্কে আমার জানা নেই। তবে এটি অবশ্যই একটি ভাল উদ্যোগ। আমি দ্রæত তার বাগানটি পরিদর্শন করবো এবং তাকে সবধরনের সহযোগিতা করবো।