মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
নয়ন খানকে ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চায় শিবগঞ্জ উপজেলাবাসী ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মাঠে নেমেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা ঠাকুরগাঁও জেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভা আধুনিক বাংলাদেশের  রুপকার জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার কৃষি বান্ধব সরকার-এমপি গালিব ঠাকুরগাঁওয়ে বালিয়াডাঙ্গীতে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শন অনুষ্ঠিত হয়েছে শিবগঞ্জে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১৫ শিবগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন-সমাপনী অনুষ্ঠিত রানীশংকৈল ডিগ্রি কলেজ মাঠে মুক্ত মঞ্চের শুভ উদ্বোধন জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে জাতীয় দলের পাঁচ নারী ক্রীড়াবিদদের সংবর্ধনা গোপালগঞ্জে নানান আয়োজনের মধ্য পালিত হলো পহেলা বৈশাখ
বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথিগণ ১৯৬৫ থেকে আইনগত ভাবে ডা. উপাধি লেখার অধিকার

বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথিগণ ১৯৬৫ থেকে আইনগত ভাবে ডা. উপাধি লেখার অধিকার

ডা. মো. আব্দুস সালাম (শিপলু) :
বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল, ভুটান সহ বিশ্বব্যাপি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণ নিজ নিজ দেশের আইন অনুযায়ী ডা. উপাধি লিখে আসছে ও বাংলাদেশ বাদে প্রায় সকল দেশে হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কাউন্সিল আছে। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল, ভুটান সহ বিশ্বব্যাপি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের পেশার আইনগত রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটেও ডা. উপাধি লেখা আছে।
বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল, ভুটান সহ বিশ্বব্যাপি হোমিওপ্যাথি রেজি. সনদে ডা. উপাধি লেখা সনদপত্র ও বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথিক আইন ও মাদক নিয়ন্ত্রণ এবং ভেটেরিনারি আইনে যারা চিকিৎসক সে আইনের পাতা।
[১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ (সংসদ) পাসকৃত আইন দ্যা ইউনানী, আয়ুর্বেদিক এন্ড হোমিওপ্যাথিক প্র্যাকটিশনার্স এ্যাক্ট- ১৯৬৫, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক প্র্যাকটিশনার্স অর্ডিন্যান্স ১৯৮৩ এর ৩৩, বাংলাদেশে সামরিক সরকার কর্তৃক সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী ও সপ্তম সংশোধনী তা বাতিল করে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের দেয়া রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীতে গণতান্ত্রিক সরকারের সময় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে পাসকৃত শিরোনাম : “১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ হইতে ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর তারিখ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জারীকৃত কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকর করণ (বিশেষ বিধান) আইন,২০১৩” (২০১৩ সনের ৭ নং আইন ) ২০১৩ সালের ৭নং আইন ২৮ তফসিল বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক প্র্যাকটিশনার্স অর্ডিন্যান্স ১৯৮৩ এর ৩৩, মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ এর ২ এর সংজ্ঞা-১২, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইন-২০১৯ এর ২৩/২, বাংলাদেশে সরকার স্বীকৃত হোমিওপ্যাথি ডিএইচএমএস পাসকৃতদের ডা. হিসাবে চিকিৎসক রেজিস্ট্রেশন সনদপত্র ছক ফরম এর প্রজ্ঞাপন Bangladesh Homoeopathic Practitioners Ordinance, 1983 আইন অনুযায়ী গণতান্ত্রিক সরকারের সময় মহামান্য রাষ্ট্রপতির ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে আদেশক্রমে জারিকৃত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ১৯৯৮ এর সংশোধিত প্রজ্ঞাপন গেজেট আইন নম্বর ২০৭। বিধিবিধান সহ সরকার কর্তৃক বিভিন্ন সময় জারিকৃত বিভিন্ন প্রজ্ঞাপন/অফিস আদেশ/স্মারকপত্রের আলোকে সরকার স্বীকৃত হোমিওপ্যাথিক ডিগ্রিধারী রেজিস্টার্ড চিকিৎসকগণ ডা. উপাধি লিখে আসছে]।
১। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণ ডা. উপাধি লেখার সপক্ষে সরকারি আইন, নথি/ডকুমেন্ট ও লিংক সমূহ :
=================================
(১) বাংলাদেশ ও বর্হিবিশ্বে ডা. উপাধি লেখা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক রেজিস্ট্রেশন সনদপত্র সমূহ (সংগৃহীত)। (৩৬টি)।
(২) Bangladesh Homoeopathic Practitioner’s Ordinance, 1983 (Ordi.No.XLI of 1983) পাস ও কার্যকর হয়। তারপর ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে Bangladesh Homoeopathic Practitioner’s Ordinance, 1983 পূর্ণরায় কার্যকর করতে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে পাস হয় শিরোনাম : “১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ হইতে ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর তারিখ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জারীকৃত কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকর করণ (বিশেষ বিধান) আইন,২০১৩” (২০১৩ সনের ৭ নং আইন )।
[২০১৩ সনের ৭ নং আইন ২৮ তফসিল : “Bangladesh Homoeopathic Practitioner’s Ordinance, 1983”]
(৭ পাতা)।
ডাউনলোড লিংক :
(৩) Bangladesh Homoeopathic Practitioner’s Ordinance, 1983 এর ৩৩ ধারা অনুযায়ী হোমিওপ্যাথিগণ “Physician”= ডাক্তার/ডা.। (ইংরেজি ২১ পাতা অধ্যাদেশ এর ১৪ নং ও ১৫ নং পাতা)
(৪) বাংলাদেশে সরকার স্বীকৃত হোমিওপ্যাথি ডিএইচএমএস পাসকৃতদের ডা. হিসাবে চিকিৎসক রেজিস্ট্রেশন সনদপত্র ছক ফরম এর প্রজ্ঞাপন।
Bangladesh Homoeopathic Practitioners Ordinance, 1983 আইন অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জারিকৃত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ১৯৯৮ এর সংশোধিত প্রজ্ঞাপন গেজেট আইন নম্বর ২০৭। (গেজেট ৭ পাতা), “ডাঃ” উপাধি লেখা= গেজেট পাতা নং ৮৫৬২।
(২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে জাতীয় সংসদে পাসকৃত ২০১৩ সনের ৭নং আইন ২৮ তফসিল বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক প্র্যাকটিশনার্স অর্ডিন্যান্স ১৯৮৩ যখাযথভাবে উল্লেখ করে হোমিওপ্যাথিক ডিএইচএমএস ও বিএইচএমএস পাসদের জন্য আরেকটি গেজেট প্রজ্ঞাপন সরকার করা দরকার। হোমিওপ্যাথিক অর্ডিন্যান্স ১৯৮৩ অনুযায়ী হোমিওপ্যাথিক কাউন্সিল না থাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নয় বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের রেজিস্ট্রারকে শুধুমাত্র রেজিস্ট্রেশন সনদপত্র প্রদানের ক্ষমতা দেওয়া আছে)।
(৫) জাতীয় সংসদে পাসকৃত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৬৩ নং আইন) অনুযায়ী সরকার অনুমোদিত হোমিওপ্যাথিক “চিকিৎসক (ডা.)”। গেজেট পাতা নং ১৫০১৭। সংজ্ঞা ২। (১২)।
(৬) জাতীয় সংসদে পাসকৃত বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল ২০১৯ আইন (২০১৯ সনের ১৩ নং আইন) এর ২৩ (২) ধারা অনুযায়ী সরকার অনুমোদিত কোর্সে পাসকৃত ভেটেরিনারিগণ “ডাক্তার (ডা.)” উপাধি ব্যবহার করে আসছে। গেজেট পাতা নং ১৯৬৯৯। ধারা ২৩ (২)।
Website : www.bvc.gov.bd
২। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণ অধ্যাদেশ-১৯৮৩ অধিকার ও বাংলাদেশের সংবিধানে আইনি অধিকার :
=================================
Bangladesh Homoeopathic Practitioner’s Ordinance, 1983 (Ordi.No.XLI of 1983) পাস ও কার্যকর হয়। তারপর ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে Bangladesh Homoeopathic Practitioner’s Ordinance, 1983 পূর্ণরায় কার্যকর করতে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে পাস হয় শিরোনাম : “১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ হইতে ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর তারিখ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জারীকৃত কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকর করণ (বিশেষ বিধান) আইন,২০১৩” (২০১৩ সনের ৭ নং আইন )।
২০১৩ সনের ৭ নং আইন ২৮ তফসিল : “Bangladesh Homoeopathic Practitioner’s Ordinance, 1983” তে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদেরকে আইনি অধিকার দেওয়া আছে। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণ ডা. উপাধি লেখার সপক্ষে সরকারি আইন, নথি/ডকুমেন্ট ও লিংক, বিভিন্ন মামলার রায়/রেফারেন্স সমূহ থাকলেও সরকারি বা দাপ্তরিক কাজে বা আইনি কার্যক্রমে উপস্থাপন ও বুঝানো এবং যথাযথ ভাবে ব্যবহার উপর সফলতা বা ভালো ফলাফল নির্ভর করে।
বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথির সার্বিক উন্নয়নে দ্রুত বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন (প্রস্তাবিত) জাতীয় সংসদে পাস করা ও বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কাউন্সিল (প্রস্তাবিত) গঠন ও কার্যকর করা দরকার। সরকারি কর্মসংস্থান, সরকারি-বেসরকারি হোমিওপ্যাথি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, জাতীয়ভাবে হোমিওপ্যাথিক গবেষণা ইন্সটিটিউট, আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করা দরকার।
“গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান” অনুচ্ছেদ- ১০২ অনুযায়ী মহামান্য বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে যে কোন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা নাগরিক আবেদনক্রমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান এর তৃতীয় ভাগ “মৌলিক অধিকার” অর্পিত অধিকার সমূহ বলবৎ করতে সংবিধান এর ষষ্ঠ ভাগ “বিচার বিভাগ” এর “১ম পরিচ্ছেদ- সুপ্রীম কোর্ট” (“কতিপয় আদেশ ও নির্দেশ প্রভৃতি দানের ক্ষেত্রে হাইকোর্ট বিভাগের ক্ষমতা অনুচ্ছেদ- ১০২”) হতে প্রতিকারের অধিকার রয়েছে।
“গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান” এর তৃতীয় ভাগ “মৌলিক অধিকার” :
(১) মৌলিক অধিকারের সহিত অসমঞ্জস আইন বাতিল অনুচ্ছেদ- ২৬।
(২) আইনের দৃষ্টিতে সমতা অনুচ্ছেদ- ২৭ (সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয়লাভের অধিকার)।
(৩) সরকারি নিয়োগ লাভে সুযোগের সমতা অনুচ্ছেদ- ২৯।
(৪) আইনের আশ্রয়লাভের অধিকার অনুচ্ছেদ- ৩১।
(৫) জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার-রক্ষণ অনুচ্ছেদ- ৩২।
(৬) চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা এবং বাক্-স্বাধীনতা অনুচ্ছেদ- ৩৯।
(৭) পেশা বা বৃত্তির স্বাধীনতা অনুচ্ছেদ- ৪০।
(৮) মৌলিক অধিকার বলবৎকরণ অনুচ্ছেদ- ৪৪।
(সংক্ষিপ্ত)
(তথ্যসূত্র : নথি/ডকুমেন্টস, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান, বিভিন্ন আইন/বিধিমালা/প্রজ্ঞাপন, মতামত)
==================================
লেখক পরিচিতি :
ডা. মো. আব্দুস সালাম (শিপলু)
ডিএইচএমএস (রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ)
এমএসএস (সরকার ও রাজনীতি বিভাগ) এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ।

শেয়ার করুন .....




© 2018 allnewsagency.com      তত্ত্বাবধানে - মোহা: মনিকুল মশিহুর সজীব
Design & Developed BY ThemesBazar.Com