শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মাঠে নেমেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা ঠাকুরগাঁও জেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভা আধুনিক বাংলাদেশের  রুপকার জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার কৃষি বান্ধব সরকার-এমপি গালিব ঠাকুরগাঁওয়ে বালিয়াডাঙ্গীতে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শন অনুষ্ঠিত হয়েছে শিবগঞ্জে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১৫ শিবগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন-সমাপনী অনুষ্ঠিত রানীশংকৈল ডিগ্রি কলেজ মাঠে মুক্ত মঞ্চের শুভ উদ্বোধন জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে জাতীয় দলের পাঁচ নারী ক্রীড়াবিদদের সংবর্ধনা গোপালগঞ্জে নানান আয়োজনের মধ্য পালিত হলো পহেলা বৈশাখ আমতলীতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড নিহত-১, আহত-২
সাম্প্রতিক সময়ে হোমিওপ্যাথি সঙ্কট নিয়ে সংগৃহীত বিশ্লেষণধর্মী মতামত

সাম্প্রতিক সময়ে হোমিওপ্যাথি সঙ্কট নিয়ে সংগৃহীত বিশ্লেষণধর্মী মতামত

ডা. মো. আব্দুস সালাম (শিপলু) :
সাম্প্রতিক সময়ে হোমিওপ্যাথি সঙ্কট নিয়ে সংগৃহীত বিশ্লেষণধর্মী মতামত
বোর্ডের লোকদের মতামত :
১। বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন (প্রস্তাবিত) আইন সুপ্রীম কোর্টে আপীল শুনানি করে রায়ের আগে পাস করতে চায় না বোর্ড! (কারণ সুপ্রীম কোর্টে বোর্ডের আপীল জনস্বার্থে শুনানির জন্য যোগাযোগ ও কাজ করলে ২০২২ সালে সম্ভব, আর স্বাভাবিক ভাবে শুনানি হতে পারে ২০২৬ সালে, সে অনুযায়ী স্বাভাবিকভাবে ২০২৬ সালের দিকে আপীল শুনানি ও তারপর নিষ্পত্তি তথা রায় না হওয়া পর্যন্ত হোমিওপ্যাথিক আইন সংসদ হতে পাস করতে পদক্ষেপ নিতে চায় না বোর্ড, বোর্ডের লোকদের মতামত যদি আপীল দ্রুত শুনানি করে বোর্ড যদি আপীল মামলায় পরাজিত হয়)।
২। বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন (প্রস্তাবিত) এমুহূর্তে আইন মন্ত্রণালয় হতে মন্ত্রীপরিষদ হয়ে জাতীয় সংসদে উল্থাপন ও পাস করতে চায় না বোর্ড! (কারণ যদি সুপ্রীম কোর্টের আপীলের রায়ের আগে সংসদে আইন পাসের জন্য উল্থাপন হয় সংসদ সদস্যরা সুপ্রীম কোর্টের আপীল আছে বলে বাঁধা দিতে পারে, তারপরও পাস করতে চাইলে হাইকোর্টের রায়ে ডা. উপাধি বিষয়ে পর্যবেক্ষণ আছে, ফলে ডা. উপাধি ছাড়াই আইন পাস করা হলে হতে পারে, সে রকম আইন বোর্ড নিবেনা, এসময় আইন পাস চায় না)।
৩। হোমিওপ্যাথদের আইন পাস ও ডা. উপাধি বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বোর্ড সাক্ষাত করবেনা! (কারণ বোর্ডের লোকদের মতামত প্রধানমন্ত্রীর নিকট লোক ও এলোপ্যাথি ঔষধ কোম্পানি এবং এলোপ্যাথিরা ফোন করে কাজ থেমে দিতে পারে বা কাজে ক্ষতি করতে পারে। ডা. উপাধি নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে, এজন্য যাবেনা)
৪। বোর্ডের লোকের মতামত বেশকিছু কারণে হোমিওপ্যাথিকদের সুপ্রীম কোর্টে আপীল জনস্বার্থে দ্রুত শুনানি করবেনা, আপীলের শুনানি ও রায়ের আগে সংসদ হতে আইন পাসের উদ্যোগ নিবেনা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করবেনা এ অবস্থায় বোর্ডের বর্তমান ভূমিকা বোর্ডের লোকের মতামত হলো মাঠ পর্যায়ে কোন চিকিৎসক হয়রানি না হয় ও হয়রানি হতে রক্ষা করতে কাজ করবে বোর্ড! (বোর্ডের লোকের মতামত হলো দ্রুত নয় স্বাভাবিকভাবে ২০২৬ সালে সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগে আপীলের স্বাভাবিক শুনানি হতে পারে, তারপর রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করবে, তারপর আইন পাস করবে, আর এখন হতে যারা মাঠ পর্যায়ে হয়রানি শিকার হবে তাদেরকে রক্ষা করে দায়িত্ব-কর্তব্য দেখাবে বোর্ড)
মাঠ পর্যায়ে হোমিওপ্যাথি ডাক্তারদের মতামত :
বোর্ড কোন কাজ করবেনা। বোর্ড আছে নতুন কলেজ অনুমোদন বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্য, ভর্তি বাণিজ্য, সরকারি অর্থে বিদেশ সফর। নতুন হোমিওপ্যাথি আইন পাস ও হোমিওপ্যাথিক কাউন্সিল গঠন হলে অনেক রকম বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে বোর্ড আইন পাস ও হোমিওপ্যাথিক কাউন্সিল গঠনের মত ভালো কিছু চাইবেনা। হোমিওপ্যাথিক’রা আন্দোলন করতে পারে, তা আদালতের রিরুদ্ধে নয়, যারা কোর্স করিয়েছে, যারা সার্টিফিকেট প্রদান করেছে, যারা ডা. উপাধি লিখতে অধিকার দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার অধিকার রয়েছে হোমিওপ্যাথিদের, এমনকি সুপ্রীম কোর্টে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক তার সে সকল মৌলিক অধিকার পেতে বা অধিকার ফিরে পেতে বা আদালত হতে নির্দেশ বা আদেশ নিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান এর অনুচ্ছেদ ১০২ অনুযায়ী যে কোন সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তি পেশা, জীবিকার অধিকার, উচ্চ শিক্ষা অর্জনের অধিকারসহ সংবিধানের অন্যান্য অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে রীট করার অধিকার রাখে। রীটে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন (প্রস্তাবিত) অবিলম্বে জাতীয় সংসদে পাস করা, হোমিওপ্যাথিক কাউন্সিল গঠন ও হোমিওপ্যাথিদের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন ও গবেষণা ইন্সটিটিউট এবং সরকারি-বেসরকারিভাবে হোমিওপ্যাথি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার নির্দেশ চাইতেও পারবে।
“গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান” অনুচ্ছেদ- ১০২ অনুযায়ী মহামান্য বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে যে কোন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা নাগরিক আবেদনক্রমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান এর তৃতীয় ভাগ “মৌলিক অধিকার” অর্পিত অধিকার সমূহ বলবৎ করতে সংবিধান এর ষষ্ঠ ভাগ “বিচার বিভাগ” এর “১ম পরিচ্ছেদ- সুপ্রীম কোর্ট” (“কতিপয় আদেশ ও নির্দেশ প্রভৃতি দানের ক্ষেত্রে হাইকোর্ট বিভাগের ক্ষমতা অনুচ্ছেদ- ১০২”) হতে প্রতিকারের অধিকার রয়েছে।
“গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান” এর তৃতীয় ভাগ “মৌলিক অধিকার” : (১) মৌলিক অধিকারের সহিত অসমঞ্জস আইন বাতিল অনুচ্ছেদ- ২৬, (২) আইনের দৃষ্টিতে সমতা অনুচ্ছেদ- ২৭ (সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয়লাভের অধিকার), (৩) সরকারি নিয়োগ লাভে সুযোগের সমতা অনুচ্ছেদ- ২৯, (৪) আইনের আশ্রয়লাভের অধিকার অনুচ্ছেদ- ৩১, (৫) জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার-রক্ষণ অনুচ্ছেদ- ৩২, (৬) চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা এবং বাক্-স্বাধীনতা অনুচ্ছেদ- ৩৯, (৭) পেশা বা বৃত্তির স্বাধীনতা অনুচ্ছেদ- ৪০, (৮) মৌলিক অধিকার বলবৎকরণ অনুচ্ছেদ- ৪৪ সহ অন্যান্য অনুচ্ছেদ।
সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এএমসি কর্তৃক কম্পাউন্ডার পদের নিয়োগ স্থগিতের জন্য হোমিওপ্যাথিগণ হাইকোর্টে রীট করেছে, নিয়োগ ৬ মাসের জন্য স্থগিত। তারা হোমিওপ্যাথিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষা বিষয়ে ভেবেও কিছু একটা করতে পারবে। আর মাঠ পর্যায়ে হোমিওপ্যাথিকরা হয়রানি শিকার হলে জেল বা জরিমানা হলে সারাজীবনের সম্মান এক নিমিষেই শেষ, সংবাদ প্রচার হয়ে থাকে আর কি সম্মান ফিরে আসে? বোর্ডের শান্তনা, কাজ করছে, সভা করছে এ নাটকের দৃশ্য মাঠ পর্যায়ে হোমিওপ্যাথরা দেখে দেখে আসবে?
হোমিওপ্যাথিদের দুঃখ ও কষ্টের শেষ কোথায়?
বাহানা বোঝা দায়?
লেখক পরিচিতি :
ডা. মো. আব্দুস সালাম (শিপলু)
ডিএইচএমএস (রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ)
এমএসএস (সরকার ও রাজনীতি বিভাগ) এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ।

শেয়ার করুন .....




© 2018 allnewsagency.com      তত্ত্বাবধানে - মোহা: মনিকুল মশিহুর সজীব
Design & Developed BY ThemesBazar.Com