রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:০৮ অপরাহ্ন
মালিতে শান্তিমিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশের ১৪০ পুলিশ সদস্য জাতিসংঘ শান্তিপদক পেয়েছেন। তারা বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশ ইউনিট-২ (রোটেশন-৪)-এ কর্মরত আছেন।
মালিতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মিনুসমা ম্যান্ডেট বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতিস্বরূপ তাদের পদক দেওয়া হয়।
সোমবার এক অনুষ্ঠানে মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের পুলিশ প্রধান জেনারেল বেটিনা প্যাট্রিসিয়া বুগানি তাদের পদক দেন।
মিনুসমা হেডকোয়ার্টার্সের এফপিইউ কো-অর্ডিনেটর হাম্মানজাবু স্যামুয়েল, তিন্বুক্তো রিজিয়নের রিজিওনাল কমান্ডার সানাও দিওফ, রিজিওনাল আ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার, ডেপুটি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল জাবেদ আসলাম ও মিলিটারি কন্টিনজেন্টের কমান্ডাররা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও স্থানীয় প্রশাসন, মেয়র ও জনপ্রতিনিধিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মনোমুগ্ধকর প্যারেড প্রদর্শনী শেষে বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টের ১৪০ পুলিশ সদস্যকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা পদক দেওয়া হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেটিনা প্যাট্রিসিয়া প্রতিকূল পরিবেশেও সুনামের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে স্থানীয়দের ভালোবাসা ও আস্থা অর্জন করায় প্রশংসা করেন। এছাড়া ব্যানএফপিইউ-২-এর অপারেশনাল কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সেবামূলক কার্যক্রম ও বিভিন্ন মানবিক কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন। শান্তিরক্ষা মিশনে নারী সদস্যদের অংশগ্রহণ এবং তাদের দক্ষতা ও পেশাদারত্বেরও প্রশংসা করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ব্যানএফপিইউ-২ (রোটেশন-৪)-এর কমান্ডার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহিনুর আলম খান বলেন, বাংলাদেশের পুলিশের সদস্যরা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে অত্যন্ত পেশাদারিত্ব ও সাহসিকতার সঙ্গে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছেন। তিনি মিনুসমা কর্তৃপক্ষের সার্বিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।
অনুষ্ঠানে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক ডিসপ্লের পর বৃক্ষরোপণ করা হয় এবং কর্মকর্তাদের মধ্যে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। ব্যানএফপিইউ-২-এর কমান্ডার প্রধান অতিথিসহ অন্য অতিথিদের শুভেচ্ছা স্মারক ও উপহার প্রদান করেন।