রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:২৩ অপরাহ্ন
রাজশাহী প্রতিনিধিঃ পুকুর ভরাট বন্ধ এবং ভরাট হওয়া পুকুর পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা ও সংরক্ষনের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশ থাকলেও তা উপেক্ষা করে ভূমিদস্যুরা পুকুর ভরাট করে চলেছে।
বেশকিছু পুকুর রাতের আঁধারে ভরাট করার জন্য ওঁতপেতে রয়েছে। এবার তাদের নজর পড়েছে নগরীর ২৩/২৪ নং ওয়ার্ড সংলগ্ন আহম্মদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ‘‘মেহেরের পুকুর’’ হিসাবে চিহিৃত পুকুরটি ভরাটের অপতৎপরতা শুরু করেছে।
সিটি কর্পোরেশন সংরক্ষনী দেয়াল তৈরী করার পরও তৎপরতা শুরু হয়। প্রথমে মেয়েদের ঘাটটি ভেঙ্গে ফেলা হয়। একবার বালি ফেলে ভরাট শুরু করলে মহল্লাবাসীর বাধার মুখে তা বন্ধ হয়।
কিছুদিন বন্ধ থাকার পর কৌশলে রাতের আধারে অল্প অল্প করে ময়লা আবর্জনা এনে ফেলা হচ্ছে। পুকুরের পানি ব্যবহারের অযোগ্য করার জন্য ময়লা ফেলা হচ্ছে। এভাবে পুকুর নষ্ট দেখিয়ে রাতারাতি তা ভরাট করার প্রস্তুতি নিয়ে অপেক্ষায় আছে।
এ এলাকায় বিভিন্ন কৌশলে পাঁচ ছয়টি পুকুর জলাশয় ভরাট করা হয়েছে। এখন মেহেরের পুকুরটি এ দুই ওয়ার্ডের মানুষের একমাত্র ভরসা। পদ্মা নদীতে দুইমাস পানি থাকে তারপর পুকরের পানি মানুষের ভরসা। আহম্মেদপুর, বাধের ওপারের সেখেরচক, বাজে কাজলা, পঞ্চবটি এলাকার বাসিন্দারা তা ব্যবহার করে। কোন ভবনে আগুন লাগলে তা নেভানোর মত পানির উৎস্য পাওয়া যাবেনা।
উল্লেখ্য, পুকুর খেকো এইচক্র পাশ্ববর্তী বাসার রোডে একটি পুকুর ভরাট করতে গেলে এলাকাবাসীর বাধার মুখে সরে যায়। সেটিও ভরাট করার অপেক্ষায় ওঁতপেতে আছে।
থানায় মামলা হলেও প্রভাবশালী হওয়ার কারনে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
বোয়ালিয়া ভূমি অফিসের তথ্যমতে ২০১৪ সালে এক হাজারের বেশী পুকুর ছিল। এখন ভরাট হতে হতে দুশোর নীচে নেমে এসেছে। গত আট বছরে আটশো পুকুর ভরাট হয়েছে। নগরী পুকুরশূন্য হতে চলেছে। যার ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে পরিবেশের উপর। এলাকাবাসী গণস্বাক্ষর করে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন।