মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৮ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
নয়ন খানকে ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চায় শিবগঞ্জ উপজেলাবাসী ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মাঠে নেমেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা ঠাকুরগাঁও জেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভা আধুনিক বাংলাদেশের  রুপকার জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার কৃষি বান্ধব সরকার-এমপি গালিব ঠাকুরগাঁওয়ে বালিয়াডাঙ্গীতে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শন অনুষ্ঠিত হয়েছে শিবগঞ্জে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১৫ শিবগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন-সমাপনী অনুষ্ঠিত রানীশংকৈল ডিগ্রি কলেজ মাঠে মুক্ত মঞ্চের শুভ উদ্বোধন জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে জাতীয় দলের পাঁচ নারী ক্রীড়াবিদদের সংবর্ধনা গোপালগঞ্জে নানান আয়োজনের মধ্য পালিত হলো পহেলা বৈশাখ
বিচারকের মানবিকতাই বিচ্ছেদের পর ফের সংসার”সন্তান পেলো পিতামাতা

বিচারকের মানবিকতাই বিচ্ছেদের পর ফের সংসার”সন্তান পেলো পিতামাতা

 

এসএম রুবেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

সন্তানসহ বিচ্ছেদের ৯ মাস পর আদালতে পুনরায় বিয়ে
সাড়ে চার বছরের সংসার জীবনে জন্ম নিয়েছিল ফুটফুটে একটি ছেলে সন্তান। কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর বনিবনা না হওয়ায় স্ত্রীকে ডিভোর্স দেন স্বামী। কিন্তু বাকি থাকা দেনমোহর পরিশোধ হয়নি। এরপর আদালতের শরণাপন্ন হয় ভুক্তভোগী মেয়েটি। মামলা করেন স্বামীর নামে। এরপর দীর্ঘ এক বছর পর আদালত ৩ বছর ৬ মাসের ছেলে সন্তানের কথা ভেবে আবারও তাদের সন্তানের দিকে দেখে বিচারক থমকে যাই ভেবে চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেন বিচারক অবশেষে বিয়ে করিয়ে দিলো আদালতে।

বৃহস্পতিবার (০৯ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক মো.হুমায়ন কবীর পুনরায় বিয়ের সিধান্ত দেন। পরে আদালত কক্ষে দুই পরিবারের লোকজন ও উভয় পক্ষের আইনজীবী সহ উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়৷

দুই পরিবার,কাজী ও আইনজীবী
এডভোকেট রাসেল আহমেদ রনি”রনির উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়৷ জানা যায়,পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে মো.রাকিব আলী ও কর্ণখালী মির্জাপুর গ্রামের মনিরুল ইসলামের মেয়ে পারভীন খাতুনের। পরে তাদের বনিবনা না হওয়ায় প্রায় ৯ মাস আগে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। পরে আদালতে মামলা করেন পারভীন খাতুন।

দীর্ঘদিন ধরে মামলাটি আদালতে চলমান ছিল। আজকে (বৃহস্পতিবার) এনিয়ে বিজ্ঞ আদালত সাক্ষীদের বক্তব্য গ্রহণ করেন। পরে দুই পরিবার ও স্বামী-স্ত্রীর সম্মতি নিয়ে পুনরায় বিয়ের সিধান্ত দিয়েছেন। শিশুটির ভবিষ্যৎ বিবেচনায় নিয়ে ব্যতিক্রমী এই সিধান্ত দেয় আদালত। আদালতের এই সিদান্তের ফলে শিশুটি তার পিতৃস্নেহ ফিরে পাবে। পুনরায় বিয়েতেও আগের দেনমোহর ১ লাখ ৩০ হাজার ১০০ টাকায় রাখা হয়েছে।

ছেলে ও সংসারের মঙ্গল কামনায় সকলের কাছে দোয়া চেয়ে রাকিব আলী বলেন,যা হবার হয়ে গেছে। পূর্বের সবকিছু ভুলে আবারও আমরা নতুন করে শুরু করতে চাই। ডিভোর্স হয়ে গেলেও শুধুমাত্র সাড়ে তিন বছর বয়সী আমার ছেলের দিকে তাকিয়ে ও বিচারকের গভীর পরামর্শে আবারও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলাম৷ আদালতের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকব, এমন সিদ্ধান্ত দেয়ায়। আদালতের এই সিধান্তে দুই পরিবারের সকলেই খুশি আমরা স্বামী স্ত্রী সন্তান সহ।

শেয়ার করুন .....




© 2018 allnewsagency.com      তত্ত্বাবধানে - মোহা: মনিকুল মশিহুর সজীব
Design & Developed BY ThemesBazar.Com