শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:৩৭ অপরাহ্ন
ক্যান্সারের ১১টি লক্ষণ
আরোগ্য হোমিও হল এ আপনাকে স্বাগতম। আশা করছি অপনার ভালই আছে। এখানে আজ সাধারণত ক্যান্সারের ১১টি লক্ষণ নিয়ে আলোচনা করবো। চলেন আলোচনা করা যাক।
ব্যাস্ততার কারণে নিজের শরীরের স্বাস্থ্যের প্রতি অবহেলা আমাদের ক্রেমেই বাড়ে চলছে। অন্যান্য রোগের পাশাপাশি ক্যান্সারে মতো জটিল রোগী সংখ্যা বেড়ে চলছে। ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার শুরুর দিকেই যাতে এই রোগটিকে শনাক্ত করা যায় তার জন্য রোগীর প্রয়োজন সচেতনতা বৃদ্ধি।
স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইটে ক্যান্সারের ১১টি লক্ষণের কথা বলা বলা হয়েছে, তা নিন্মে তুলে ধরা হলো :
লক্ষণ গুলো হলো :
ঘন ঘন জ্বর হওয়া :- আপনার ক্যান্সার শরীরে যদি জেঁকে বসলে স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। এতে করে ঘন ঘন জ্বর দেখা দেয়। দুর্ভাবনার ব্যাপার হলো যে কিছু কিছু ক্যান্সারের শেষ পর্যায়ে এ উপসর্গ ঘন ঘন জ্বর দেখা যায়। তাবে ব্ল্যাড ক্যান্সার বা অন্যান্য ক্যান্সারে প্রাথমিক পর্যায়েই ঘন ঘন জ্বর দেখা দেয় শরীরে।
আকস্মিক ওজন কমে যাওয়া :- যে কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে দ্রুতগতিতে যদি ওজন কমতে থাকে, তবে চিন্তার করণ আছে। অনেক ক্যান্সারই সাধারণত হঠাৎ করেই শরীরের ওজন কমিয়ে ফেলে। তাই শরীরের ওজনের দিকে সব থেকে বেশি খেয়াল রাখতে হবে।
অস্বাভাবিক মাংসপিণ্ড :- আপনি যদি শরীরের যে কোন অংশে অস্বাভাবিক কোন মাংসপিণ্ড দেখতে যায় অথবা মাংস জমাট দেথতে পান কিংবা এ ধরণে পরিবর্তন বুঝতে পারেন তবে সেটা তেমন কিছুরই লক্ষণ, যা আপনার কাছে একিবারেই অনাকাঙ্কিত। এমনকি আপনার শরীরে কোনো পরিবর্তন স্বাভাবিক মনে হলেও তা পর্যবেক্ষণ করুণ, এ ধরণের কোন কিছু দেখলে চিকিৎসককে জানান।
দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি :- রোগী যদি দীর্ঘ সময় ধরে ক্লান্তিবোধ করেন অথবা অবসাদে ভোগে তবে সেটা অনেক রোগেরই কারণ হতে পারে, হতেও পারে ক্যান্সার। মলাশয়ের ক্যান্সার অথবা রক্তে ক্যান্সার হলে সাধারণত এমন লক্ষণ দেখা যায়। তাই আপনি যদি স্বাভাবিক মাত্রার যেয়ে বেশি ক্লান্তবোধ করেন বা দীর্ঘ সময় ধরে ক্লান্ত থাকেন, অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে যান, সেবা নিন।
দীর্ঘদিনের ব্যথা :- দৃশ্যত কোন কারণ (যেমন- জখম-আঘাত) ছাড়া যদি কোনো রোগী দীর্ঘদিন ধরে শরীরের কোনো স্থানে ব্যথায় ভেগেন, তবে তাতে ঔষধ কাজ না করলে এ নিয়ে চিন্তার করণ আছে। শরীরের কোন জায়গায় ব্যথা করছে তার ওপর নির্ভর কর রোগী ব্রেইন টিউমারের আক্রান্ত নাকি ডিম্বাশয়, বায়ুপথ অথবা মলাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত।
ত্বকের পরিবর্তন :- বেশি ভাগ মানুষ ত্বরের ক্যান্সারের ব্যাপারে সচেতন না। ত্বকে অস্বাভাকি পরিবর্তন এমন ক্যান্সার শনাক্ত করা খব সহজ উপায়। তাই ত্বকে অতিরিক্ত তিল বা ফ্রিকেল অথবা আঁচিলের দিকে খেয়াল রাখেন। যদি এর রং আকারের চেয়ে অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখা যায়, তবে যত দ্রæত সম্ভব চিকিৎসকের শরাণাপন্ন হোন। ত্বক লালচে হয়ে যাওয়া, ফুস্কুড়ি পড়ে যাওয়া অথবা রক্তক্ষরণ ও অণ্যান্য ক্যান্সারের লক্ষণ।
দীর্ঘস্থায়ী কাঁশি :- আপনি যদি দেখেন যে ঔষধ সেবনের পরও কাশি কোনো মতেই ভাল হচ্ছে না, তবে শীতকালীন কাশির চেয়েও এটা বেশি কিছু হতে পারে। আর এ কাশি কারণে যদি আপনার বুক, পিঠ বা কাঁধে ব্যথা করে, তবে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মল-মুত্রত্যাগের অব্যাসে পরিবর্তন হওয়া :- যদি মল বা মুত্রত্যাগের জন্য ঘন ঘন শৌচাগারে যেতে হয় তবে এখানে ক্যান্সার বিষয়টি নিয়ে ভাবনার কারণ আছে। এটি ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য ও মলাশয়ের ক্যান্সারের লক্ষণ। মুত্রত্যাগের সময় অন্ত্রে ব্যথা বা রক্তক্ষরণ মুত্রথলির ক্যানসারের লক্ষণ।
অকারণে রক্তক্ষরণ :- যদি কাশির সময় রক্ত ক্ষরণ হয়, তবে এটা ক্যান্সারের সব থেকে বড় লক্ষণ। এছাড়া নারীর অঙ্গ (ভ্যাজিনা) বা মলদ্বার থেকে রক্তক্ষরণসহ এ ধরনের অন্যান্য অস্বাভাবিককতা ক্যান্সারের লক্ষণ।
খাবার গ্রহণে সমস্য : কোন ব্যাক্তি যদি খাবর খেলেই যদি তার নিয়মিত বদহজম হয়, তবে পেট, কন্ঠনালী বা গলার ক্যান্সার নিয়ে ভাবনার বিষয় রয়েছে। অবশ্য সাধারণত এসব লক্ষণকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয় না। তবু যে কোন অসুস্থতাকে কখনো এড়িয়ে যেতে নেই।
অন্যান্য উপসর্গ :- বেশিভাব ক্ষেত্রেই উপরে উল্লিখিত লক্ষণ গুলোকে ক্যান্সারের সাধারণ লক্ষণ মনে করা হয়। তবে এর বাইরেও অনেক আরও ক্যান্সারের লক্ষণ আছে । এগুলোর মধ্যে রয়েছে পা ফুলে যাওয়া, শরীরের আকারে বা অনুভুতিতে অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখ দিবে ইত্যাদি।
এডমিন বার্তা :- এই ওয়েবসাইডে প্রকাশিত তথ্যগুলো জ্ঞান আহরণে জন্য। আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।