বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ইসলামী ব্যাংক: ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ২৩ কর্মকর্তা ও ৩ ব্যবসায়ীকে দুদকে তলব দেখভাল কমিটির ভেলকিবাজি! সিংড়ায়য় জোরপূর্বক পুকুর দখলের অভিযোগ সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মি: রেতো সিজফ্রিয়েড রেঙ্গলি-এর বাসভবনে জামায়াত নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ বিদ্যুতের বকেয়া পরিশোধে আরও ৫,০০০ কোটি টাকার বিশেষ বন্ড ছাড়া হচ্ছে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৪৩ হাজার ৩০০ ছাড়িয়েছে বাগেরহাটে বিএনপির সম্প্রতি বহিষ্কৃত এক নেতাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা মালয়েশিয়ায় কৃষক-বিজ্ঞানী সম্মেলনে গেলেন স্বশিক্ষিত কৃষিবিজ্ঞানী নূর মোহাম্মদ হাইমচরে ছাত্রদলের সভাপতিকে কুপিয়ে জখম করলো উপজেলা বিএনপি নেতা রাজশাহীতে ৬ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ শিবগঞ্জে সাড়ে ১২ হাজার কৃষকের মাঝে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ
রাজশাহীতে আসামির সোয়া লাখ টাকা গায়েব করল পুলিশ

রাজশাহীতে আসামির সোয়া লাখ টাকা গায়েব করল পুলিশ

নিজস্ব প্রতিনিধি :

রাজশাহীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে আসামির বাড়ি থেকে উদ্ধার করা সোয়া লাখ টাকা পুলিশ গায়েব করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আসামির স্বজনদের দাবি, বাড়ি থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছিল ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। তবে জব্দ তালিকায় পুলিশ টাকার অংক দেখিয়েছে মাত্র ১৩ হাজার ৪০ টাকা। বাকি ১ লাখ ১৬ হাজার ৯৬০ টাকা অভিযান চালানো পুলিশ সদস্যরা ভাগবাঁটোয়ারা করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানা পুলিশের একটি দল বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের বহরমপুর এলাকার মো: সেন্টুর বাড়িতে এ অভিযান চালায়। সেন্টু একজন মাদকসেবী বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। পুলিশ সেন্টুর সঙ্গে তার স্ত্রী মিতা পারভীনকেও গ্রেপ্তার করে। পরে ৩০ গ্রাম হেরোইন ও ১০ পিস ইয়াবা বড়ি উদ্ধার দেখিয়ে পুলিশ বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করে। এরপর বিকালে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

মিতা ও সেন্টুর স্বজনদের দাবি, মিতা বেসরকারী সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে বাড়ির কাজ করছিলেন। বাড়িতে তার ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ছিল। পুলিশ এই টাকাও জব্দ করেছিল। কিন্তু মামলার জব্দ তালিকায় মাত্র ১৩ হাজার ৪০ টাকা দেখানো হয়েছে। বাকি টাকা অভিযানে অংশ নেওয়া উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল জলিল এবং সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মজনু মিয়া আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ গ্রেপ্তারকৃতদের স্বজনদের। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোবাইলে কোন মন্তব্য করতে চাননি এএসআই মজনু মিয়া। তিনি কথা বলার জন্য থানায় ডাকেন।

এসআই আবদুল জলিল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্বাক্ষীদের সামনে জব্দ তালিকা করা হয়েছে। সাক্ষীরা সবই দেখেছে। এসব অভিযোগ করে লাভ নেই। থানায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই মামলায় তুষার ও কালাম নামের দুই নির্মাণ শ্রমিককে সাক্ষী করা হয়েছে। অভিযান চালানোর সময় তারা সেন্টুর বাড়িতেই কাজ করছিলেন।

যোগাযোগ করা হলে তুষার বলেন, ঘর থেকে পুলিশ বেরিয়ে বলেছে হেরোইন ও ইয়াবা পাওয়া গেছে। তারপর কাগজে সই নিয়ে তাদের সাক্ষী করা হয়েছে। তবে হেরোইন ও ইয়াবা তিনি দেখেননি। কত টাকা উদ্ধার হয়েছে সেটিও পুলিশ দেখায়নি।

এ বিষয়ে রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএসএম সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সেন্টু মাদক ব্যবসা করে। তার বাড়ি থেকে হেরোইন ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। যে টাকা উদ্ধার হয়েছে সেটিই জব্দ তালিকায় দেখানো হয়েছে। আসামির স্বজনেরা এখন ১ লাখ ৩০ হাজার কেন, পাঁচ কোটি টাকা বলতে পারে। তারা এ কারণে বলছে যেন পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানকে বিতর্কিত করা যায়। তাহলে আর অভিযান হবে না। সুত্র- গণধ্বনি প্রতিদিন।

শেয়ার করুন .....




© 2018 allnewsagency.com      তত্ত্বাবধানে - মোহা: মনিকুল মশিহুর সজীব
Design & Developed BY ThemesBazar.Com