শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মাঠে নেমেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা ঠাকুরগাঁও জেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভা আধুনিক বাংলাদেশের  রুপকার জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার কৃষি বান্ধব সরকার-এমপি গালিব ঠাকুরগাঁওয়ে বালিয়াডাঙ্গীতে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শন অনুষ্ঠিত হয়েছে শিবগঞ্জে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১৫ শিবগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন-সমাপনী অনুষ্ঠিত রানীশংকৈল ডিগ্রি কলেজ মাঠে মুক্ত মঞ্চের শুভ উদ্বোধন জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে জাতীয় দলের পাঁচ নারী ক্রীড়াবিদদের সংবর্ধনা গোপালগঞ্জে নানান আয়োজনের মধ্য পালিত হলো পহেলা বৈশাখ আমতলীতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড নিহত-১, আহত-২
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন স্থগিত করার আহ্বান জাতিসংঘের

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন স্থগিত করার আহ্বান জাতিসংঘের

বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে তুর্ক বলেন, বাংলাদেশি সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী এবং সমালোচকদের গ্রেপ্তার, হয়রানি ও ভয় দেখাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহৃত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন।

তুর্ক বলেন, আমি আবারও কর্তৃপক্ষকে এর (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন) ব্যবহারে অবিলম্বে স্থগিতাদেশ আরোপ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষায় এই আইনের বিধানগুলোতে ব্যাপকভাবে সংস্কার আনার আহ্বান জানাচ্ছি। আমার অফিস এরইমধ্যে এই সংশোধনে সব প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৮ সালে কার্যকর হওয়া এই আইনের অধীনে ২ হাজারেরও বেশি মামলা হয়েছে। যার সর্বশেষ উদাহরণ গত বুধবার গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশের বৃহত্তম দৈনিক প্রথম আলোতে কর্মরত সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামস। তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাকে আটক করা হয় এবং ল্যাপটপ, ফোন ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। তার জামিন আবেদনও খারিজ করে দেয়া হয়। মামলা করা হয় প্রথম আলোর সাংবাদিক মতিউর রহমান ও এক আলোকচিত্রীর বিরুদ্ধেও।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে জীবনযাত্রার ব্যয়-সংকট নিয়ে প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মামলাটি করা হয়। ফেসুবক পোস্টে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে এই আইনের অধীনেই গত ফেব্রুয়ারিতে পরিতোষ সরকার নামে একজনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

তুর্ক বলেন, আমার অফিস জাতীয় নিরাপত্তা আইনের বিধানগুলো সম্পর্কে ক্রমাগত উব্দেগ প্রকাশ করে আসছে। সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, এই আইনের স্বেচ্ছাচারিতা বা অত্যাধিক প্রয়োগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা থাকবে কিন্তু এভাবে গ্রেপ্তার অব্যাহত থাকলে সেটি সম্ভব নয়। এই আইনের সঠিক সংশোধন প্রয়োজন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযুক্তদের মুক্তির লক্ষে সব মুলতবি মামলা পর্যালোচনার জন্য একটি স্বাধীন বিচার বিভাগীয় প্যানেল গঠনেরও আহ্বান জানান হাইকমিশনার।

শেয়ার করুন .....




© 2018 allnewsagency.com      তত্ত্বাবধানে - মোহা: মনিকুল মশিহুর সজীব
Design & Developed BY ThemesBazar.Com