বুধবার, ৩১ মে ২০২৩, ০৩:১০ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক :
পার্বত্য জেলার বান্দরবানের লামা উপজেলায়
ফাইতং ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড সুতাবাদী বটতলী ঘোনা গ্রামের অসুস্থ কৃষক মোহাম্মদ শোয়াইব ৪০ শতাংশ ও একই এলাকার দরিদ্র কৃষক ২০ শতাংশ জমির পাকা বোরে ধান কেটে দিয়েছেন লামায় ফাইতং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে অর্থের কারণে শ্রমিক সংকটে থাকা অসুস্থ দরিদ্র কৃষক মোহাম্মদ শোয়াইব মুখে স্বস্তির হাসি ফুটেছে।
(২৮ এপ্রিল) শুক্রবার দুপুর থেকে বিকালবেলা পর্যন্ত লামা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, শহিদুল ইসলাম সাদনান, সাধারণ সম্পাদক মো.মেহেদী হাসান রনি নির্দেশে ফাইতং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন জয় নেতৃত্বে ইউনিয়ন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসমাইলুল করিম ইউনিয়ন ও বিদ্যালয়, বিভিন্ন ওয়ার্ড ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ধানগুলো কেটে দেন, এই সময় অংশ নেন ফাইতং উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন রাজু, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সমাজ সেবা সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম মুরাদ, আবু সুফিয়ান রাজু, মিজবাহ উদ্দীন মো. ইউনুস,মো. সায়েদ, মো.রাকিব, মো.রিয়াদ,
মো.আব্দুল্লাহ্ মো. তৌহিদ,মো.সায়েম সহ প্রমূখ।
স্থানীয় বাসিন্দা কৃষক লীগের সভাপতি মুহাম্মদ জুবাইরুল ইসলাম (জুবাইর) বলেন, ‘সার, বীজ, সেচ, কীটনাশকসহ কৃষি উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় ৬০ শতাংশ জমিতে ধান ফলাতে অনেক ধার-দেনা হয়ে গেছে অসুস্থ কৃষক মোহাম্মদ শোয়াইব, শ্রমিক দিয়ে ধান কাটা ও মাড়াই করতে আরও অনেক টাকার দরকার হতো। কোনো প্রকার প্রতিদান ছাড়া ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধানগুলো কেটে দিয়েছে। তাদের মতো বাকিরাও যদি এভাবে গরিব কৃষকদের পাশে দাঁড়াতো তাহলে ধান কাটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করা লাগতো না।’
অসুস্থ কৃষক মোহাম্মদ শোয়াইব বলেন, ‘অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে শ্রমিকদের মজুরিও এবার বাড়তি। এদিকে আবার বাইরে থেকে শ্রমিক কম আসায় শ্রমিক সংকটও রয়েছে এবং ঝড় বৃষ্টির শঙ্কায় জমির পাকা ধান ঘরে তোলা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় ছিলাম। এমন সময় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী আমার জমির ধানগুলো কেটে দিয়েছে। তাদের এমন উদ্যোগে ভীষণ খুশি হয়েছি। তাদের জন্য হাত তুলে দোয়া করি।’
ছাত্রলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসমাইলুল করিম বলেন, ‘ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদ ও সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতা উসিং হাই রবিন বাহাদুর, বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পুলু মার্মা, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন মানিক নির্দেশনা অনুযায়ী ইউনিয়ন ওয়ার্ড প্রত্যন্ত অঞ্চলে শ্রমিক সংকটের কারণে পাকা ধান ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকা প্রান্তিক কৃষকদের খোঁজখবর নিচ্ছেন আমাদের নেতাকর্মীরা। চাহিদা অনুযায়ী কৃষকদের সহযোগিতা করা হচ্ছে। ছাত্রলীগ দেশের যে কোনো দুর্যোগ, দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আগামীতেও আমরা সাধারণ মানুষের পাশে থাকব।’
তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই অসহায় মানুষের পাশে আছে। আমরা করুনাকালেও দেখেছি শ্রমিক সংকটে থাকা কৃষকের ধান কেটে দিতে। বর্তমানেও শ্রমিক সংকট রয়েছে। এমন উদ্যোগের জন্য ছাত্রলীগের সবার প্রতি সহযোগীদের জন্য অন্তর থেকে দোয়া রইলো।