বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৪ অপরাহ্ন
সদ্য শেষ হওয়া গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী পরাজিত হলেও দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মনে করেন এতে গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (২৬ মে) বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে ওবায়দুল কাদের এই কথা বলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দেশের সবচেয়ে বড় সিটি করপোরেশন গাজীপুরে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১৬ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা খান। বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা। জাহাঙ্গীরকে সম্প্রতি আওয়ামী লীগ থেকে চিরদিনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। ২০১৮ সালে তিনি নৌকার টিকিটে নগরপিতা নির্বাচিত হন। তবে ২০২১ সালে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়, বরখাস্ত করা হয় মেয়র পদ থেকেও।
গাজীপুরের নির্বাচনে গণতন্ত্রের জয় হয়েছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, বর্তমান সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বিজয়ী হলে দেশের মানুষ যতটা খুশি হতেন, তার চেয়ে বেশি খুশি হয়েছেন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার নির্বাচন হওয়ায়। এজন্য নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানাই, জনগণকে ধন্যবাদ জানাই এবং বিজয়ী প্রার্থীকে অভিনন্দন জানাই।’
বিরোধী দলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি এতদিন মিথ্যাচার করে আসছে এই সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়, সেটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। শেখ হাসিনা ওয়াদা পূরণ করেছেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী হারবে কি না তার চেয়ে বড় কথা হলো গণতন্ত্র জয়লাভ করেছে।’
গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা ও রংপুর সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আগামীতে আরও চারটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও জাতীয় নির্বাচন একইভাবে অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে।’
প্রধানমন্ত্রীকে বিএনপির এক নেতার ‘হত্যার হুমকি’র সমালোচনা করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের একটি মহল দিন রাত শেখ হাসিনার দুর্নাম করে বেড়ায়। তারা শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেয়। শেখ হাসিনা বলেছেন সহ্য করতে। প্রধানমন্ত্রী আজকে আমাদের মাঝে আছেন, তিনি আছেন বলে আমরা আশ্বস্ত হই, মানুষ আস্থা পায়।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশ সঞ্চালনা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন।