শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১২:৩৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কয়রায় পথচারি ও ভ্যান চালকদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও স্যালাইন বিতরন চরফ্যাশনে মেঘনা নদীর তীরে মাটি কাটায় অর্থদণ্ড সোনাগাজীতে সিএনজি অটোরিকশা উল্টে চালক নিহত বাগআঁচড়া নাভারণ ও বেনাপোল সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নে মহান মে দিবস পালিত নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগ প্রতিকার ও নিষ্পত্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন শ্রীমঙ্গলে এক কিশোরকে কুপিয়ে জখম শিবগঞ্জের শাহাবাজ পুর ইউনিয়নে কমিউনিটি পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যস্ততার পরিবর্তে অস্তিত্ব টেকানোর লড়াইয়ে মৃৎশিল্পীদের তৈরি বিভিন্ন পণ্য আটপাড়ায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ আটপাড়ায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী আলী খানের উদ্যোগে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর এএমসি’র ইন্সপেক্টর (হোমিও) পদে নিয়োগেও ডিএইচএমএস’রা ষড়যন্ত্রের শিকার?

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর এএমসি’র ইন্সপেক্টর (হোমিও) পদে নিয়োগেও ডিএইচএমএস’রা ষড়যন্ত্রের শিকার?

কয়েকজন অপরিচিত ডিপ্লোমা পাস পরিচয়দানকারী, মুখোশধারী, সুবিধাবাদী, অপরিচিতি, সম্ভবত বোর্ডের বি টিম, বিএইচএমএস ধারীদের গোপন ষড়যন্ত্র সফল করতে ডিএইচএমএস হোমিওপ্যাথিরা কখনও সরকারি নিয়োগ যাতে না নিতে পারে ডিএইচএমএস’দের যাত্রা ভঙ্গ করতে ০৫ এপ্রিল ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে তারিখে অল্টারনেটিভ মেডিকেল কেয়ার (এএমসি) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী মোট পদ সংখ্যা ৩জন ও পদের নাম ইন্সপেক্টর (হোমিওপ্যাথি) পদে ডিএইচএমএস পাসকৃত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকগণ ১৯ আগস্ট ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকায় এমসিকিউ নিয়োগ পরীক্ষা দিলেও কোন ডিএইচএমএস হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক নিয়োগ ও যোগদান করতে পারেনি?
কয়েকজন অপরিচিত ডিপ্লোমা পাস পরিচয়দানকারী যাদেরকে মাঠ পর্যায়ের ডিএইচএমএস কৃতরা চিনেনা, মুখোশধারী, সুবিধাবাদী, অপরিচিতি, সম্ভবত বোর্ডের বি টিম, বিএইচএমএস ধারীদের গোপন ষড়যন্ত্র সফল করতে ডিএইচএমএস হোমিওপ্যাথিরা কখনও সরকারি নিয়োগ যাতে না নিতে পারে ডিএইচএমএস’দের যাত্রা ভঙ্গ করতে অতিগোপনে তারা হাইকোর্টে রীট করে শুধুমাত্র হোমিওপ্যাথি ডিএইচএমএস’দের নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করে দেয়?
০৫ এপ্রিল ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর অল্টারনেটিভ মেডিকেল কেয়ার (এএমসি) ৩জন ইন্সপেক্টর (হোমিওপ্যাথি) পদ, ৩জন ইন্সপেক্টর (ইউনানি) পদ, ৩জন ইন্সপেক্টর (আয়ুর্বেদিক) পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। পদ গুলোতে আবেদন করার শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসাবে ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি), ডিইউএমএস (ইউনানি), ডিএএমএস (আযুর্বেদিক) কোর্সে ৪ বছর ৬ মাস মেয়াদি পাসকৃত হয়ে চিকিৎসক পেশায় চিকিৎসক রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্ত হতে হবে। স্বাধীনতার ৫০ বছর তথা স্বাধীনতার ৫ দশক পর প্রথম সরকারি নিয়োগ পাবার সুযোগ পেয়েছিল! পরীক্ষার ফলাফল এমসিকিউ লিখিত পরীক্ষার দিনই সন্ধ্যার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এএমসি’র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত করেছিল।
হাইকোর্টে অপরিচিত ও ডিপ্লোমা হোমিওপ্যাথি পরিচয়দানকারী এবং চক্রান্তকারীরা কয়েকজন হাইকোর্টে গোপনে রীট করে নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ দিয়ে শুধুমাত্র ডিএইচএমএস পাসকৃত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের যোগ্যতার (১১ তম গ্রেড) এর “ইন্সপেক্টর (হোমিওপ্যাথি)” পদে ও ৩য় শ্রেণীর কর্মচারি (১৬ তম গ্রেড) এইচএসসি পাস (উচ্চ মাধ্যমিক) যোগ্যতার “কম্পাউন্ডার” পদে নিয়োগ বন্ধ করে দেয়। শুধুমাত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয় ডিএইচএমএস হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকগণ। কিন্তু ইন্সপেক্টর (ইউনানি) ও ইন্সপেক্টর (আয়ুর্বেদিক) পদের ডিইউএমএস ও ডিএএমএস কৃতরা সকলেই ঠিকই নিয়োগপত্র ও যোগদান এবং পদায়ন হয়েছে। তাহলে হাইকোর্টে রীট করে আদালত হতে স্থগিতাদেশ এনে লাভবান কে হলো ও ক্ষতিগ্রস্ত কে হলো? ডিএইচএমএস হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের নিয়োগ বন্ধ করতে সফল ও সুবিধা কারা পেয়েছে?
মাঠ পর্যায়ে সাধারণ ডিএইচএমএস হোমিওপ্যাথি পাসকৃত চিকিৎসকদের বুঝে আসেনা, অপরিচিত মুখোশধারী ও চক্রান্তকারীরা ডিপ্লোমা হোমিওপ্যাথি পরিচয়দানকারী কয়েকজন হাইকোর্টে গোপনে রীট করে (১১তম গ্রেড) ইন্সপেক্টর (হোমিওপ্যাথি) পদে ৪ বছর ৬ মাস মেয়াদী ডিএইচএমএস পাস করে চিকিৎসা পেশার সরকারি রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্ত যোগ্যতায় ও ৩য় শ্রেণীর কর্মচারী (১৬তম গ্রেড) কম্পাউন্ডার পদে ২ বছর মেয়াদি এইচএসসি (উচ্চ মাধ্যমিক) পাসকৃত যোগ্যতায় নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর আদালতের স্থগিতাদেশ কিভাবে করে আনে? ইন্সপেক্টর (হোমিওপ্যাথি) ও কম্পাউন্ডার পদের যোগ্যতা, পদবী, শ্রেণী, বেতন গ্রেড, কাজ, সামাজিক মর্যাদা কখনও এক নয়! তাহলে হাইকোর্টে রীট করে আদালত হতে স্থগিতাদেশ এনে লাভবান কে হলো ও ক্ষতিগ্রস্ত কে হলো? ডিএইচএমএস হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের নিয়োগ বন্ধ করতে সফল ও সুবিধা কারা পেয়েছে?
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর অল্টারনেটিভ মেডিকেল কেয়ার (এএমসি) কেন হাইকোর্টের রীটের বাদীদের বিপক্ষে দৃশ্যমান কোন আইনি লড়াই করেনি? তাহলে কি মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর অল্টারনেটিভ মেডিকেল কেয়ার (এএমসি) এর পদায়নকৃত বিএইচএমএস হোমিওপ্যাথি কৃতরা জড়িত? মাঠ পর্যায়ে হতে বার বার প্রশ্ন উঠছে বাংলাদেশের ডিএইচএমএস হোমিওপ্যাথি ডাক্তারগণ সরকারি নিয়োগে বার বার ষড়যন্ত্রের শিকার কেন? স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর অল্টারনেটিভ মেডিকেল কেয়ার (এএমসি) এর পদায়নকৃত বিএইচএমএস হোমিওপ্যাথি কৃতরা, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এর বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড এর কর্মকর্তা ও পরিচালনা কমিটির বিএইচএমএস ডিগ্রিধারীরা এবং বিএইচএমএস কোর্সের সরকারি হোমিওপ্যাথিক কলেজের কর্মকর্তা ও ছাত্রনেতা এবং প্রাক্তন ছাত্র যারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর/স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে বা প্রেষণে নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মরত তারা জড়িত কিনা? তারা ডিএইচএমএস হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের সঙ্গে গেম বা খেলা খেলছে?
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে বিএইচএমএস হোমিওপ্যাথি, বিইউএমএস ইউনানী, বিএএমএস আয়র্বেদিক পাসকৃত অনেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এএমসি’র নিয়োগ পরীক্ষা উত্তীর্ণ না হতে পেরে যে কোন ভাবে হাইকোর্টে রীট করে আদেশ নিয়ে এসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অল্টারনেটিভ মেডিকেল কেয়ার (এএমসি) সঙ্গে যোগাযোগ করে মেডিকেল অফিসার পদে নিয়োগ ও যোগদান এবং পদায়ন নিচ্ছে? সরকারি এএমসি কর্তৃপক্ষ কি যথাযথভাবে ও জোরালোভাবে দক্ষ আইনজীবী এবং নথিসহ হাইকোর্টে আইনি লড়াই করেছিল? এএমসি আপীল বিভাগে আপীল করেছিল কি? এএমসি সর্বোচ্চ আদালতে আপীল বিভাগে আপীল না করে নিয়োগ দিচ্ছে? প্রথমে প্রকল্পে নিয়োগ পরবর্তীতে যোগাযোগ করে রাজস্বখাতে নিয়োগ? জড়িত অনেকের ভাগ্য খুলে গেছে? বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের ওয়েবসাইট বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছবিসহ তালিকায়ও সম্প্রতি বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ডে সংরক্ষিত সাবেক বোর্ড সদস্যকে দেখা যাচ্ছে বোর্ডে অফিস সহকারী পদে নিয়োগ দিয়েছে? আগে পরিচালনা কমিটির বোর্ড সদস্য এখন বোর্ডের সরকারি চাকুরিজীবী!
ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা সহ বিশ্বব্যাপী ডিএইচএমএস হোমিওপ্যাথি পাসকৃতরা মেডিকেল অফিসার (হোমিওপ্যাথি)/সহকারি মেডিকেল অফিসার (হোমিওপ্যাথি), কম্পাউন্ডার নয়!
ডিএইচএমএস তারা কি কম্পাউন্ডার পদের সমতুল্য?
কম্পাউন্ডার (ডাক্তারের সহায়ক; যিনি চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ঔষধ প্রস্তুত করেন)।
কম্পাউন্ডারদের কর্তব্য হলো চিকিৎসকদের সহায়তা করা৷ ভারতে কম্পাউন্ডারদের নিয়োগ করা হয় যারা স্টেট কাউন্সিল দ্বারা পরিচালিত ফার্মাসিস্ট কোর্সে পাস করেছে। ডিএইচএমএস পাস রেজিস্টার্ড ডাক্তাররা কম্পাউন্ডার হিসাবে কাজ করতে পারে না।
সেই কোন যুগে মিকচার প্রথায় চিকিৎসা দেওয়া হতো সেখান থেকেই সরকারি ডিসপেনসারিগুলোতে কম্পাউন্ডার পদের সৃষ্টি।  compounder ও dispensary শব্দদ্বয় সমার্থক। যে স্থানে বা রুমে ঔষধ তৈরি করে রোগীকে দেওয়া হয় সেটাই  dispensary আর যিনি ঔষধ নির্দিষ্ট অনুপাতে মিশিয়ে রোগীকে দেন তিনিই তো Compounder. তাহলে বাসি যুগের পদ, পদবি, পরিচিতি বহাল রাখা আমাদের কর্তৃপক্ষের চিন্তা চেতনার দৈন্য প্রমাণ করে না কি?
সাধারণত ডাক্তারের সঙ্গে যিনি সহযোগী হিসেবে কাজ করেন তাকে কম্পাউন্ডার বলা হয়ে থাকে এবং বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ রয়েছেন যারা ডাক্তারের সাথে সহায়তাকারী হিসেবে কাজ করে থাকেন। তবে বর্তমান সময়ে চিকিৎসা সেবায় বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন আসার কারণে এই কম্পাউন্ডার বিষয়টি উঠে যাওয়ার পর্যায় চলেছে। ডাক্তারের সহায়তাকারী হিসেবে আপনারা যদি কাউকে মনে করে থাকেন তাহলে অনেক সময় ডাক্তারের সঙ্গে নার্স এরা কাজ করে থাকেন এবং তাদেরকে অনেকে কম্পাউন্ডার বলে বিবেচিত করে থাকেন। কিন্তু নার্স সম্পূর্ণ আলাদা একটি টার্ম অথবা নার্স সম্পূর্ণ আলাদা একটা পেশার নাম। সময় সাপেক্ষে অথবা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে অনেক সময় ডাক্তারদের নার্সেরা সহায়তা প্রদান করে থাকে এবং এক্ষেত্রে তাদেরকে কম্পিউটার বলা যাবে না। তাই কম্পাউন্ডার হলো সেই ব্যক্তি যিনি ডাক্তারের সঙ্গে সব সময় থাকেন এবং ডাক্তার যে ধরনের চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থাপত্র তৈরি করেন অথবা প্রেসক্রিপশন তৈরি করেন সেই প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ তৈরি করা হলো তার প্রধান কাজ। এক্ষেত্রে বর্তমান সময়ে এ ধরনের সিস্টেম বন্ধ হওয়ার উপক্রম বলে এই টার্ম উঠে যেতে চলেছে। আগের দিনে যখন গ্রামে গ্রামে ডাক্তারেরা তাদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করত তখন সেই ডাক্তারের সঙ্গে একজন ব্যক্তিকে রাখা হতো যিনি ডাক্তারের চিকিৎসা পত্র অনুযায়ী ব্যবস্থাপত্র দেখে নিয়ে সে অনুযায়ী ওষুধ প্রস্তুত করতো এবং এক্ষেত্রে অনেক সময় হোমিওপ্যাথি অথবা অ্যালোপ্যাথিক সিস্টেমে কাজগুলো চলত। বর্তমান কম্পাউন্ডার এর পরিবর্তে ফার্মাসিস্ট পদ চলে এসেছে। রোগীরা ফার্মেসী হতে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী রোগীকে ফার্মাসিস্ট ঔষধ প্রদান করে থাকে।
বাংলাদেশের ডিএইচএমএস হোমিওপ্যাথি ডাক্তারগণ সরকারি নিয়োগে বার বার ষড়যন্ত্রের শিকার কেন?
স্বস্থ্য মন্ত্রণালয় হতে ১৪/০৬/২০১২ খ্রিষ্টাব্দে সরকারিভাবে ২য় শ্রেণীর চিকিৎসক কর্মকর্তা (১০ গ্রেড) “সহকারি মেডিকেল অফিসার (হোমিও)” পদে ডিএইচএমএস হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করে রাখে ও ০৫/০৪/২০২২ খ্রিষ্টাব্দে (১১ গ্রেড) “ইন্সপেক্টর (হোমিও)” পদে ডিএইচএমএস হোমিওপ্যাথদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রক্রিয়াকে বাঁধা প্রাপ্ত করে ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক ডিপ্লোমাদের নিয়োগ ও যোগদানের পথ তৈরি করে এবং কোথাও ডিপ্লোমা’দের পরিবর্তে শুধু ব্যাচেলরদের নিয়োগ দেবার চক্রান্ত করে আসছে বা ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) চিকিৎসকদেরকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করে ডিএইচএমএস হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের কে অবমূল্যায়ন ও অবজ্ঞা এবং অমর্যাদা করে ৩য় শ্রেণীর কর্মচারী কম্পাউন্ডার বানাতে চায় তারা আর যাই হোক মনুষ্যত্বের মধ্যে পড়েনা। কোন পদ্ধতির গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে নিয়োগ ও যোগদান প্রক্রিয়া আটকে রাখছে তারা মীরজাফর এর বংশধর নয়তো রাজাকারের বংশধর হবে হয়তো! এমন মীরজাফর ও রাজাকার যুগে যুগে ক্ষতি করবে। তাদেরকে মাঠ পর্যায়ের হোমিওপ্যাথরা চিনেনা। তাদেরও চিহ্নিত করারও সময় এসেছে, কঠোর ব্যবস্থা নেবারও সময় এসেছে।
২০১৩ খ্রিষ্টাব্দ হতে হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের দুর্নীতিবাজ ও সুবিধাদীদের জন্য বার বার সংশোধনের জন্য পড়ে থাকা বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন (প্রস্তাবিত) জাতীয় সংসদে উল্থাপন ও পাস এবং কার্যকর হবে কি? আইনটি পাস ও কার্যকর না হবার কারণে হোমিওপ্যাথদের উচ্চ শিক্ষা ও সরকারি কর্মসংস্থান এবং সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত হচ্ছেনা। বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কাউন্সিল গঠন হচ্ছেনা ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক নিয়ন্ত্রণ এবং হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ গুলোর শিক্ষার মান উন্নয়ন হচ্ছেনা। ডিএইচএমএস হোমিওপ্যাথিক অনেক বিষয় অমীমাংসিত রয়েছে। ফলে সার্বিকভাবে মাঠ পর্যায়ে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
চাটুকারি-সুবিধাবাদীরা ও দুর্নীতিবাজরা এবং নতুন কলেজ স্থাপন ব্যবসায়ী/নিয়োগ বাণিজ্যকারী/ভর্তি বাণিজ্যকারী/কমিশন বাণিজ্যকারী সম্প্রদায় সত্যিই কি কখনও মনেপ্রাণে চেয়েছে হোমিওপ্যাথির সার্বিক উন্নয়নে নতুন হোমিওপ্যাথিক আইন জাতীয় সংসদে পাস ও কার্যকর হোক এবং দেশে হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করে কার্যকর হোক?
‘কতটুকু অশ্রু গড়ালে হৃদয় জলে সিক্ত, কত প্রদীপ শিখা জ্বালাতেই জীবন আলোয় উদ্দীপ্ত, কত ব্যথা বুকে চাপালে তাকে বলি আমি ধৈর্য, নির্মমতা কতদূর হলে জাতি হবে নির্লজ্জ…’।
বাংলাদেশে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়কালে মুজিব নগর সরকারের নির্দেশে ব্যাটল ফিল্ডে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবার স্বাক্ষর রেখেছে দেশের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্রে তার উল্লেখ রয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে রক্তসাগর পাড়ি দিয়ে যখন স্বাধীন এক ভূখন্ড পেয়েছে বাংলাদেশ তখন স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাসস্থান সবকিছুতেই ছিল অপূর্ণতা সেই সময়েও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণ স্বাস্থ্যসেবার দ্বার উন্মুক্ত রাখার মাধ্যমে স্মরণীয় হয়ে আছেন। তারই ধারাবাহিকতায় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে কোটি কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উপকৃত হয়ে আসছে।
বাংলাদেশে ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে সংগঠিত মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাস্থ্য সেবায় হোমিওপ্যাথি ও “হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারদের” (ডা.) অবদান ছিলো উল্লেখযোগ্য [বই/রাষ্ট্রীয় দলিল : বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : পঞ্চদশ খন্ড। পৃষ্টা নং ৯৪…]
“বাংলার ডিএইচএমএস হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকগণের ইতিহাস আমলাতন্ত্র ও বিএইচএমএস কর্তৃক দীর্ঘ কয়েক দশকের শোষণ এবং বঞ্চনার ইতিহাস! বাংলার ডিএইচএমএস হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকগণ হোমিওপ্যাথদের জন্য সুরক্ষা আইন ও ডাক্তার উপাধি ব্যবহার চলমান এবং সরকারি চাকুরী পাবার সহ উচ্চ শিক্ষা অর্জনের অধিকার চায়! দীর্ঘ কয়েক দশকের শোষণ ও বঞ্চনা হতে মুক্তি চায়! বাংলার মাঠ পর্যায়ে ডিএইচএমএস চিকিৎসকগণ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা ও চিকিৎসা পেশায় সম্মান এবং মর্যাদার সঙ্গে মাথা উঁচু করে বাঁচার স্বাধীনতা চায়!”
– ডা. মো. আব্দুস সালাম (শিপলু), বাংলাদেশ।
(তথ্যসূত্র/ডকুমেন্টস/মতামত)
====================================
লেখক পরিচিতি :
ডা. মো. আব্দুস সালাম (শিপলু)
ডিএইচএমএস (রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ)
এমএসএস (সরকার ও রাজনীতি বিভাগ) এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।
(চিকিৎসক, শিক্ষক, কলামিস্ট, কেন্দ্রীয় চিকিৎসক নেতা ও শিক্ষক নেতা, প্রাক্তন সাংবাদিক)
বাংলাদেশ।
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
====================================
অনুলিপি :
ডিএইচএমএস পাস হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের জন্য সরকারি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সমূহ ও নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র। (স্বাধীনতার ৫ দশকেও বাংলাদেশে কোন ডিএইচএমএস পাস হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক কোন সরকারি নিয়োগ পায়নি!)।

শেয়ার করুন .....




© 2018 allnewsagency.com      তত্ত্বাবধানে - মোহা: মনিকুল মশিহুর সজীব
Design & Developed BY ThemesBazar.Com