রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
শিবগঞ্জের শাহাবাজ পুর ইউনিয়নে কমিউনিটি পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যস্ততার পরিবর্তে অস্তিত্ব টেকানোর লড়াইয়ে মৃৎশিল্পীদের তৈরি বিভিন্ন পণ্য আটপাড়ায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ আটপাড়ায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী আলী খানের উদ্যোগে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন ফুলছড়িতে পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ গঠন বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলে স্বর্ণের খোঁজে দিনরাত ইটভাটার মাটি খুঁড়াখুঁড়ি গোদাগাড়ীতে চাঁদাবাজি মামলায় দুই যুবক গ্রেপ্তার নয়ন খানকে ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চায় শিবগঞ্জ উপজেলাবাসী ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মাঠে নেমেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা ঠাকুরগাঁও জেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভা
“বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল” এর পথচলা শুরু

“বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল” এর পথচলা শুরু

“বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল” এর পথচলা শুরু
বাংলাদেশে জনসংখ্যার ৪০% লোক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গ্রহন করে আসছে (বিবিসি বাংলা ও আশা ইউনিভার্সিটি এর যৌথ গবেষণা প্রতিবেদন ২০১৫)। বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথির সার্বিক উন্নয়নে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ (২০২৩ সনের ৬৩ নং আইন) ১৩ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সম্মতিলাভ করায় ১৩ নভেম্বরে ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশ গেজেট প্রকাশিত হয়ে আইনটি সর্বসাধারণের অবগতির জন্য প্রকাশ করেছে গেজেটে উল্লেখ আছে (বাংলাদেশ গেজেট পাতা নং ১৫৯৯৭ হতে ১৬০১৬)। ১৩ নভেম্বর ২০২৩ রাষ্ট্রপতির সম্মতিলাভ (স্বাক্ষর) ও একই তারিখে গেজেট প্রকাশিত হওয়াতে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ তা ১৩ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে জারি ও কার্যকর হয়েছে এবং একই তারিখ হতে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড প্রতিস্থাপিত হয়ে সয়ংক্রিয়ভাবে (Automatically) “বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল” (বাড়ী নং ১৬, রোড নং ১/এ, নিকুঞ্জ-২, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯) হয়েছে। ধরণ : সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান, মন্ত্রণালয় : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বিভাগ : স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, প্রতিষ্ঠান : “বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল (Bangladesh Homoeopathic Medical Education Council)। আইন : বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন, ২০২৩ (Bangladesh Homoeopathic Medical Education Act, 2023)।
আইনের আলোকে বিশ্লেষণ :
বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথির সার্বিক উন্নয়নে ২৩ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ও ০২ নভেম্বর বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে পাসকৃত হয়ে ১৩ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে রাষ্ট্রপতির সম্মতিলাভ এবং ১৩ নভেম্বর ২০২৩ বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশ হওয়াতে ১৩ নভেম্বর হতেই বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ সরাসরি জারি ও কার্যকর হয়েছে। ফলে সে আইনের অধীনে ১৩ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ হতে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড কে “বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল” হয়েছে আইনের ভাষাই এটাই বুঝায়।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে পাসকৃত আইন ১৩ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে রাষ্ট্রপতির সম্মতিলাভ ও গেজেট প্রকাশ। পাসকৃত আইনে প্রকাশিত বাংলাদেশ গেজেটে যদি লেখা থাকতো : “সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে এই আইন কার্যকর হইবে।” [সূত্র : বাংলাদেশ চিকিৎসা শিক্ষা অ্যাক্রেডিটেশন আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ৩০ নং আইন) এর ১। (২), বাংলাদেশ গেজেট পাতা নং ১৩১৬১, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩]
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ (২০২৩ সনের ৬৩ নং আইন) পাসকৃত হয়ে গেজেটকৃত আইনের কোথাও এমন কোন শব্দ বা বিষয় লেখা আছে কি? এধরনের কিছু আইনে লেখা নেই। ফলে বুঝে নিতে হবে ১৩ নভেম্বর ২০২৩ হতে রাষ্ট্রপতির সম্মতিলাভ (স্বাক্ষর) ও একই তারিখে গেজেট প্রকাশিত হওয়াতে অত্যন্ত শক্তিশালী আইন বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ তা ১৩ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে জারি ও কার্যকর হয়েছে এবং একই তারিখ হতে সয়ংক্রিয়ভাবে (Automatically) বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড (বাড়ী নং ১৬, রোড নং ১/এ, নিকুঞ্জ-২, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯) কে “বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল” হয়েছে তথা কার্যক্রম শুরু। ফলে নতুন করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় হতে কোন পরিপত্র বা প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন নেই। তারপরও যদি সাবেক বোর্ড অনুরোধ করে কোন পরিপত্র জারি করে নেয় সেটাও ১৩ নভেম্বর ২০২৩ হতে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ (২০২৩ সনের ৬৩ নং আইন) আইনটি ও বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল কার্যক্রম শুরু হয়েছে সেটাই লিখে দিবে (সূত্র : স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়)। বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইনে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিলে ২ স্তরের পরিষদ (১) নির্বাহী পরিষদ, (২) গভর্নিং বডি, তথা পরিচালনায় জবাবদিহিতা। আইনে রেজিস্ট্রার স্থায়ী পদ (আইন ; ধারা ১৭) তা থাকবেই, তিনি আইন অনুযায়ী কাউন্সিলের নির্বাহী পরিষদ ও গভর্নিং বডির সদস্য-সচিব [আইন : ধারা (৮।(ণ), ১১।(ঝ)]। আইন ও বেশকিছু বিষয় জড়িত থাকায় কাউন্সিলের নির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান ও শিক্ষক এবং সরকার মনোনীত নিবন্ধিত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক প্রতিনিধি ও মহিলা প্রতিনিধি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক মেম্বার/প্রতিনিধি সয়ংক্রিয়ভাবে হয়েগেছে (বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড পরিচালনা কমিটিতে ছিলেন, সেই মেয়াদকাল পর্যন্ত কাউন্সিলের নির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রতিনিধি/সদস্য থাকবেন)। পরবর্তীতে গভর্নিং বডি গঠন হবে সেখানে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ এর মাননীয় স্পীকার এর ০৩ (তিন) জন প্রতিনিধি (মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য) থাকবে সহ অন্যান্যদের নিয়ে প্রেসিডেন্ট-ভাইস প্রেসিডেন্ট সহ পূর্ণাঙ্গ গভর্নিং বডি গঠিত হবে [আইন : ধারা ৮, ৯]। গভর্নিং বডির নিকট নির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান ও রেজিস্ট্রার থাকবে এবং জবাবদিহিতা। [আইন : ধারা ১। (১) (২), ৪। (১) (২), ৮, ৯, ১১, ১২, ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ৪৫। সমূহ]
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ বৈশিষ্ট্য সমূহের মধ্যে অন্যতম কয়েকটি হলো :
(১) হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষায় সরকার স্বীকৃত ডিগ্রি ডিএইচএমএস ও বিএইচএমএস নিবন্ধন এবং নিবন্ধিত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণ (Homoeopathic Doctors) তাদের নামের পূর্বে ডা. পদবী ব্যবহার করতে পারবেন [আইন : ১৯(২), ৭(ক), ২(১৩) ধারা সমূহ]
(২) হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষায় সরকার স্বীকৃত ডিগ্রি ডিএইচএমএস ও বিএইচএমএস চিকিৎসকগন অনুমোদিত বিধি-বিধানের আলোকে স্ব স্ব ক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষার অধিকার পাবেন [আইন : ৭(খ)(গ)(ছ) ধারা সমূহ]
(৩) হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষার উন্নয়নে জাতীয় ভাবে গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও গবেষণার সুযোগ সুবিধার সৃষ্টি করা যাবে [আইন : ১৪(ঠ), ৭(গ) ধারা সমূহ]
(৪) অবৈধ ও ভূয়া ডিগ্রিধারী, নিবন্ধনহীন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণকে আইনের আওতায় শাস্তি প্রয়োগ করা যাবে [আইন : ৩০, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৩৭ ধারা সমূহ]
(৫) হোমিওপ্যাথির উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন ও বিধি-প্রবিধান প্রনয়ন করবে [আইন : ৪৩, ৪৪ ধারা সমূহ]
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল ও কাউন্সিলের বর্তমান চেয়ারম্যান-রেজিস্ট্রার :
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ (২০২৩ সনের ৬৩ নং আইন) এর ১১, ১২, ১৭, ৪৫ ধারা সহ অন্যান্য ধারা-উপধারা অনুযায়ী ১৩ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ হতে বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক নিয়ন্ত্রণ ও শিক্ষা এবং গবেষণা বিষয়ক সর্বোচ্চ ক্ষমতাপ্রাপ্ত তথা সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল। বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল এর নির্বাহী পরিষদে চেয়ারম্যান [সাবেক বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড এর সরকার মনোনীত চেয়ারম্যান] ও নির্বাহী পরিষদের রেজিস্ট্রার [সাবেক বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড এর রেজিস্ট্রার]।
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইনে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিলে ০২ (দুই) স্তরের পরিষদ (১) নির্বাহী পরিষদ, (২) গভর্নিং বডি, তথা পরিচালনায় জবাবদিহিতা। আইনে রেজিস্ট্রার স্থায়ী পদ (আইন ; ধারা ১৭) তা থাকবেই, তিনি আইন অনুযায়ী কাউন্সিলের নির্বাহী পরিষদ ও গভর্নিং বডির সদস্য-সচিব [আইন : ধারা (৮।(ণ), ১১।(ঝ)]। আইন ও বেশকিছু বিষয় জড়িত থাকায় কাউন্সিলের নির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান (সরকার মনোনীত) ও শিক্ষক এবং সরকার মনোনীত নিবন্ধিত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক প্রতিনিধি ও মহিলা প্রতিনিধি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক মেম্বার/প্রতিনিধি সয়ংক্রিয়ভাবে হয়েগেছে (বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড পরিচালনা কমিটিতে ছিলেন, সেই মেয়াদকাল পর্যন্ত কাউন্সিলের নির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রতিনিধি/সদস্য থাকবেন)। গভর্নিং বডি গঠন হবে সেখানে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ এর মাননীয় স্পীকার এর ০৩ (তিন) জন প্রতিনিধি (মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য) থাকবে সহ অন্যান্যদের নিয়ে প্রেসিডেন্ট-ভাইস প্রেসিডেন্ট সহ পূর্ণাঙ্গ গভর্নিং বডি গঠিত হবে [আইন : ধারা ৮, ৯]। গভর্নিং বডিতে নির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান ও রেজিস্ট্রার থাকবে এবং জবাবদিহিতা। [আইন : ধারা ১। (১) (২), ৪। (১) (২), ৮, ৯, ১১, ১২, ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ৪৫। (১)(২)(৩)(ঘ)(ঙ) সমূহ]
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল এর অধিভুক্ত সকল হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজে পরীক্ষা শুরু ও কাউন্সিলের তদারকি :
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল (সাবেক বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড) এর অধিনে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল (সাবেক বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড) স্বীকৃত/অধিভুক্ত বেসরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ গুলোতে ৪ বছর একাডেমির ৬ মাস ইন্টার্ণশীপ মেয়াদি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের কোর্স “ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি (ডিএইচএমএস)” এর বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল (সাবেক বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড) এর অধিন (বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ এর ২৪ অনুযায়ী) কাউন্সিলের নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক পরিচালিত ১৭ নভেম্বর ২০২৩ হতে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল (সাবেক বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড) এর নির্বাহী পরিষদ এর চেয়ারম্যান, মেম্বর/প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ এর উচ্চ পর্যায়ের টিম সহ অন্যান্যরা হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ কেন্দ্র সমূহ পরিদর্শন করে আসছেন [আইন : ধারা ২৪, ২৫]।
সময়ের চাহিদায় ও মাঠ পর্যায় হতে হোমিওপ্যাথদের দাবিতে কাউন্সিল “ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি” ৪ বছর ৬ মাস মেয়াদি কোর্সটি বর্তমানে একাডেমি ৪/৫ বছর ও ইন্টার্ণশীপ ১ বছর করা, অনলাইন আবেদন ও কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহন, বয়স নির্ধারণ, বিজ্ঞান বিভাগ, সেমিস্টার পদ্ধতি, কোর্সের জন্য কাউন্সিলের নিজস্ব পাঠ্যপুস্তক ছাপানো, পার্ট ও ব্যবহারিকের পূর্ণমান বাড়ানো, আসন সংখ্যা নির্ধারণ, ক্লাসে ৭৫% উপস্থিতি ও চূড়ানো পরীক্ষায় অংশগ্রহনে সুযোগে কড়াকড়ি আরোপ, শিক্ষক প্রশিক্ষণ সহ অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহন করতে পারে।
সরকার স্বীকৃত ডিএইচএমএস ও বিএইচএমএস ডিগ্রিধারী হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারদের পেশার নিবন্ধন :
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে পাসকৃত বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ অনুযায়ী বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল হতে ডিএইচএমএস ও বিএইচএমএস পাসকৃতরা ডাক্তারী পেশার রেজিস্ট্রেশন (নিবন্ধন) সনদপত্র পাবেন এবং ডাক্তার “ডা.” পদবি লিখতে পারবেন। বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ এর ধারা : ৪৫।(২)(গ) “নিবন্ধিত, তালিকাভুক্ত বা সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত কোনো হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক বা শিক্ষক এই আইনের অধীন নিবন্ধিত, তালিকাভুক্ত বা সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত বলিয়া গণ্য হইবেন; এবং”।
ফলে ১৩ নভেম্বর ২০২৩ হতে রহিতকরণকৃত Bangladesh Homoeopathic Practitioner Ordinance 1983 অনুযায়ী বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর হোমিও ও দেশজ চিকিৎসা বিভাগ হতে যেসমস্ত ডিএইচএমএস ও বিএইচএমএস হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারগণ ইতিপূর্বে পেশার নিবন্ধিত তারা সয়ংক্রিয়ভাবে (Automatically) বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল এর তাদের তথ্য ফাইল সংরক্ষণ ও তারা নিবন্ধিত বলে গণ্য হবেন। কাউন্সিল সিদ্ধান্তে নিয়ে সরকারি ওয়েবসাইটে তথ্য অন্তর্ভুক্ত হবে ও যাদের চিকিৎসক নিবন্ধনের নবায়ন মেয়াদ উত্তীর্ণ হবে তাদেরটা পরবর্তীতে নতুন করে ইস্যু করবে পারে। আর নতুন ডিএইচএমএস ও বিএইচএমএস পাসকৃত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের নিবন্ধনের জন্য সরাসরি কাউন্সিলের আইন অনুযায়ী কাউন্সিলে আবেদন করতে হবে তা পরবর্তীতে কাউন্সিল সিদ্ধান্ত ও বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অবগত করবে। [আইন : ধারা ১৯(২), ৭(ক), ২(১৩), ৪৫(২)(গ) সমূহ]
ডিএইচএমএস ও বিএইচএমএস এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী কাউন্সিল হতে নিবন্ধিত হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারদের পরিচিতি :
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ এর ধারা “৭। কাউন্সিলের দায়িত্ব ও কার্যাবলি।- কাউন্সিলের দায়িত্ব ও কার্যাবলি হইবে নিম্নরুপ, যথা:-
(ক) হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিষয়ে স্নাতকোত্তর, ব্যাচেলর অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি বা ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি ডিগ্রিধারীদের বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হিসাবে নিবন্ধন;”
এখানে স্নাতকোত্তর, ব্যাচেলর বা ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী একই পদ্ধতির চিকিৎসক বা একই সূত্রে ডাক্তার নামকরণে হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার “ডা.” হিসাবে নিবন্ধিত হওয়ার আইন প্রবর্তিত হয়েছে। হোমিওপ্যাথিক নিবন্ধিত ডাক্তারগণ চিকিৎসা বিজ্ঞানে সরকার স্বীকৃত স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স ডিগ্রি), বিএইচএমএস, ডিএইচএসএম ইত্যাদি নিজ নিজ অর্জিত ডিগ্রি অনুযায়ী প্রাপ্ত রেজিস্ট্রেশন সনদে ডাক্তার “ডা.” হিসাবে পরিচিত থাকবেন। নামের পরে ডিএইচএমএস, বিএইচএমএস ইত্যাদিতে পরিচিত হবেন। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে পাসকৃত অত্যন্ত শক্তিশালী আইনে কাহাকেও সহকারি, কম্পাউন্ডার, ডাক্তার নয় এগুলো হীনমন্যতা বা বাজে বাক্য বলার বা বিদ্রুপ করার কোন সুযোগ আইনে নেই, বরং কাউন্সিলের নিকট আবেদন করে অবগত করলে বিদ্রুপকারিকে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল হতে ডাক্তারী পেশার রেজিস্ট্রেশন সনদপত্র বাতিল বা স্থগিত হতে পারে। [আইন : ধারা ২(১৩), ৭(ক), ১৯(২), ২০(১) সমূহ]
পরিশেষ :
বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথির সার্বিক উন্নয়নে ২৩ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ও ০২ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে অত্যন্ত শক্তিশালী আইন বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ (২০২৩ সনের ৬৩ নং আইন) পাস হয়েছে ও ১৩ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে আইনটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতির সম্মতিলাভ (স্বাক্ষর) করেছে ও ১৩ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে আইনটি বাংলাদেশ গেজেট প্রকাশ হওয়ায় ১৩ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ হতে আর কোন প্রকার কার্যক্রম বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড এর নামে নয়, আইন অনুযায়ী ১৩ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ হতে সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান “বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল” এর নামে হোমিওপ্যাথি বিষয়ক সরকারি সকল অফিসিয়াল কার্যক্রম।
অনেক বাঁধা ও পথ অতিক্রম করে এবং মাঠ পর্যায় হতে নিজের ও সম্মানিত ডিএইচএমএস ডাক্তারদের দীর্ঘ সংগ্রাম এবং সার্বিক সহযোগিতায় স্বাধীনতার পাঁচ দশক পর বৃহত্তর অর্জন “বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন” ও সে আইনে অন্তর্ভুক্ত “বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল”। ০২ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে পাসকৃত হয়ে ১৩ নভেম্বর “বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩” মহামান্য রাষ্ট্রপতির সম্মতিলাভ করার পর ১৩ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশ গেজেট প্রকাশিত হবার পর সরাসরি ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডকে প্রতিস্থাপিত করে বোর্ডের জনবল ও অবকাঠামোতে “বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল” হবার পর অনেকের পছন্দ হচ্ছেনা। বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধে কিছু সংখ্যক বিরোধিতা করা সত্ত্বেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা আটকে রাখতে পারেনি, তেমনি সদ্য ভূমিষ্ট বা সদ্য জন্মগ্রহণ করা বা সদ্য পথচলা সদ্য সাবেক বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডকে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল কে সকলে সার্বিকভাবে যার যার অবস্থান হতে সহযোগিতা করা। কাউন্সিলও অহংকারী না হয়ে সহযোগিতা নেওয়া ও সর্বদা কৃতজ্ঞতা বোধ থাকা। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ এর সাবেক বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের মত বর্তমান “বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল” এর জন্য ভাল কার্যক্রমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং শিক্ষা/আইনি সহ সার্বিক বিষয়ে নথি/ডকুমেন্টস সহ সর্বোচ্চ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে ও পাশাপাশি পাঁচ দশকের শোষিত এবং বঞ্চিত হোমিওপ্যাথদের জন্য মাঠ পর্যায়ে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে ভূমিকা রাখা সম্মানিত ডিএইচএমএস পাসকৃত হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারগণ সর্বদা পাশে থাকবে। বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল সার্বিকভাবে এগিয়ে যাক ও এগিয়ে যাক বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথি।
(বিভিন্ন নথি/ডকুমেন্টস ও মতামত)
লেখক পরিচিতি :
ডা. মো. আব্দুস সালাম (শিপলু)
ডিএইচএমএস (রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ)
(চিকিৎসক, শিক্ষক, কলামিস্ট, কেন্দ্রীয় চিকিৎসক নেতা ও শিক্ষক নেতা, প্রাক্তন সাংবাদিক)
বগুড়া, বাংলাদেশ।
২০ নভেম্বর ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।

শেয়ার করুন .....




© 2018 allnewsagency.com      তত্ত্বাবধানে - মোহা: মনিকুল মশিহুর সজীব
Design & Developed BY ThemesBazar.Com