বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫০ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি :
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে সারাদশে চলছে বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা দলগুলোর হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি। সোমবার (২০ নভেম্বর) ছিল দ্বিতীয় দফা হরতালের দ্বিতীয় দিন। তবে এর মধ্যে নেয়া হচ্ছে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা।
সোমবার সকালে বেশ কয়েকটি স্কুল ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। মহানগরীর কলেজিয়েট স্কুল, প্রমথনাথ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ সব স্কুলে সকাল থেকে শুরু হয়েছে পরীক্ষা। হরতালের মাঝেও এই পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে।
অভিভাবকরা বলছেন, স্কুল থেকে পরীক্ষা না পিছিয়ে নেয়া হচ্ছে। পরীক্ষা পিছিয়ে দিলে শিশুরা ক্ষতিগ্রাস্ত হবেন। তবে আতঙ্কও কাজ করছে। শিক্ষকরা বলছেন, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করার সময়সূচি নির্ধারণ করে দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নির্ধারিত সময়ে ক্লাস ও পরীক্ষা শেষ করতে হচ্ছে।
রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ড. নুরজাহান বেগম বলেন, হরতাল ও অবরোধে সবকিছু স্বাভাবিক থাকায় পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে আবার নতুন শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম। সব শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে।
এদিকে হরতালের দ্বিতীয় দিনেও ছিল যান চলাচল স্বাভাবিক। গণপরিবহনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়িও ছিল চোখে পড়ার মতো। বেলা যত গড়াচ্ছে সড়কে বাড়ছে গণপরিবহনের সংখ্যাও।
মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কর্মজীবী মানুষ প্রতিদিনের মতোই নিজ গন্তব্যে ছুটে চলেছেন। ভোরের দিকে যানবাহন কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে যান চলাচল বাড়ছে। ভদ্রা ও রেলগেট থেকে বাস ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। দূরপাল্লার বাস বিকেল থেকে ছাড়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। দুরপাল্লার বাস কাউন্টারগুলোতে কথা বলে জানা গেছে, হরতালের কারণে মানুষের ভেতরে যে ভয় বা আতঙ্ক সে কারণেই আসলে যাত্রী উপস্থিতি কম। সোমবার বিকেল থেকে দুরপাল্লার গাড়ি ছাড়বে।
মহানগরীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। জনগণের যানমালের নিরাপত্তায় পুলিশ, র্যাব ও বিজিবিসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা যাচ্ছে।