সেঞ্চুরির উদযাপনে বাড়তি কিছু করলেন না লিটন দাস। আবরার আহমেদকে চার মেরে তিন অঙ্ক স্পর্শ করার পর সতীর্থ হাসান মাহমুদের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করার পর এক হাতে হেলমেট ও ব্যাট উঁচিয়ে ধরলেন তিনি।তার আগে অবশ্য লিটনকে একটু দীর্ঘশ্বাস নিতে দেখা গেছে। এই দীর্ঘশ্বাস হয়তো টেস্টে দীর্ঘ ২ বছরের বেশি সময় ধরে সেঞ্চুরি না পাওয়ার।
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে সেই অপেক্ষা ফুরানোর পর হাসিমুখে তাই দীর্ঘশ্বাসকে বাতাসে মিইয়ে দিলেন। সর্বশেষ ২০২২ সালে মিরপুরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। সেদিনের ১৪১ রানের ইনিংসটি তার ক্যারিয়ারসেরাও।মাঝে টেস্টে বেশ কিছু ভালো ইনিংস খেললেও ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরিটা পাওয়া হচ্ছিল না লিটনের। ফিফটি করেই থামতে হচ্ছিল তাকে। প্রথম টেস্টেই যেমন ৫৬ রানে তাকে ফিরতে হয় ড্রেসিংরুমে। তবে এবার তিন অঙ্ক স্পর্শ করেই ছাড়লেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে দীর্ঘ সংস্করণের ক্যারিয়ারে তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ১৭১ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ২৯ বছর বয়সী ব্যাটার। সেটিও আবার বাংলাদেশের কঠিন এক সময়ে। ১২ চার ও ২ ছক্কায় প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১১০ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। বাংলাদেশের রান ৮ উইকেটে ২২৩। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসের চেয়ে এখনো ৫১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ।
এর আগে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে ১৬৫ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে বাংলাদেশকে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে লড়াই করার মতো পুঁজি এনে দিয়েছেন লিটন। সপ্তম উইকেট এই জুটিটা না গড়লে হয়তো প্রথম ইনিংসে ১০০ রানও করতে পারত না বাংলাদেশ। দলীয় ২৬ রানে যে ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল সফরকারীরা।
সেখান থেকে মিরাজকে নিয়ে প্রথম ধাক্কা সামলিয়ে বাংলাদেশ দুই শর ওপরে স্কোর এনে দেন লিটন। বোলিংয়ে ৫ উইকেট নেওয়া মিরাজ ব্যাটিংয়ে করেছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৮ রান। এর আগে মিরাজের ঘূর্ণিতে প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান ২৭৪ রানে অলআউট হয়। বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নেমে খুররাম শেহজাদ ও মীর হামজার পেসের তোপের মুখে পড়ে। যার পরিণতি ২৬ রানে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ‘ফাইফার’ পাওয়া খুররম নেন ৬ উইকেট। বাকি ২ উইকেট নেন হামজা।