বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৭ অপরাহ্ন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরাধীন পিপিআর রোগ নির্মূল ও ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের আওতায় সারা দেশের ন্যায় রাজশাহীর দুর্গাপুরে ছাগল-ভেড়ার বিনামূল্যে ভাইরাসজনিত প্রাণঘাতি পিপিআর রোগ প্রতিরোধে টিকাদান ক্যাম্পেইন চলছে।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ১ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে ভ্যাকসিন দেওয়ার কার্যক্রম। যা চলবে আগামী ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত। উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও সদর পৌরসভায় অভিজ্ঞ ভ্যাক্সিনেটর দ্বারা প্রতিদিন ভোর ৬ টা থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত নির্দিষ্ট কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়ার কার্যক্রম চলছে।
দুই মাসের কম বয়সী, অসুস্থ ও গর্ভবতী গবাদি পশু ব্যতীত সকল ছাগল-ভেড়াকে এই টিকা প্রদান করা হচ্ছে। উপজেলায় মোট ১ লাখ ৩০ হাজার ছাগল ও ১ হাজার ভেড়া বিপরীতে দ্বিতীয় ডজের ৮৫ হাজার টিকা প্রস্তুত রয়েছে। উপজেলায় গড়ে প্রতিদিন ৫ হাজার টিকা প্রদান করা হচ্ছে।
এর আগে, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ১ম ডজের ৯০ হাজার টিকা দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলাজুড়ে উপযুক্ত সকল ছাগল-ভেড়া বিনামূল্যে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে।
দাউদকান্দি এলকার ছাগল খামারি মুস্তাফিজুর রহমান জানান, বর্ষা মৌসুমে ছাগলের পিপিআর রোগ বেশি দেখা দেয়। এই টিকা দিতে গ্রামের ডাক্তার ডাকলে ছাগল প্রতি ১০০ থেকে ২০০ টাকা দেওয়া লাগে। তাদের ডাক্তার ডাকলে নানা তালবাহানা শুরু করে। ৭ অক্টোবর(সোমবার)গ্রামেই বিনামূল্যে পিপিআর রোগের জন্য টিকা দিয়ে নিলাম।
ছাগল খামারি পলাশ বলেন, অধিকাংশ ছাগল পিপিআর রোগে আক্রান্ত হয়। এ রোগের টিকা সময়মতো দিতে না পারলে ছাগল মারা যায়। টিকা দিতে অনেক হয়রানি ও অর্থ ব্যয় করতে হয়। আজ প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে গ্রামের সবাইকে একত্রিত করে বিনামূল্যে টিকা দিয়ে গেছে।
এবিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, গবাদি পশু পালনে পিপিআর রোগের প্রকোপে খামারিদের ব্যাপক লোকসানের সম্মুখীন হন। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর দেওয়া বিনা মূল্যের ভ্যাকসিন প্রতিটি খামারির কাছে পৌঁছে তাদের গবাদি পশুকে দেওয়া হচ্ছে। এই রোগ প্রতিরোধে মাধ্যমে খামারিরা আরো লাভবান হবেন। এগিয়ে যাবে গ্রামীণ অর্থনীতি।