মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২, ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন
অল নিউজ ডেস্ক : প্রায়ই শোনা যায় যে, রাতে ঠিকমত ঘুম হয়না। এই ঘুম না হওয়া মানব জীবনের অন্যমত একটি সমস্যা। কেননা জীবন যতই গতিশীল হচ্ছে ততই মানুষের ঘুম কমে আসছে। এর প্রধান কারন হিসেবে বিশেজ্ঞরা দায়ী করছেন স্মার্ট ফোনকে। কারো কারো আবার ইনসোমনিয়ার কারেণও এই ঘুমের সমস্যা হয়ে থাকে।
আর ঘুম ঠিকমত না হওয়ার ফলে দেখা দেয় নানা প্রকার শারীরিক জটিলতা, মানসিক জটিলতা ও মানসিক অবসাদ। এর পুরো প্রভাবটি পড়ে পরের দিনের কাজের উপর। সারাদিন ঝিঁমুনিভাব, ক্লান্তিতে চোখ বুজে আসে, মন-মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। তবুও জেগে থাকতে হয়, কাজও করতে হয়। জেনে রাখুন পর্যাপ্ত ঘুম না হলে পরদিন যেসব কাজ করবেন:
১। ঘুম কম হলে শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়। সকালে উঠেই একটু ভিন্ন পদ্ধতিতের গোসল সেরে নিতে পারেন। যেমন ধরুন একবার গরম পানিতে গোসল এবং আরেকবার গরম পানিতে গোলস। এতে করে আপনার ক্লান্তি কিংবা ঘুম ঘুম ভাব অনেকাংশেই কেটে যাবে। গোসল করার সময় না পেলে মুখে হালকা ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিতে ভুলবেন না।
২। কম ঘুম মানে মুড অফ ! আর এই সমস্যা রুখতে হলে আপনাকে সূযের্র আলো গায়ে লাগাতে হবে। কেননা সূর্য হতে নির্গত আলোক রশ্মি হতে ভিটামিন ডি পাওয়া যায় ফলে আপনার মুড অন হয়ে যাবে ভিটামিন ডি এর প্রভাবে। ৩। এই কথাটি শুনে হয়ত আপনি একটু অবাক হবেন যে, ঘুম কম হলে সকালের নাস্তায় আইচক্রিম রাখুন। কেননা ঘুম কম হলে মস্তিস্ক পুরোপুরি সক্রিয় করতে আইচক্রিমের তুলনা হয় না। আইচক্রিমের ঠাণ্ডা প্রভাবে আপনার ক্লান্তিভাব অনেকটাই কমে যাবে।
৪। তবে কম ঘুম হলে সকালে ভারি ব্যয়াম করার প্রয়োজন নেই। হালকা ব্যয়মই যথেষ্ঠ। যেমন: ৩০ মিনিট হাঁটুন। এই হালকা ব্যায়ামের ফরে না ঘুমানোর সকল ক্লান্তি দূর হয়ে আপনার মন মেজাজ হয়ে উঠবে ফুরফুরা। ৫। ঘুম কম হলে ভুলেও সকারে চা কিংবা কফির মত পানিয় পান না করাই উত্তম। কেননা কম ঘুমানোর ফলে এই জাতীয় পানি পান করলে সাময়িক হয়ত আপনাকে আরাম প্রদান করবে কিন্তু এই অভ্যাস গড়ে তুললে আপনার দীর্ঘ মেয়াদী ঘুমের সমস্যা হবে। তাই চা, কফি পান করা হতে বিরত থাকুন।
৬। রাতে যদি ঠিকমত ঘুম না হয় তার যে কুপ্রভাব পুরোটাই পড়ে পরদিনের কর্ম ক্ষেত্রে। কাজ করতে বসলেই যেন ঘুম পায়। তবে এসময় ঘুম পেলে অল্প সময়ের জন্য খোলা আকাশের নিচে হাঁটতে পারেন। এতে করে ঘুৃমের ঝুমুনীভাব থাকবে না। ৭। ঘুম না হলে অল্প কাজকেও অনেক বেশি মনে হয়। তাই প্রতিদিনের কাজের রুটিন করে ফেলুন। গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো প্রথমের সারিতে রাখুন। তাহলে অতি সহজেই আপনার কাজগুলো শেষ করে ফেলতে পারবেন।
৮। দিনে লম্বা সময় ঘুমানোর প্রয়োজন নেই। আপনার ঠিক যেসময়টাতে ঘুম পায়ে সেসময়ে একটু চোখ বুঝে ঘুমিয়ে নিতে পারেন। বিশেষ করে দুপুরের খাওয়ার পর ঘুমালে বেশ কাজে দেয় শরীরকে । তবে বেশি নয় ২০ হতে ৩০ মিনিট ঘুমাবেন। আর এই ঘুমকে পাওয়ার ন্যাপ বা ভাত ঘুম বলে। ৯। সর্বপরি রাতে ঘুমাতে যাবার আগে কমপক্ষে ২ ঘণ্ট স্মার্ট ফোন ব্যবহার করা হতে বিরত থাকুন। কেননা এই স্মার্ট ফোনের নীল আলো আপনার ঘুমের ব্যঘাত বেশি ঘটায়।