বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০২ অপরাহ্ন
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ কী কারণে বন্ধ করা হলো, তা স্পষ্ট নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চাই না। তবে অতীতে কখনো এরকম নজিরবিহীন কিছু ঘটেছে বলে জানা নেই।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর বসিলায় এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত কতটা বাস্তবসম্মত ও আইনসম্মত, তা ভেবে দেখার জন্য ইসিকে অনুরোধ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা থেকে ৫১টি কেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রিসাইডিং অফিসাররা। তা ইসি করতে পারেন। কিন্তু ঢাকায় বসে গোপন বুথের ছবির ভিত্তিতে বন্ধ করা কতটা যৌক্তিক, বাস্তবসম্মত ও আইনসম্মত, তা ইসিকে ভেবে দেখার অনুরোধ করছি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশে ১৪৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫১টির ভোট বন্ধ করেছেন প্রিসাইডিং অফিসাররা। কিন্তু বাকি কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসাররা একবাক্যে বলেছে, ভোট সুষ্ঠু হয়েছে। কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি।
উল্লেখ্য, বুধবার (১২ অক্টোবর) অনিয়মের অভিযোগে গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের উপনির্বাচন স্থগিত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোট পর্যবেক্ষণের মনিটরিং সেলে বসে উপনির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে দুপুর ২টার পর তিনি নির্বাচন স্থগিতে বিষয়টি তিনি সাংবাদিকদের জানান।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আগে ৫১টি কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এরপরেই আমরা গাইবান্ধা ৫ আসনের পুরো অঞ্চলে ভোট কর্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি। কাজেই সেখানে এখন আর ভোট হচ্ছে না। পরবর্তীতে আমরা দেখব বিধিবিধান অনুযায়ী কী করা যায়।
প্রসঙ্গত, গত ২২ জুলাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। এর দুই দিন পর তার সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়।