শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪৮ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
শিবগঞ্জের শাহাবাজ পুর ইউনিয়নে কমিউনিটি পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যস্ততার পরিবর্তে অস্তিত্ব টেকানোর লড়াইয়ে মৃৎশিল্পীদের তৈরি বিভিন্ন পণ্য আটপাড়ায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ আটপাড়ায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী আলী খানের উদ্যোগে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন ফুলছড়িতে পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ গঠন বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলে স্বর্ণের খোঁজে দিনরাত ইটভাটার মাটি খুঁড়াখুঁড়ি গোদাগাড়ীতে চাঁদাবাজি মামলায় দুই যুবক গ্রেপ্তার নয়ন খানকে ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চায় শিবগঞ্জ উপজেলাবাসী ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মাঠে নেমেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা ঠাকুরগাঁও জেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভা
কোথায় হবে DHMS হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের রেজিষ্ট্রেশন, জানতে চান শিক্ষার্থীরা

কোথায় হবে DHMS হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের রেজিষ্ট্রেশন, জানতে চান শিক্ষার্থীরা

হোমিওপ্যাথিক বোর্ডকে প্রতিস্থাপিত করে হোমিওপ্যাথিক কাউন্সিল, তা না করে হোমিওপ্যাথিক ডিপ্লোমাদের বাদ দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ব্যাচেলরদের নিয়ে অবৈধভাবে হোমিওপ্যাথিক, ইউনানি ও আযুর্বেদিক যৌথ কাউন্সিল?
১৯ জুন ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে মন্ত্রীপরিষদ সভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ডকে প্রতিস্থাপন করে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কাউন্সিল করার সিদ্ধান্ত আইনে অন্তর্ভুক্ত করে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ (প্রস্তাবিত) চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়।
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ (প্রস্তাবিত) যা জাতীয় সংসদে উল্থাপন ও পাস হলে আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডকে প্রতিস্থাপিত করে এককভাবে শুধুমাত্র হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কাউন্সিল, শুধুমাত্র হোমিওপ্যাথিক ডিএইচএমএস ও বিএইচএমএস’দের চিকিৎসকদেরকে চিকিৎসক রেজিষ্ট্রেশন প্রদান করার অধিকার পাবে, কিন্তু বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে আইন পাস ছাড়া হোমিওপ্যাথি বোর্ডের পরিবর্তে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর অল্টারনেটিভ মেডিকেল কেয়ার (এএমসি) ও হোমিও ও দেশজ চিকিৎসা বিভাগ অবৈধভাবে ডিপ্লোমাদের পরিবর্তে শুধুমাত্র ব্যাচেলর ডিগ্রি বিএইচএমএস, বিইউএমএস, বিএএমএস কৃতদেরকে হোমিওপ্যাথিক, ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল রিজিস্ট্রেশন কাউন্সিল (যৌথ কাউন্সিল) ও চিকিৎসক রেজিস্ট্রেশন এবং ওয়েবসাইট?
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে আইন পাস না করে তারপর রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর না করে তারপর সরকারি গেজেট না হয়েও কাউন্সিল ও চিকিৎসক রেজিস্ট্রেশন সনদপত্র? স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এর পত্র ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর হোমিও ও দেশজ চিকিৎসা বিভাগ রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষরিত সরকারি প্রজ্ঞাপন ছাড়াই ১৯৯৬ নীতিমালা অনুযায়ী হোমিওপ্যাথিক, ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক ব্যাচেলর ডিগ্রিদের (বিএইচএমএস, বিইউএমএস, বিএএমএস পাস) চিকিৎসক পেশার রেজিস্ট্রেশন সনদপত্র প্রদান? এবার নতুন সংযোজন জাতীয় সংসদে আইন পাস ছাড়াই “হোমিওপ্যাথিক, ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক  মেডিকেল রেজিস্ট্রেশন কাউন্সিল”? “হোমিওপ্যাথিক, ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল রেজিস্ট্রেশন কাউন্সিল” এর নামে পেজ, কাউন্সিলের নামে সরকারি ওয়েবসাইট?
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর হোমিও ও দেশজ চিকিৎসা কর্তৃক “হোমিওপ্যাথিক, ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল রেজিস্ট্রেশন কাউন্সিল” এবং কাউন্সিল এর নামে পেজ ও সরকারি ওয়েবসাইট : www.huamc.gov.bd
বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের “বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন (প্রস্তাবিত) জাতীয় সংসদে উল্থাপন ও পাস করে সেই আইনে অন্তর্ভুক্তকৃত বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ডকে প্রতিস্থাপিত করে শুধুমাত্র হোমিওপ্যাথিক কাউন্সিল করে  “বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কাউন্সিল (বিএইচএমসি)” গঠন ও কার্যকর ছাড়া হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের জন্য বাংলাদেশে বৈধভাবে হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কাউন্সিল গঠন ও কার্যকর করা সম্ভব নয়। তারপর বৈধ কাউন্সিলের নামে সরকারি ওয়েবসাইট চালু করা। বৈধ কাউন্সিল হতে চিকিৎসক রেজিস্ট্রেশন সনদপত্র গ্রহণ করা।
যতদিন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের জন্য কাউন্সিল না হবে ততোদিন পর্যন্ত Bangladesh Homoeopathic practitioners ordinance 1983 (বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে উল্থাপন ও পাসকৃত ২০১৩ সনের ৭ নং আইন এর ২৮ নং তফসিলভুক্ত) সে আইনে উল্লেখিত তথা সংশ্লিষ্ট ধারা-উপধারা অনুযায়ী যতদিন হোমিওপ্যাথিক কাউন্সিল না হবে ততোদিন সে আইন আনুযায়ী বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডও বোর্ডের রেজিস্ট্রার অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে হোমিওপ্যাথিক (ডিএইচএমএস ও বিএইচএমএস) পাসকৃতদেরকে চিকিৎসক রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্র স্বাক্ষর, প্রদান, অনুমোদন, নবায়ন করার একক তথা সর্বময় ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। বর্তমান আইন অনুযায়ী শুধুমাত্র বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড হতে বোর্ড রেজিস্ট্রার এর নিকট হতে হোমিওপ্যাথিক (ডিএইচএমএস ও বিএইচএমএস) পাসকৃতদেরকে চিকিৎসক রেজিস্ট্রেশন সনদপত্র গ্রহণ করতে হবে।
জাতীয় সংসদে পাসকৃত হোমিওপ্যাথি আইন ১৯৮৩ বাতিল না করে বা জাতীয় সংসদে নতুন হোমিওপ্যাথিক আইন পাস না করে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড ও বোর্ড রেজিস্ট্রার ছাড়া অন্য কোন কর্তৃপক্ষ সেটা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হোক বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হোক বা হোমিও ও দেশজ চিকিৎসা বিভাগ হোক বা অল্টারনেটিভ মেডিকেল কেয়ার হোক কেউ নতুন কাউন্সিল গঠন, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের চিকিৎসক রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্র প্রদান করতে পারেনা। জাতীয় সংসদে পাসকৃত আইন ও আর জাতীয় সংসদের আইন ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর নীতিমালা বা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এর অফিস স্মারক পত্র এক বিষয় নয় ও আইনগত গ্রহণ যোগ্যতাও এক নয়।
বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথির সার্বিক উন্নয়নে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন (প্রস্তাবিত) দ্রুত জাতীয় সংসদে উল্থাপন ও পাস করে কার্যকর করা। তারপর জাতীয় সংসদে পাসকৃত সে আইনে অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ডকে প্রতিস্থাপিত করে শুধুমাত্র বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কাউন্সিল করে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কাউন্সিল (প্রস্তাবিত) গঠন ও কার্যকর করা। বিশ্বের প্রায় সকল দেশে সরকারি আইন অনুযায়ী হোমিওপ্যাথি, ইউনানি ও আয়ুবেদিক নিয়ে যৌথভাবে নয় এককভাবে শুধুমাত্র হোমিওপ্যাথি নিয়ে একটি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কাউন্সিল আছে ও সেই একটি হোমিওপ্যাথিক কাউন্সিল হতে ডিপ্লোমা, ব্যাচেলর, পোস্ট গ্রাজুয়েটস পাস সকল হোমিওপ্যাথিকদেরকে চিকিৎসক রেজিস্ট্রেশন সনদপত্র প্রদান করে থাকে।
বাংলাদেশে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়কালে মুজিব নগর সরকারের নির্দেশে ব্যাটল ফিল্ডে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবার স্বাক্ষর রেখেছে দেশের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্রে তার উল্লেখ রয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে রক্তসাগর পাড়ি দিয়ে যখন স্বাধীন এক ভূখন্ড পেয়েছে বাংলাদেশ তখন স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাসস্থান সবকিছুতেই ছিল অপূর্ণতা সেই সময়েও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণ স্বাস্থ্যসেবার দ্বার উন্মুক্ত রাখার মাধ্যমে স্মরণীয় হয়ে আছেন। তারই ধারাবাহিকতায় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে কোটি কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উপকৃত হয়ে আসছে।
বাংলাদেশে ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে সংগঠিত মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাস্থ্য সেবায় হোমিওপ্যাথি ও “হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারদের” (ডা.) অবদান ছিলো উল্লেখযোগ্য [বই/রাষ্ট্রীয় দলিল : বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : পঞ্চদশ খন্ড। পৃষ্টা নং ৯৪…]
“বাংলার ডিএইচএমএস হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকগণের ইতিহাস আমলাতন্ত্র ও বিএইচএমএস কর্তৃক দীর্ঘ কয়েক দশকের শোষণ এবং বঞ্চনার ইতিহাস! বাংলার ডিএইচএমএস হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকগণ হোমিওপ্যাথদের জন্য সুরক্ষা আইন ও ডাক্তার উপাধি ব্যবহার চলমান এবং সরকারি চাকুরী পাবার সহ উচ্চ শিক্ষা অর্জনের অধিকার চায়! দীর্ঘ কয়েক দশকের শোষণ ও বঞ্চনা হতে মুক্তি চায়! বাংলার মাঠ পর্যায়ে ডিএইচএমএস চিকিৎসকগণ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা ও চিকিৎসা পেশায় সম্মান এবং মর্যাদার সঙ্গে মাথা উঁচু করে বাঁচার স্বাধীনতা চায়!”।
– ডা. মো. আব্দুস সালাম (শিপলু), বাংলাদেশ।
(তথ্যসূত্র : নথি/ডকুমেন্টস, ওয়েবসাইড, মতামত)
=====================================
লেখক পরিচিতি :
ডা. মো. আব্দুস সালাম (শিপলু)
ডিএইচএমএস (রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ)
এমএসএস (সরকার ও রাজনীতি বিভাগ) এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।
(চিকিৎসক, শিক্ষক, কলামিস্ট, কেন্দ্রীয় চিকিৎসক নেতা ও শিক্ষক নেতা, প্রাক্তন সাংবাদিক)
বাংলাদেশ।

শেয়ার করুন .....




© 2018 allnewsagency.com      তত্ত্বাবধানে - মোহা: মনিকুল মশিহুর সজীব
Design & Developed BY ThemesBazar.Com