বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:১৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
নয়ন খানকে ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চায় শিবগঞ্জ উপজেলাবাসী ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মাঠে নেমেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা ঠাকুরগাঁও জেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভা আধুনিক বাংলাদেশের  রুপকার জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার কৃষি বান্ধব সরকার-এমপি গালিব ঠাকুরগাঁওয়ে বালিয়াডাঙ্গীতে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শন অনুষ্ঠিত হয়েছে শিবগঞ্জে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১৫ শিবগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন-সমাপনী অনুষ্ঠিত রানীশংকৈল ডিগ্রি কলেজ মাঠে মুক্ত মঞ্চের শুভ উদ্বোধন জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে জাতীয় দলের পাঁচ নারী ক্রীড়াবিদদের সংবর্ধনা গোপালগঞ্জে নানান আয়োজনের মধ্য পালিত হলো পহেলা বৈশাখ
স্বপ্নদোষ এর কারণ ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

স্বপ্নদোষ এর কারণ ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

স্বপ্নদোষ এর কারণ ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

আশা করি আপনি ভালো আছেন আজ আমরা এখানে স্বপ্ন দোষ এর কারণ ও চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করবো। আসেন কথা না বাড়িয়ে সরাসরি মুল আলোচনায় যায়।

স্বপ্নদোষ হলো একজন পুরুষ মানুষের ঘুমের মধ্যে বীর্যপাত ঘটে থাকে। তাহাকে স্বপ্ন দোষ বল বলা হয়। গবেষনায় দেখা গেছে কিশোর বয়সে শারীরের হরমোনজনিত পরিবর্তনের কারনে স্বপ্নদোষের সমস্যাটি  দেখা যায়। কিন্তু ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী ছেলেদের এবং প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার প্রাথমিক বছরগুলোতে স্বপ্নদোষ সাধারণ একটা ব্যাপার।

স্বপ্নদোষের হওয়ার সাথে যৌন উত্তেজক কোনো স্বপ্নের সম্পর্ক থাকতে পারে আবার নাও থাকতে পারে।  অনেক সময় পুরুষদের লিঙ্গ উত্থান ছাড়াই স্বপ্নদোষ ঘটে যেতে পারে। যদিও স্বপ্নদোষ হওয়া স্বাভাবিক ঘটনা, কিন্তু এটি যখন অতিরিক্ত পরিমানে হতে থাকে তখন বুঝতে হবে রোগেরই পূর্বাবাস দেয়। আর স্বপ্নদোষের কারনে পুরুষের নানা প্রকার শারীরিক এবং মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, কোন পুরুষ হস্তমৈথুন করলে অনেক ক্ষেত্রে পুরুষের স্বপ্নদোষ হ্রাস পায়। কিন্তু এটা করা আরো মারাত্বক ক্ষতিকর। এ হস্তমৈথুন করার অভ্যাসটাই একজন পুরুষের যৌন জীবন বিপর্যস্থ করে তুলবে। হস্তমৈথুন করার কারণে কিছু শারীরিক, মানসিক এবং হরমোনজনিত সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে যা এই ধরনের স্বপ্নদোষকে পুরুষের স্থায়ী পুরুষত্বহীনতা এবং লিঙ্গত্থানহ না হওয়ার মত মারাত্মক জটিল রোগের সৃষ্টি হতে পারে।

সাধারণত জননেন্দ্রিয়ের রোগ গুলোকে যৌন রোগ বলা হয়। জননেন্দ্রিয়ে নানারকম রোগ হতে পারে। এ সব রোগ সময় মতো চিকিৎসা করে নিরাময় করতে না পারলে পুরুষত্ব জীবন পঙ্গু হয়ে পড়তে পারে। এর জন্য জীবন সংশয়ও দেখা দিতে পারে। জীবনের শুক, আনান্দ, কর্মক্ষমতা, সবই নষ্ট হতে এ রোগের জন্য। জনন্দ্রিয় যে সব উৎকট, কষ্টদায়ক, ও প্রাণনাশকারী রোগ দেখা দেয় সেগুলো মধ্যে হলো যেমন – একশিরা, ধ্বজভঙ্গ, উদদংশ, প্রমেহ-প্রমেহ, শুক্রক্ষরণ প্রভৃতি। এ স্বপ্নদোষ রোগ নিয়ে আলোচনা করা হলো।

পুরুষের শরীরে বীর্য প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্টি হয়ে থাকে যা পরবর্তীতে শারীরিক মিলন বা হস্তমৈথুনের সময় চরম তৃপ্তির পর্যায়ে পুরুষের শরীর থেকে নির্গত  হয়। কিন্তু অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে পুরুষের টেষ্টষ্টোরেন হরমোন অধিক পরিমান অর্থাৎ প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত বীর্য তৈরি করে এবং একই সাথে স্পিংটার পেশী এবং স্নায়ু দুর্বল করে  যার ফলে বীর্য যৌনতন্ত্রে আটকে যায়। পরবর্তীতে আটকে থাকা বীর্য প্রস্রাবের সাথে কিংবা কোন রকম খারাপ স্বপ্ন ছাড়া ঘুমের মাঝে শুধুমাত্র বিছানার ঘর্ষনের ফলে বেরিয়ে যায়। বীর্য আটকে থাকার ফলে তা থেকে স্বপ্নদেষের সৃষ্টির কারনে ক্রমশ বেশ কিছু সম্যসার জন্ম দেয়।

তা নিন্মে দেওয়া হলো :  যেমন – শারীরিক দুর্বলতা বৃদ্ধি,  লিঙ্গত্থান সমস্যা, বীর্যের পরিমান হ্রাস, শুক্রানুর পরিমান কমে যাওয়া, হাটু, মাজা এবং শরীরের অন্যান্য জোড়ার ব্যাথা,  অতিরিক্ত ঘুম ঘুম ভাব অনুভুতি ইত্যাদি।

স্বাপ্নদোষের কারণ ও লক্ষণ :

যৌবনকালে প্রায় যুবকের এ রোগটি হয়ে থাকে। স্বপ্নদোষ হলে শুক্রক্ষরণ ঘটে । রোগী ঘুমের ঘরে স্বপ্ন দেখে এবং স্বপ্নের মধ্যে অর্থাৎ ঘুমের মধ্যে শুক্রক্ষরণ ঘটে যায়। এ ভাবে কিছুদিন স্বপ্নদোষ চলতে থাকলে রোগী দুর্বল ও ক্ষীর্ণ হয়ে পড়ে। তখন সে পুরুষ কোনো নারীকে স্পর্শ করতেই শুক্রক্ষরণ বা রেতঃপাত হয়। রোগটি অত্যান্ত মারাত্বক। তখন রোগীর শিরঃপীড়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। রোখের কোনে কালি পড়ে, চোখ মুখ বসে যায়, ধ্বজভঙ্গ, যক্ষ্মাকাশ ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়। দেরি না করে চিকিৎসা করানো দরকার। আর যদি ব্যাধিটি পুরনো হয়ে যায় তখন সমাধানে আনা সময়সাপেক্ষ ও ব্যায়সাধ্য হয়ে পড়ে। রোগীর জীবন হয়ে উঠবে দুর্বিষহ। নেমে আসে অভিসাপ।

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিকিৎসা :

স্বপ্নদোষ যখন সপ্তাহে এক বারের বেশি এবং ১ মাসে ৫ বারের বেশি তখন এটাকে অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ বলা হয়ে থাকে। তখন এটার পেছনে কোনো একটা কারণ থাকে। সেই সময় এটা রোগের পর্যায়ে পড়ে । স্বপ্নদোষ যদিও ভয়াবহ কোনো একটা বিষয় নয় কিন্তু এ অবস্থা চলতে থাকলে কোনএকসময় এটা নানা প্রকার শারীরিক, মানসিক সমস্যার জন্ম দিয়ে থাকে। তাই যখনই বুঝবেন স্বপ্নদোষ অতিরিক্ত পরিমানে হচ্ছে  বিলম্ব না করে আপনার হোমিওপ্যাথের সাথে যোগাযোগ করুন।

কোষ্ঠবদ্ধতা, দুর্বলতা, খাদ্য অরুচি, নারীকে স্পর্শ করলেই অথাব কোনো নারীর কথা মনে হলেই কাম-ভাব জাগা প্রভৃতি লক্ষণে – নাক্স ভামিকা ৬ বা ৩০ শক্তি
শুক্রক্ষরণ যদি অতিরিক্ত হয় ও প্রচণ্ড দুর্বলতায় – চায়না ৬ অথবা ৩০ শক্তি।
অতিরিক্ত শুক্রক্ষরণে এ ক্ষেত্রেও – এসিড ফস ৩০ শক্তি।
অতিরিক্ত শুক্রক্ষরণের – থুজা Q এ ঔষধটি ভাল ফল পাওয়া যায়।
যদি রোগী বিমর্ষ ও নিরুৎসাহ হয়ে পড়লে – অরাম মেট ৩x বিচুর্ণ বা ৩০ শক্তি
স্বপ্নদোষের কারণে শুক্রক্ষরণ, ঘন ঘন শুক্রক্ষরণ, দুর্বলতা, ইন্দ্রিয়ের শিথিলতা, পৃষ্ঠশূল, শুক্র পানির মতো পাতলা প্রভৃতি লক্ষণে – সালফার ৩০ শক্তি
অতিরিক্ত হস্তমৈথুন ও প্রমেহ-ঘটিত কারণে রোগ হলে – ক্যান্থারিস ৩০ শক্তি
যদি রোগী দুর্বলাতা ও স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায় তা হলে – ফসফরাস ৬ শক্তি
যদি কোন রোগীর স্বপ্ন দেখে শুক্রক্ষরণ হলে – সেলিনিয়াম ৩০ শক্তি
স্বপ্নদোষের মহৌষধ হিসাবে ব্যবহার হয় – ব্যারাইটা কার্ব ৬ শক্তি ও বেলিস-পেরিনিস Q

আনুষঙ্গিক চিকিৎসা :  অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হলে মদ্যপান, উত্তেজক খাদ্যগ্রহণ প্রভৃতি বন্ধ করতে হবে। পর্ণ মুভি দেখা, কুসংসর্গে নেশা, হস্তুমৈথুন প্রভৃতি বর্জন করতে হবে। সকালে ডুবে গোসল করতে হবে ঠাণ্ডা পানিতে। সহজপ্রাচ্য ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। সকাল-সন্ধ্যায় ভ্রমণ এ রোগীদের জন্য উপকারী।

এডমিন : এই ওয়েবসাইডে প্রকাশিত তথ্যগুলো হোমিপ্যাথিক সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণে জন্য। অনুগ্রহ করে রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ সেবন করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবনের ফলে শারীরিক বা মানুসিক ক্ষতি হতে পারে। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

https://www.facebook.com/aroggohomeohall

শেয়ার করুন .....




© 2018 allnewsagency.com      তত্ত্বাবধানে - মোহা: মনিকুল মশিহুর সজীব
Design & Developed BY ThemesBazar.Com