শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন
মুক্তাগাছা(ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহ-মুক্তাগাছা সীমান্তবর্তী মনতলা ব্রিজ এর নিচ হতে একজন অজ্ঞাত ব্যাক্তির লাশ উদ্ধার করেছিলো পুলিশ। মুক্তাগাছা মনতলা সুতিয়া নদী সেতুর নিচে ট্রলি ব্যাগে ভর্তি, পা-মাথা বিচ্ছিন্ন এক পুরুষের খন্ডিত মরদেহ। লাশের দুই পা ও মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল।
এই সময় উপস্থিত হয়ে এক সাথে কাজ করেন ডিবি পুলিশ, পিবিআই, কোতোয়ালী ও মুক্তাগাছার থানার পুলিশ।
মনতলা সুতিয়া নদীর ব্রিজের নিচে পড়ে থাকা লাশের পরিচয় সনাক্ত করেছে পুলিশ। । উক্ত লাশের পরিচয়, নামঃ ওমর ফারুক সৌরভ(২২) পিতা ইউসুফ আলী আকন্দ সাং তারাটী ইউপিঃ মাইজবাগ থানা ঈশ্বরগঞ্জ জেলা ময়মনসিংহ। সে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
আজ (২ জুন) সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার ও মুক্তাগাছার শেষ সীমানায় মনতলা এলাকায় বীজের নিচে সুতিয়া নদীর কচুরীপানার থেকে, বড় একটি কালো ট্রলি ব্যাগের ভিতর থেকে খন্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন ও মুক্তাগাছার থানার (ওসি) ফারুক হোসেন এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ জানান, সকালে স্থানীয়দের কাছথেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। তিনি আরও জানান, কালো রঙের ট্রলি ব্যাগের ভেতরে মাথা ও দুই পা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আলাদা পলিথিনে মোড়ানো ছিল লাশটি।
মুক্তাগাছার সীমান্তবর্তী মনতলা ব্রিজের নিচে লাগেজের ভেতর পাওয়া ৪ খন্ডের মরদেহটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সৌরভের। সৌরভের বাড়ি ঈশ্বরগঞ্জের মাইজবাগ ইউনিয়নের তারাটি গ্রামে। সৌরভ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ’র শিক্ষার্থী ছিলেন বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।
চাচাতো বোনকে প্রেম করে বিয়ে করার পর বিয়ে মেনে না নিয়ে কৌশলে চাচাতো বোনকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়ে দেয় চাচা-চাচি। পরে সৌরভকে ডেকে এনে হত্যা করে বলে পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। এঘটনায় সৌরভের চাচা-চাচিকে ময়মনসিংহ সদরের গোহাইলকান্দির বাসা থেকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।