শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন
নিউজ ডেস্ক :
পণ্যের দাম নির্ধারণ করা হবে না। বরং কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। আজ সোমবার ময়মনসিংহে টাউন হলে এক কর্মশালায় যোগদানের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, খোলাবাজার অর্থনীতেতে পণ্যের দাম একদম নির্ধারণ করে দিয়ে তা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। আমরা একটা ইন্ডিকেটর দিতে পারি যে দাম এত টাকার বেশি হওয়া উচিত নয়। তবে কঠোরভাবে বাজার মনিটর ও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মিলমালিকেরা হঠাৎ করে দাম বাড়িয়ে বিরাট মুনাফা করার চেষ্টা করে। তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে, লাইসেন্স বাতিল করতে হবে।
এসব বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং কৃষি মন্ত্রণালয় সম্মিলিতভাবে সবসময় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমন্বয় করে কাজ করে বলেও জানান তিনি।
পরে মন্ত্রী বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত কর্মশালায় যোগ দেন। এ সময় তিনি বলেন, আমন উৎপাদনে অনিশ্চয়তা কেটে গেছে। আর কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমনে উৎপাদন গতবছরের তুলনায় বেশিও হতে পারে।
সামনের দিনগুলোতে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট বেড়ে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে বিভিন্ন সংস্থা যে পূর্ভাবাস ও সতর্কবাণী দিচ্ছে, এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের প্রস্তুতির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার খাদ্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় সঠিক পথে রয়েছে। গত ১৩ বছরে খাদ্যের কোনো সংকট হয়নি। এমনকি করোনা ও যুদ্ধের অভিঘাতের মধ্যেও খাদ্য নিরাপত্তার দিক থেকে দেশ অনেক ভালো অবস্থানে আছে। সামনের দিনগুলোতে যাতে সমস্যা না হয়, সেজন্য খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে জোর দিচ্ছি।
এর আগে আরেক অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি টানা তিন মাস আন্দোলন করেও সফল হয়নি। উসকানিমূলক আচরণ, উশৃঙ্খল কর্মকাণ্ড ও তাণ্ডব চালিয়ে তারা কখনোই আন্দোলনে সফল হতে পারবে না। যখনই করতে যাবে জনগণ এটাকে বাধা দিবে।’
আজ সোমবার বেলা ১১টায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) ময়মনসিংহ ক্ষুদ্র সেচ সার্কেল অফিস কাম ট্রেনিং সেন্টার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। নগরীর ঢোলাদিয়া এলাকায় প্রায় ৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এই ভবনের নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করে বিএডিসি।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সমন্বিতভাবে কাজ করছে বলে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত আছে। চালের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার ওএমএস, টিসিবিসহ বিভিন্ন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু রেখেছে। সরবরাহ ও চাহিদার ওপর ভিত্তি করে সরকার নির্দিষ্ট দাম নির্ধারণ না করে বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে চালের দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।’