শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
শিবগঞ্জের শাহাবাজ পুর ইউনিয়নে কমিউনিটি পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যস্ততার পরিবর্তে অস্তিত্ব টেকানোর লড়াইয়ে মৃৎশিল্পীদের তৈরি বিভিন্ন পণ্য আটপাড়ায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ আটপাড়ায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী আলী খানের উদ্যোগে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন ফুলছড়িতে পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ গঠন বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলে স্বর্ণের খোঁজে দিনরাত ইটভাটার মাটি খুঁড়াখুঁড়ি গোদাগাড়ীতে চাঁদাবাজি মামলায় দুই যুবক গ্রেপ্তার নয়ন খানকে ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চায় শিবগঞ্জ উপজেলাবাসী ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মাঠে নেমেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা ঠাকুরগাঁও জেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভা
হিমাগারে আলু মজুত করে লোকসানের মুখে রাজশাহীর চাষিরা

হিমাগারে আলু মজুত করে লোকসানের মুখে রাজশাহীর চাষিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক :

হিমাগারে আলু মজুত করে লোকসানের মুখে পড়েছেন রাজশাহীর চাষি ও ব্যবসায়ীরা। বাজারে অন্য সবজির দাম বেশি হলেও আলুর দাম তুলনামূলক কম। ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষি ও ব্যবসায়ীদের।

জানা যায়, খুচরা বাজারে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ২৬ টাকা। একই আলু পাইকারি বাজারে ১৯ থেকে ২০ টাকা। চাষিদের উৎপাদন ও হিমাগারে সংরক্ষণের খরচের হিসাবে প্রতিকেজি আলুতে গড়ে লোকসান হচ্ছে সাড়ে চার থেকে সাড়ে পাঁচ টাকা।

মৌসুমের শুরুতে হিমাগারে মজুত করার সময় যে দাম ছিল তার চেয়ে পাইকারি বাজারে বস্তাপ্রতি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে আলু। এমন দরপতনের কারণে হিমাগারগুলোয় বর্তমানে ভরা মৌসুমেও কৃষক ও ব্যবসায়ীর উপস্থিতি নেই বললেই চলে।

হিমাগার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এবার আলুর দাম কম। হিমাগারে আলু নিতে আসছেন না অনেকে। এখন পর্যন্ত ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ আলু হিমাগারে পড়ে আছে।

কৃষি বিপণন বিভাগ হতে জানা যায়, জেলার সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ৩৬টি হিমাগারে আলু সংরক্ষণের সক্ষমতা রয়েছে ৮০ লাখ বস্তা ওজনের দিক দিয়ে যা ৪ লাখ ২৩ হাজার মেট্রিক টন। চলতি বছরের জুন-জুলাই ও আগস্ট এই তিন মাসে ১ লাখ ৭৩ হাজার ২২৪ টন আলু উত্তোলন করা হয়েছে। এখনো হিমাগারে পড়ে রয়েছে ৩ লাখ ৭৪ হাজার ২৪৩ টন আলু। তবে এই বিপুল পরিমাণ সংরক্ষিত আলু উত্তোলনের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৫ নভেম্বর।

চাষি, ব্যবসায়ী ও হিমাগার মালিকরা জানান, হিমাগারের খরচসহ প্রতি বস্তা (৬৫ কেজি) প্রকারভেদে আলুর খরচ পড়েছে ১ হাজার ২৫০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা। বর্তমান বাজারে আলু প্রতি বস্তা ১ হাজার ২০ থেকে ১ হাজার ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গড়ে বস্তাপ্রতি লোকসান গুনতে হচ্ছে ২৫০ টাকা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, রাজশাহীতে কার্ডিনাল, ডায়মন্ড ও অ্যাস্টারিক্স জাতের আলু বেশি চাষ হয়। গত কয়েক বছর থেকেই বাড়ছে আলুর চাষ। ২০২০-২১ মৌসুমে জেলায় ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে আলুর চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। ভালো দামের আশায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৩৬ হাজার ৬২৯ হেক্টর জমিতে চাষ হয় আলু। এসব জমি থেকে ৮ লাখ ৪০ হাজার টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও উৎপাদন হয় ৮ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন।

তানোর উপজেলা তালন্দ এলাকার আলু চাষি আ: সামাদ বলেন, প্রতিকেজি ডায়মন্ড, কার্ডিনাল, অ্যাস্টারিক্স (লাল) জাতের আলু উৎপাদন খরচ পড়ে ১৫ টাকার বেশি। আর বাণিজ্যিকভাবে চাষকৃত আলুর উৎপাদন খরচ সাড়ে ১৬ থেকে ১৭ টাকা।
তিনি বলেন, প্রতি বছর ২০ বিঘা জমিতে আলুর চাষ করি। কোল্ড স্টোরেজে এখন আমার ১ হাজার ২০০ বস্তা আলু আছে। ২৫ টাকা কেজি বিক্রি করতে পারলে বাঁচতাম।

এ বিষয়ে রাজশাহী কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু বকর বলেন, বাজারে ২৫ থেকে ২৬ টাকা বিক্রি হচ্ছে আলু। আর পাইকারিতে সাড়ে ১৯ থেকে ২০ টাকা। এ হলো আমাদের দেশের সমস্যা, সিন্ডিকেটের পকেটে যাচ্ছে চাষিদের টাকা।

তিনি বলেন, পর্যাপ্ত আলু চাষ হলেও চাহিদা আছে। কিন্তু বাজার ব্যবস্থাপনা ঠিক নেই। চাষিরা এ কারণেই লোকসানে পড়ছেন। কৃষকের এ সমস্যা সমাধানে আমরা সরকারি দপ্তরে জানিয়েছি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোজদার হোসেন বলেন, রাজশাহীতে বাণিজ্যিকভাবে আলু সবচেয়ে বেশি চাষ হয়। বর্তমানে আলুর দাম কিছুটা কমে গেছে। এখনো দুইমাস সময় আছে আলুর দাম বাড়ার। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরে আলুর দাম কিছুটা বাড়ে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

শেয়ার করুন .....




© 2018 allnewsagency.com      তত্ত্বাবধানে - মোহা: মনিকুল মশিহুর সজীব
Design & Developed BY ThemesBazar.Com