চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত এক নার্সকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ উঠেছে সাবেক যুবলীগ কর্মী মাসুদ রানার বিরুদ্ধে। আজ রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এনডিসি কর্নারে এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪০ পূর্বাহ্ন
মাসুদ রানা শিবগঞ্জ পৌর এলাকার দৌলতপুর সৌদিপাড়া মহল্লার দুরুল হোদার ছেলে ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর সোয়া ১২টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এনসিডি কর্নারে কর্মরত ছিলেন নার্স ফরিদা ইয়াসমিন। এ সময় নার্সের কাছ থেকে ডায়াবেটিসের ওষুধ চান মাসুদ রানা। হাসপাতালে ডায়াবেটিসের ওষুধ সরবরাহ না থাকায় মাসুদকে ওষুধ দিতে পারনেনি তিনি। এতেই নার্সের ওপর চড়াও হয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ অশালীন আচরণ করেন। পরে মাসুদ পায়ের জুতা খুলে কর্মরত নার্সকে মারধরসহ লাঞ্ছিত করেন। এ সময় নার্স অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাঁকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে হস্তান্তর করেন কর্মরত চিকিৎসক।
এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভুক্তভোগী নার্স।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নার্স বলেন, ‘হাসপাতালের সিসিটিভির ফুটেজ দেখলে ঘটনাটি পরিষ্কার হবে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
যদিও মাসুদ রানা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘নার্সের সঙ্গে শুধু কথা-কাটাকাটি হয়েছে মাত্র। আমি অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছি।
শিবগঞ্জ পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আসিফ আহমেদ সৌরভ বলেন, ‘মাসুদ বর্তমানে কোনো পদে নেই। তবে আগের কমিটিতে তাঁর নাম ছিল।
শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়রা খান বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। কিন্তু এই মুহূর্তে কোনো মন্তব্য করতে পারছি না।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে এ ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।