সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৪০ পূর্বাহ্ন
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁও জেলা ভেটেরিনারি অফিসের ভেতর থেকে সরকারি গাছ অনিয়মতান্ত্রিকভাবে চুপিসারে বিক্রির সময় ধরা খেলেন জেলা ভেটেরিনারি অফিসার ডা. ইজাহার আহমেদ খান । ৭ মে রোববার রাতে অফিস সংলগ্ন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ের লোকজন গাছের ২টি গুড়িসহ ২টি ভ্যান আটকে দেন। পরে তারা বিষয়টি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মো: সামসুজ্জামানকে জানায়। পরে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাছের ভ্যান দুটিকে গাছ সহ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা কার্যালয়ে জিম্মায় নেন।
জানা যায়, উল্লেখিত অফিসের ভেতরে একটি গাছ ঝড়ে পরে যায়। গাছটি কর্তন ও অপসারনের অনুমতি চেয়ে জেলা ভেটেরিনারি অফিসার ডা. ইজহার আহমেদ খান চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি দিনাজপুর সামাজিক বনায়ন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করেন। সেটির কোন জবাব না পেয়ে পুনরায় চলতি মাসের ২ তারিখে পুনরায় লিখিত আবেদন করেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে কোন অনুমতি না পেয়েও চুপিসারে গাছগুলি নিজের কাজে ব্যবহারের জন্য মিস্ত্রি ঠিক করেন। রাতে গাছগুলি ভ্যানে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা প্রানীসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তারা আটকিয়ে দেন। তারা জানান, এর আগেও ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা নিয়ম বহির্ভুতভাবে গাছ কর্তন ও অপসারনে মানা করলেও ঠাকুরগাঁও জেলা ভেটেরিনারি অফিসার শোনেননি।
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও জেলা ভেটেরিনারি অফিসার ডা. ইজাহার আহমেদ খান বলেন, গাছ আমি কেটেছি। আমি এ বিষয়ে দিনাজপুর সামাজিক বনায়ন বিভাগকে লিখিত চিঠি দিয়েছি। অনুমতি পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি এর কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মো: সামসুজ্জামান বলেন, গাছ চুপিসারে বিক্রির বিষয়টি জানার পর গাছ সহ ভ্যান ২টিকে আমার বাসভবনের সামনে জিম্মায় নিতে বলেছি। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা কার্যালয়ের কর্মচারীগণ গাছগুলি ২টি ভ্যান সহ জিম্মায় দিয়ে গেছে। পরবর্তিতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।