শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৭:১০ অপরাহ্ন
অবিশ্বাস্য কিছু করতে পারল না নেদারল্যান্ডস। তাদের হারিয়ে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিল নিউজিল্যান্ড। সোমবার হায়দরাবাদে ডাচদের ৯৯ রানে হারিয়েছে গত আসরের রানার্সআপরা। টুর্নামেন্টে এটা দ্বিতীয় হার নেদারল্যান্ডসের। এর আগে পাকিস্তানের কাছে হেরেছিল তারা। নিউজিল্যান্ড প্রথম জয় তুলে নেয় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
আজ রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩২২ রানের পুঁজি পায় কিউইরা। লক্ষ্য তাড়ায় কখনোই জয়ের আশা জাগাতে পারেনি নেদারল্যান্ডস। নিয়মিত বিরতি উইকেট হারানো ডাচরা অলঅাউট হয় ২২৩ রানে। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন কলিন একারম্যান।
নিউজিল্যান্ডের সফল বোলার ছিলেন মিচেল স্যান্তনার। এই স্পিনার ১০ ওভারে ৫৯ রান খরচায় শিকার করেন ৫ উইকেট। রাচিন রবীন্দ্র পান ২ উইকেট। বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও আলো ছড়ান তিনি। আজও জ্বলে উঠেছিলেন রাচিন। তবে তাকে ব্যাক-টু-ব্যাক সেঞ্চুরি পেতে দেননি রোয়েলফ ফন ডার মারউই। ইংল্যান্ড ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানো ডেভন কনওয়েকেও শিকার বানান তিনি।
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে কিউইদের টপ অর্ডার ব্যাটাররা শুরু থেকেই চাপে রাখে ডাচ বোলারদের। ওপেনিং জুটিতে তাদের খাতায় যোগ হয় ৬৭ রান। ৩২ রান করা কনওয়েকে আউট করে এই জুটি ভাঙেন মারউই। এরপর রাচিনকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন উইল ইয়ং। দুজনেই তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি।
ব্যক্তিগত ৭০ রানে ইয়ং। কিউই ওপেনারকে আউট করেন লোগান ফক মিকারেন। খানিকবাদের রাচিনকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান মারউই। ৫১ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৫১ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটার। ৪৮ করা ড্যারিল মিচেলকে শিকার বানান মিকারেন।
তখন ৪০.১ ওভারে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ২৩৮ রান। চোখের পলকেই স্কোরকার্ড হয় ২৫৪/৬। বাস ডি লিড আউট করেন গ্লেন ফিলিপসকে (৪)। আরিয়ান ডাটের বলে ক্যাচ তুলে মাঠ ছাড়েন মার্ক চাপম্যান (৫)। উইকেটে একপ্রান্ত আগলে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন টম লাথাম। ৫৩ রান করা কিউই দলপতিকেও আউট করেন ডাট।
অষ্টম উইকেট জুটিতে ঝড় তুলেন মিচেল স্যান্তনার এবং ম্যাট হেনরি। দুজনের ৯ বলের জুটিতে দলের খাতায় যোগ হয় ২৯ রান। স্যান্তনার ১৭ বলে ৩ চার এবং ২ ছক্কায় ৩৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। হেনরি ৪ বলে ১ ছক্কায় করেন ১০ রান।