মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ০১:১৩ অপরাহ্ন
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মিলনের (২৬) বিরুদ্ধে এক কলেজ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। শুক্রবার (৮ মার্চ) বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ওই শিক্ষার্থী বাদী হয়ে ছাত্রদলের আহ্বায়ক মিলনসহ তার দুই সহযোগীকে আসামি করে আলফাডাঙ্গা থানায় মামলাটি করেন।
অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল মিলন পৌর এলাকার কলেজ রোডের বাসিন্দা মো. আরফিন মোল্যার ছেলে। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী পৌর এলাকার বাসিন্দা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই তরুণীর সঙ্গে এক তরুণের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু ছাত্রদল নেতা আবদুল্লাহ আল মিলন সেই প্রেমে বাধা দেন। এ ব্যাপারে আলোচনার জন্য বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই তরুণী মিলনের বাড়িতে যান। মিলন ঘরের ভেতরে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এ সময় তরুণীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে মিলন নিরাপদ স্থানে চলে যান।
এরপর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তরুণী বাদী হয়ে আবদুল্লাহ আল মিলন ও তার দুই সহযোগী রবিউল ইসলাম (৩৪) এবং সোহেল শেখের (৩৩) নামে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল্লাহ আল মিলন বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের স্বীকার। রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য প্রতিপক্ষ আমাকে ফাঁসিয়েছে।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসাইন অনু বলেন, এ ঘটনার ভিডিও আমার কাছে এসেছে এবং বিষয়টি ফেসবুকেও দেখেছি। এটা ষড়যন্ত্র না সত্য তা খতিয়ে দেখা হবে। অনেক সময় দলের বিপক্ষে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়। তবে ঘটনাটি সত্য হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির (স্থগিত) সদস্য সচিব খুশবুর রহমান খোকন বলেন, কলেজ ছাত্রীকে বিয়ে না দিয়ে আড়াই লাখ টাকা কৌশলে হাতিয়ে নিয়েছে এমন ঘটনা ন্যক্কার ও দুঃখজনক। দল থেকে এদের মত অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা থানার ওসি হারুন-অর রশীদ বলেন, এক কলেজ ছাত্রীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আব্দুল্লাহ আল মিলনসহ তার দুই সহযোগীর নামে থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।