সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ১০:০৫ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
দুঃখে বুক ফেটে যাচ্ছে, যার যায় সেই বোঝে’ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত কয়রায় পথচারি ও ভ্যান চালকদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও স্যালাইন বিতরন চরফ্যাশনে মেঘনা নদীর তীরে মাটি কাটায় অর্থদণ্ড সোনাগাজীতে সিএনজি অটোরিকশা উল্টে চালক নিহত বাগআঁচড়া নাভারণ ও বেনাপোল সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নে মহান মে দিবস পালিত নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগ প্রতিকার ও নিষ্পত্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন শ্রীমঙ্গলে এক কিশোরকে কুপিয়ে জখম শিবগঞ্জের শাহাবাজ পুর ইউনিয়নে কমিউনিটি পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যস্ততার পরিবর্তে অস্তিত্ব টেকানোর লড়াইয়ে মৃৎশিল্পীদের তৈরি বিভিন্ন পণ্য
নাগেশ্বরীতে এক দুপুরেই তলিয়ে গেল মসজিদ-ঈদগাহ মাঠ

নাগেশ্বরীতে এক দুপুরেই তলিয়ে গেল মসজিদ-ঈদগাহ মাঠ

নিউজ ডেস্ক :
জোহরের নামাজ পরছি, এরপরে নামাজ পরতে পারি নাই। মসজিদ নদীতে ভাঙ্গি গেইছে।’ এ কথাগুলো বললেন কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের ছকমল হোসেন। এখানে দুধকুমার নদীর তীব্র স্রোতে মসজিদ ও ঈদগাহ মাঠটি নদীগর্ভে চলে গেছে। ভাঙনের মুখে রয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়ি।

সোমবার (২০ জুন) দুপুরে সদর উপজেলার ধরলা নদী বেষ্ঠিত হলোখানা, ভোগডাঙ্গা, কুড়িগ্রাম পৌরসভা, পাঁচগাছী ও মোগলবাসা ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী গ্রামে পানি ওঠা শুরু করেছে। ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মধ্য কুমরপুর থেকে কাইম বড়াইবাড়ী সড়ক ও সপপাড়া পাঁচ ঘন্টি ব্রিজসহ ৩০মিনিটের রাস্তা এক হাঁটু পানি ওঠায় লোকজন অটো-মোটর সাইকেল নিয়ে ঝুঁকির মধ্যে পারাপার করেছ।

কাইম বড়াইবাড়ীর যুবক সফিকুল (২৫) জানান, রবিবার রাতে বৃষ্টির পর রাত ১১টার দিকে ১৬ জনসহ ডিঙ্গি নৌকায় ধরলা নদী পার হতে গিয়ে সবাই নৌকা ডুবিতে পরেছি। এ সময় সবাই সাঁতরিয়ে পাড়ে পৌছালেও কারও কারও বাজার খরচ, মোবাইল, বিদ্যুৎ বিলের কাগজপত্রসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পানিতে বিনষ্ট হয়েছে।

উত্তর কুমারপুরের মন্ডলপাড়া রাস্তায় পানি ওঠায় নারী ও শিশুদের জন্য চলাচলে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিয়েছে। হাঁটু পানি পার হতে গিয়ে হাজেরা বেগম (৫০) জানান, নাগেশ্বরীর চন্ডিপুরে বেটির বাড়িত তিনদিন থাকি আসলং। এলা দেখং রাস্তাত পানি উঠছে। বাড়ির যে কী অবস্থা কাঁই জানে।

বাবা মনির উদ্দিনকে (৬০) নিয়ে মেয়ে মেঘনা বেগম (২২) ভাসুরের মেয়ে আঁখিকে (৭) নিয়ে বাপের বাড়ি ফিরছিল। সড়কে পানি দেখে দাঁড়িয়ে পরল সে। বাবাকে বলল, বাড়ি থাকি নৌকা আনেন। ভিজি যাবার পাবার নং।

 

রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় শহরের উপকণ্ঠের মানুষও পরেছে চরম ঝুঁকির মধ্যে। রাতের মধ্যে আরও পানি বাড়লে বাড়ি ছেড়ে লোকজনকে বাঁধে আশ্রয় নিতে হতে পারে।

শেয়ার করুন .....




© 2018 allnewsagency.com      তত্ত্বাবধানে - মোহা: মনিকুল মশিহুর সজীব
Design & Developed BY ThemesBazar.Com