শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৪:০৯ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কয়রায় পথচারি ও ভ্যান চালকদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও স্যালাইন বিতরন চরফ্যাশনে মেঘনা নদীর তীরে মাটি কাটায় অর্থদণ্ড সোনাগাজীতে সিএনজি অটোরিকশা উল্টে চালক নিহত বাগআঁচড়া নাভারণ ও বেনাপোল সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নে মহান মে দিবস পালিত নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগ প্রতিকার ও নিষ্পত্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন শ্রীমঙ্গলে এক কিশোরকে কুপিয়ে জখম শিবগঞ্জের শাহাবাজ পুর ইউনিয়নে কমিউনিটি পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যস্ততার পরিবর্তে অস্তিত্ব টেকানোর লড়াইয়ে মৃৎশিল্পীদের তৈরি বিভিন্ন পণ্য আটপাড়ায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ আটপাড়ায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী আলী খানের উদ্যোগে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন
শারদীয় উৎসব , তুলির শেষ টান দিতে ব্যস্ত প্রতিমা শিল্পীরা

শারদীয় উৎসব , তুলির শেষ টান দিতে ব্যস্ত প্রতিমা শিল্পীরা

নিউজ ডেস্ক :
ক’দিন পরই সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। দেবী দুর্গা আসছেন মর্ত্যলোকে। দেবীর আগমন ঘিরে তাই এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন সিরাজগঞ্জের পালপাড়ার প্রতিমা কারিগররা। ধরণীর শক্ত মাটি নরম করে নিপুণ হাতে গড়েছেন দেব-দেবীর অবয়ব। শেষ মুহূর্তে রংতুলি আঁচড়ে সাজাচ্ছেন প্রতিমাগুলোকে।

বিভিন্ন মণ্ডপ ও পালপাড়ায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সিরাজগঞ্জের ভদ্রঘাটের পালপাড়াসহ মণ্ডপে মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির ধুম পড়েছে। সকাল থেকে রাত অবধি পরিশ্রম করে নানা ডিজাইনের প্রতিমা তৈরি করেছেন কারিগরা। প্রতিমার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে নারীরা নিপুণ হাতে পরম যতেœ দেবীর মুকুট, হাতের বাজু, গলার মালা, শাড়ির পাড়, প্রিন্ট, ঠাকুরের চুল ও মাথা তৈরি করছেন। আর পুরুষেরা সেগুলো সঠিকভাবে লাগিয়ে মাটি প্রলেপ লাগিয়ে অবয়বে রূপ দিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ রং তুলিতে নানা রংয়ে রাঙিয়ে দেবীকে ফুটিয়ে তুলছেন। প্রতিবছর সিরাজগঞ্জে তৈরি প্রতিমাগুলো জেলা ছাড়াও উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করা হয়ে থাকে।

কারিগর বিশা রানী পাল জানান, আর মাত্র ক’দিন বাকি রয়েছে। মহালয়ার মাধ্যমে দুর্গাপূজা শুরু হবে। তাই আমাদের ব্যস্ততা বেড়ে গেছে। সময়মতো মন্দিরগুলোতে প্রতিমা ডেলিভারি দেয়ার জন্য রাতদিন পরিশ্রম করতে হচ্ছে।

রং কারিগর শুভ জানান, দেবী মাতাকে ফুটিয়ে তুলতে রংতুলি দিয়ে নানা আল্পনা আঁকানো হচ্ছে। হাতের বালা, শাড়ির পাড় ও গলার মালায় রংতুলির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে।

কারিগর স্বপন, আনন্দ ও আল্পনা জানান, প্রতীমা তৈরির জন্য বাঁশ-খড় ও রংসহ উপকরণের দাম দ্বিগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু প্রতিমার দাম তেমন বৃদ্ধি পায়নি। যে কারণে তেমন লাভবান হবেন না তারা। দিনরাত পরিশ্রম করে শুধু দু’মুঠো ডালভাত হবে। আক্ষেপ করে বলেন, ‘অন্য কোন কাজ করতে না পারায় জাতিগত পেশা ছাড়তেও পারছি না। বাধ্য হয়ে কাজ করতে হবে।’ সরকারি-বেসরকারি সহায়তার দাবি জানিয়েছেন প্রতিমা কারিগরা।

জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সন্তোন কুমার কানু জানান, আগামী ১ অক্টোবর থেকে সিরাজগঞ্জ জেলায় ৫৬০ মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হবে। তবে এবার বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে থাকছে না কোন আলোকসজ্জা। তিনি প্রতিমা কারিগরদের দুর্দশার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে জানান, প্রতিমা কারিগরদের সহায়তার জন্য চেম্বার অব কমার্সেও কাছে আবেদন করা হয়েছে। তারাও আশ্বাস দিয়েছেন কারিগরদের সহায়তার জন্য।

শেয়ার করুন .....




© 2018 allnewsagency.com      তত্ত্বাবধানে - মোহা: মনিকুল মশিহুর সজীব
Design & Developed BY ThemesBazar.Com