রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ০৫:১০ পূর্বাহ্ন
ডা. মো. আব্দুস সালাম (শিপলু) :
বাংলাদেশ সরকারকে সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রুল খারিজকৃত নিষ্পত্তিকৃত রীট নং ৫৩৫/২০১৯ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ রায়ে বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি হোমিওপ্যাথি, ইউনানী, আয়ুবের্দিকের সার্বিক উন্নয়নে ভারতের মত আলাদা মন্ত্রণালয় আয়ুশ মন্ত্রণালয়ের মত বাংলাদেশে আলাদা একটি মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করতে সরকারকে পরামর্শ দেয়।
হোমিওপ্যাথি, ইউনানী, আয়ুর্বেদিকের জন্য আলাদা আলাদা কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করা। বাংলাদেশ সরকার কেন (হোমিওপ্যাথি, ইউনানী, আয়ুর্বেদিক) আলাদা একটি মন্ত্রণালয় ও আলাদা আলাদা মেডিকেল কাউন্সিল গঠনের প্রয়োজনীয়তা বুঝেনি? কি উদ্দেশ্যে উদ্যোগ নেয়নি? চক্রান্ত কেন? সমগ্র ভারত (কেন্দ্রীয় ও সকল প্রদেশে) হোমিওপ্যাথিক কাউন্সিল গুলোর সিদ্ধান্তে চিকিৎসক রেজিষ্ট্রেশন সনদে ডা. উপাধি লেখা ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণ ডা. উপাধি ব্যবহার করে আসছে। পাকিস্তানেও কাউন্সিলের সিদ্ধান্তে ডা. উপাধি লেখা। সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা হাইকোর্টে রীট করেও তা সরকারকে বাস্তবায়নে পূর্ণরায় নির্দেশ নিতে পারবে। আলাদা মন্ত্রণালয় ও কাউন্সিল গুলো অনেক ভাল ভাল সিদ্ধান্ত ও সমাধান এবং কাজ করতে পারবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতিকে বিশ্বের ২য় বৃহত্তম চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বাংলাদেশে বিবিসি (বাংলা) ও আশা ইউনিভার্সিটি যৌথ গবেষণা প্রতিবেদন-২০১৫ অনুযায়ী জানা যায় বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার ৪০ ভাগ জনগণ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহণ করে আসছে।
(মতামত)
=====================================
লেখক পরিচিতি :
ডা. মো. আব্দুস সালাম (শিপলু)
ডিএইচএমএস (রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ)
এমএসএস (সরকার ও রাজনীতি বিভাগ) এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ।
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ।
=====================================
অনুলিপি : হাইকোর্ট বিভাগ, রীট পিটিশন নং ৫৩৫/২০১৯ এর রায় কপি (১ম পাতা ও সর্বশেষ ৭১ পাতা)। (মহামান্য হাইকোর্টে রায় প্রদানের তারিখ ১৯/১১/২০২০ খ্রিষ্টাব্দ, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের ওয়েবসাইটে লিখিত রায় প্রকাশিত ১৪ আগস্ট ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ)।