রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
শিবগঞ্জের শাহাবাজ পুর ইউনিয়নে কমিউনিটি পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যস্ততার পরিবর্তে অস্তিত্ব টেকানোর লড়াইয়ে মৃৎশিল্পীদের তৈরি বিভিন্ন পণ্য আটপাড়ায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ আটপাড়ায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী আলী খানের উদ্যোগে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন ফুলছড়িতে পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ গঠন বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলে স্বর্ণের খোঁজে দিনরাত ইটভাটার মাটি খুঁড়াখুঁড়ি গোদাগাড়ীতে চাঁদাবাজি মামলায় দুই যুবক গ্রেপ্তার নয়ন খানকে ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চায় শিবগঞ্জ উপজেলাবাসী ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মাঠে নেমেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা ঠাকুরগাঁও জেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভা
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক কাউন্সিলে ডিএইচএমএস-দের উচ্চ শিক্ষা বিধি প্রনয়নে বর্হিবিশ্বের নথি

বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক কাউন্সিলে ডিএইচএমএস-দের উচ্চ শিক্ষা বিধি প্রনয়নে বর্হিবিশ্বের নথি

বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক কাউন্সিলে ডিএইচএমএস দের উচ্চ শিক্ষা বিধি প্রনয়নে ভারতসহ বর্হিবিশ্বের নথি
বাংলাদেশে জনসংখ্যার ৪০% লোক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গ্রহন করে আসছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে ১৯৭২খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশে ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্সের স্বপস্রষ্টা বঙ্গবন্ধু’র অনুমোদনে কোর্স চালু হয়। ১৯৭২খ্রিষ্টাব্দ হতে স্নাতক (পাস) তথা বিএস-সি (পাস) ডিগ্রি সমমান দাবি করলেও এখনও কোর্সের সমমান নির্ধারণ হয়নি। ডিএইচএমএস পাসকৃতদের উচ্চ শিক্ষা অর্জন অধিকার হলেও আমলাতান্ত্রিক কারণে নিশ্চিত হয়নি, তবে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে পাসকৃত বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ (২০২৩ সনের ৬৩ নং আইন) ও আইনের অধিনে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিলে চিকিৎসকদের, চিকিৎসা শিক্ষা ও উচ্চ শিক্ষা এবং মানোন্নয়ন, গবেষণা বিষয়টি এবং আইন অনুযায়ী বিধিমালা ও প্রবিধান প্রনয়ন করে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করবে। বাংলাদেশের মাঠ পর্যায়ে দাবি উল্থাপন করলে ও সরকারের বিভিন্ন প্রশাসনে ডিএইচএমএস কৃতরা এবং ভারত সহ বর্হিবিশ্বের হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারগণ মনে করে বাংলাদেশে ডিএইচএমএস হোমিওপ্যাথি পাসকৃত ডাক্তারদের কোর্সের সমমান ও উচ্চ শিক্ষার জন্য সমাধান ২টি :
(১) বাংলাদেশে পাকিস্তানের মতো ডিএইচএমএস কোর্সকে বিএস-সি (পাস) ডিগ্রি সমমান নির্ধারণ করা ও কাউন্সিলের মাধ্যমে কাউন্সিল কর্তৃক নিদিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় হতে সার্টিফিকেট প্রদান করা। অথবা :
(২) ভারতের মতো বাংলাদেশে ডিএইচএমএস কোর্সকৃত সকলকে কাউন্সিল কর্তৃক নিদিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত সর্ট কোর্সের মাধ্যমে সম্মানজনক বিএইচএমএস ডিগ্রি (স্নাতক সমমান) “Homoeopathy (Graded Degree Course) in B.H.M.S” সার্টিফিকেট প্রদান করা।
ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্স বহির্বিশ্বে সমাধান :
১। গণতান্ত্রিক ভারত : সরকার জনস্বার্থ গত শতাব্দী ৮০ দশকে ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্সকৃত (মাধ্যমিক পাসকৃতরা ডিএইচএমএস কোর্সে ভর্তি হয়ে ডিএইচএমএস কোর্সে পাসকৃত) সকল বয়সের চিকিৎসক, শিক্ষককে সর্ট কোর্স (গ্রেডেড ডিগ্রি কোর্স হলেও ব্রীজ কোর্স বা কনডেন্সড কোর্স বা পোস্ট বেসিক কোর্স/মৌলিক কোর্স হিসাবে অভিহিত) পরীক্ষার (সকল বয়সিদের নির্ধারিত একক কারিকুলামে একাডেমির ২ বছর ও ইন্টার্ণীশিপ ৬ মাস) মাধ্যমে বিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) সার্টিফিকেট প্রদান করে ও সকল হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজে ডিএইচএমএস (কোর্স) বিলুপ্ত করে সেগুলো কলেজে বিএইচএমএস (কোর্স) চালু হয়। ফলে ভবিষ্যৎ মুখি গণতান্ত্রিক ভারত সরকার ডিএইচএমএস ও বিএইচএমএস নিয়ে দ্বন্দ্ব ও অভিযোগ এবং আন্দোলন বা আদালতে মামলা করার সুযোগ চির অবসান করে।
২। পাকিস্তান : সরকার ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দ ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্সের নাম ডিএইচএমএস রেখে শুধু কোর্সের মান স্নাতক (পাস) ডিগ্রি সমমান প্রদান ও কোর্সকৃতদের বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক (পাস) ডিগ্রি সমমান সার্টিফিকেট প্রদান। (মাধ্যমিক পাসকৃতরা ডিএইচএমএস কোর্সে ভর্তি হবার পর ডিএইচএমএস কোর্সের প্রথম ২ বছর হলো ডিএইচএমএস কোর্সের ১ম বর্ষ ও ২য় বর্ষ পাস করার পর সরকারি শিক্ষা বোর্ড হতে উচ্চ মাধ্যমিক সমমানের এইচএসসি বিজ্ঞান সার্টিফিকেট প্রদান করে এবং ডিএইচএমএস কোর্সের পরবর্তী ২ বছর হলো ডিএইচএমএস কোর্সের ৩য় বর্ষ ও ৪র্থ বর্ষ পাস করার পর সরকারি জেনারেল/সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় হতে বিএস-সি পাস ডিগ্রি সমমান সার্টিফিকেট প্রদান করে এবং হোমিওপ্যাথিক কাউন্সিলের অধিনে ৬ মাস ইন্টার্ণীশিপ করার পর হোমিওপ্যাথিক কাউন্সিল হতে ডাক্তার হিসাবে চিকিৎসক রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্র প্রদান করে)। বর্তমানে শুধুমাত্র ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্সকৃতরা সরাসরি বিএইচএমএস কোর্সে ৩য় বর্ষে ভর্তি ও কোর্সে পাস করে এমডি করতে পারে।
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ বৈশিষ্ট্য সমূহের মধ্যে অন্যতম কয়েকটি হলো :
(১) হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষায় সরকার স্বীকৃত ডিগ্রি ডিএইচএমএস ও বিএইচএমএস নিবন্ধন এবং নিবন্ধিত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণ (Homoeopathic Doctors) তাদের নামের পূর্বে ডা. পদবী ব্যবহার করতে পারবেন [আইন : ১৯(২), ৭(ক), ২(১৩) ধারা সমূহ]
(২) হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষায় সরকার স্বীকৃত ডিগ্রি ডিএইচএমএস ও বিএইচএমএস চিকিৎসকগন অনুমোদিত বিধি-বিধানের আলোকে স্ব স্ব ক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষার অধিকার পাবেন [আইন : ৭(খ)(গ)(ছ) ধারা সমূহ]
(৩) হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষার উন্নয়নে জাতীয় ভাবে গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও গবেষণার সুযোগ সুবিধার সৃষ্টি করা যাবে [আইন : ১৪(ঠ), ৭(গ) ধারা সমূহ]
(৪) অবৈধ ও ভূয়া ডিগ্রিধারী, নিবন্ধনহীন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণকে আইনের আওতায় শাস্তি প্রয়োগ করা যাবে [আইন : ৩০, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৩৭ ধারা সমূহ]
(৫) হোমিওপ্যাথির উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন ও বিধি-প্রবিধান প্রনয়ন করবে [আইন : ৪৩, ৪৪ ধারা সমূহ]
ভারতে হোমিওপ্যাথিক কাউন্সিলের অধিনে ডিএইচএমএস পাসকৃতদের উচ্চ শিক্ষায় “Homoeopathy (Graded Degree Course) B.H.M.S. Regulations 1983, India” আইন (নীতিমালা) :
ভারতে সকল প্রদেশে হোমিওপ্যাথিক কাউন্সিল এর অধিনে ডিএইচএমএস ডিগ্রিধারী হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারদের উচ্চ শিক্ষার নীতিমালা প্রনয়নে ভারতের “Homoeopathy (Graded Degree Course) B.H.M.S. Regulations 1983, India” (নীতিমালা)। ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) পাসকৃতদের কে (সর্ট কোর্স বা ব্রীজ কোর্স বা কনডেন্সড কোর্স বা Basic Course) Basic Course মাধ্যমে বিএইচএমএস ডিগ্রি ও স্নাতক মান আইন। [ভারত : ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) পাসকৃতরা ২ বছর একাডেমিক ও ৬ মাস ইন্টার্নশীপ করার মাধ্যমে বিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) ডিগ্রি ও স্নাতক সমমান এবং বিশ্ববিদ্যালয় হতে সার্টিফিকেট প্রদান করে]
গণতান্ত্রিক ভারত ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্স স্নাতক সমমান ও সমাধান করতে গণতান্ত্রিক ভারত সরকার গত উনিশ শতাব্দীর ৮০ দশকে “Homoeopathy (Graded Degree Course) B.H.M.S. Regulations, 1983, India” প্রণয়ন ও সরকারি গেজেট করে ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্সকৃত সকল চিকিৎসক, শিক্ষককে সর্ট/ব্রীজ কোর্স পরীক্ষার মাধ্যমে বিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) সার্টিফিকেট প্রদান করে ও সকল হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজে কয়েক দশকের পুরাতন ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্স বিলুপ্ত করে সেগুলো কলেজে আপডেট বিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্স চালু হয়। ফলে ভবিষ্যৎ মুখি গণতান্ত্রিক ভারত সরকার ডিএইচএমএস ও বিএইচএমএস নিয়ে দ্বন্দ্ব ও অভিযোগ এবং আন্দোলন বা আদালতে মামলা করার সুযোগ চির অবসান করে।
[Regulations : Short title and commencement, Definitions, Course Study/Graded Degree Course, Admission of Course/Minimum qualification, The Curriculum/Subjects, Syllabus/Syllabus for Graded Degree Course, Examination B.H.M.S. Graded Degree Course Examination/Admission to examination, scheme of examination etc, Results and Readmission to Examination, Examiners…]
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল ডিএইচএমএস পাসকৃতদের সমমান ও উচ্চ শিক্ষায় অধিকার নিশ্চিতে পদক্ষেপ দরকার :
সাবেক শিক্ষানীতি আলোকে ডিএইচএমএস কোর্স (শিক্ষার স্তরঃ ১১তম স্তর হতে ১৪তম স্তর) ১৯৭২খ্রিষ্টাব্দ হতে একাডেমিক ৪ বৎসর ও ইন্টার্ণশীপ ৬ মাস (যখন অন্যান্য সকল ডিপ্লোমা কোর্স ছিল ২/৩ বছর মেয়াদি)। ডিএইচএমএস পাসকৃতরা বিএস-সি (পাস) ডিগ্রি সমমান দাবি করে আসছে (এইচএসসি ২ বছর ও বিএস-সি পাস ডিগ্রি সমমান ২ বছর এবং ইন্টার্ণশীপ ৬ মাস)। বর্তমানে জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০খ্রি. এর আলোকে ডিএইচএমএস কোর্স (শিক্ষার স্তরঃ ১১তম স্তর হতে ১৫তম স্তর) ডিএইচএমএস কোর্স একাডেমিক ৪/৫ বৎসর ও ইন্টার্ণশীপ ১ বৎসর করা যায় (এইচএসসি সমমান ২ বছর ও বিএস-সি পাস ডিগ্রি সমমান ৩ বছর এবং ইন্টার্ণশীপ ১ বছর)। ডিএইচএমএস কোর্সের সমমান বাংলাদেশে ১৯৭২খ্রিষ্টাব্দ হতে এখনও নির্ধারণ হয়নি। ফলে কাউন্সিল সমমান প্রদান ও উচ্চ শিক্ষা অধিকার নিশ্চিত করতে পারবে।
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল এর নিকট ডিএইচএমএস পাসকৃতদের সমমান প্রদানে সমাধান :
(১) বাংলাদেশে পাকিস্তানের মতো ডিএইচএমএস কোর্সকে বিএস-সি (পাস) ডিগ্রি সমমান নির্ধারণ করা ও বিশ্ববিদ্যালয় হতে সার্টিফিকেট প্রদান করা।
অথবা :
(২) ভারতের মতো বাংলাদেশে ডিএইচএমএস কোর্সকৃত সকলকে সর্ট কোর্সের মাধ্যমে সম্মানজনক বিএইচএমএস ডিগ্রি (স্নাতক সমমান) সার্টিফিকেট প্রদান করা।
(৩) বাংলাদেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর বিএফএ (পাস) ডিগ্রি কোর্সের ভর্তির যোগ্যতা : মাধ্যমিক পাস (শিক্ষার স্তরঃ ১০ম স্তর)। বিএফএ কোর্স (শিক্ষার স্তরঃ ১১তম হতে ১৫তম স্তর), বর্তমান ৫ বৎসর মেয়াদি কোর্স। ১ম বর্ষ ও ২য় বর্ষ= বিএফএ (প্রিলিমিনারী) ও ৩য় বর্ষ, ৪র্থ বর্ষ, ৫ম বর্ষ= বিএফএ (পাস) ডিগ্রি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে বিএফএ (Bachelor of Fine Arts) স্নাতক (পাস) ডিগ্রি সমমান সার্টিফিকেট প্রদান। ডিএইচএমএস পাসকৃত সাবেক দেরকে স্নাতক (পাস) সার্টিফিকেট প্রদান করা যায়, বর্তমান ডিএইচএমএসদের বেলায় কোর্স একাডেমির ৪/৫ বছর ও ইন্টার্ণশীপ ১ বছর করা যায়।
(৪) ১৯৭২ হতেই আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ডিএইচএমএস কোর্স ৪ বছর ৬ মাস যখন অন্যান্য ডিপ্লোমা কোর্স ছিল ২/৩ বছর। বর্তমানে ২/৩ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স এইচএসসি সমমান ও ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স হলো প্রথম ২ বছর হলো এইচএসসি সমমান ও পরবর্তী ২ বছর হলো এইচএসসি উর্দ্ধে (যেটা উচ্চ শিক্ষা অর্জনে অর্ধেক বা কম সময় লাগে, উদাহরণ : সুবিধা কম সময়ে বা অর্ধেক সময়ে করতে পারে ও বয়সের বাঁধা নেই কনডেন্সড কোর্স/গ্রেডেড ডিগ্রি/বিএস-সি ব্যাসিক কোর্স বা ভারত ডিএইচএমএস’দের উচ্চ শিক্ষায় Homoeopathy (Graded Degree Course) in B.H.M.S. কোর্স)।
সময়ের চাহিদায় ও মাঠ পর্যায় হতে হোমিওপ্যাথদের দাবিতে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল “ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি” ৪ বছর ৬ মাস মেয়াদি কোর্সটি বর্তমানে একাডেমি ৪/৫ বছর ও ইন্টার্ণশীপ ১ বছর করা, অনলাইন আবেদন ও কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহন, বয়স নির্ধারণ, বিজ্ঞান বিভাগ, সেমিস্টার পদ্ধতি, কোর্সের জন্য কাউন্সিলের নিজস্ব পাঠ্যপুস্তক ছাপানো, পার্ট ও ব্যবহারিকের পূর্ণমান বাড়ানো, আসন সংখ্যা নির্ধারণ, ক্লাসে ৭৫% উপস্থিতি ও চূড়ানো পরীক্ষায় অংশগ্রহনে সুযোগে কড়াকড়ি আরোপ, শিক্ষক প্রশিক্ষণ সহ অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহন করতে পারে।
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল ডিএইচএমএস হোমিওপ্যাথিকদের উচ্চ শিক্ষার জন্য সমগ্র ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে চালুছিল “Homoeopathy (Graded Degree Course) B.H.M.S. Regulations 1983, India” (নীতিমালা)” আলোকে ডিএইচএমএস’দের উচ্চ শিক্ষার Graded Degree in BHMS (২ বছর ৬ মাস মেয়াদি কোর্সটি)  বাংলাদেশে ১০ বছর পর্যন্ত একাডেমির ২ বছর ও ইন্টার্ণশীপ ১ বছর চালু করতে পারে। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের ও বর্হিবিশ্বের অনেক দেশের হোমিওপ্যাথিকগণ কোর্সটি নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছেন। বাংলাদেশে কোর্সটি অনুমোদন ও চালু করলে অনেকে বাংলাদেশে এসে আবাসিকভাবে কোর্সটি করবে। ফলে সরকার ও কাউন্সিল বিভিন্নভাবে লাভবান হবে।
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল এর অধিনে ডিএইচএমএস ডিগ্রিধারী হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারদের উচ্চ শিক্ষার নীতিমালা প্রনয়নে ভারতের “Homoeopathy (Graded Degree Course) B.H.M.S. Regulations 1983, India” (নীতিমালা) ও পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের নথি সংগ্রহ ও প্রদান করা হলো। বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়ে পাস এবং ডা. পদবি বহাল করতে নথি/ডকুমেন্টস সহ অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। ভারতের হোমিওপ্যাথি আইন এবং পাকিস্তানের হোমিওপ্যাথি আইন গুলো সংগ্রহ করতে নিজেকে অনেক বেগ পেতে হয়েছে।
পরিশেষ :
=====
যারা বাংলাদেশে ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্সের স্নাতক (পাস) মান করার জন্য বাস্তবায়ন কমিটি করে নেতৃত্ব বা গত ৮০ দশক বা ৯০ দশকে বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথি আন্দোলন করেছেন বলে প্রচার করেন। তাদের নিকট অনেক ডকুমেন্ট ও প্রস্তাবিত আইনের কপি থাকলেও দেখার জন্য অনুরোধ করা সত্বেও প্রদান করেনি। গত উনিশ শতকের ৮০ দশক বা ৯০ দশকে বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথি নেতৃবৃন্দ ডিএইচএমএস দের জন্য কিছুই করেনি। কিছু সংখ্যক নেতৃবৃন্দ সর্ট বিএইচএমএস কোর্সের মাধ্যমে স্নাতক মান ঠিকই নিয়ে নিয়েছে। এখনও পরে আছে বৃহত্তম বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশে সরকারি সমমানবিহীন ডিএইচএমএস কোর্সকৃতরা। বাংলাদেশের সে সময়কার হোমিওপ্যাথি নেতৃবৃন্দ কোর্সের সমমান নির্ধারণ দাবি আদায় ও বাস্তবায়ন করলে বাংলাদেশের বর্তমান মহান মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী প্রজম্মকে স্নাতক (পাস) সমমান করা ও ডিএইচএমএস কৃতদের উচ্চ শিক্ষার অধিকারের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হতোনা। ভারতের হোমিওপ্যাথি আইন ও পাকিস্তানের হোমিওপ্যাথি আইন সহ অনেক সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথি/ডকুমেন্টস অনেক চেষ্টা এবং অনেক পরিশ্রমে ব্যক্তিগতভাবে সংগ্রহ করে বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথির সার্বিক উন্নয়নে ও পদক্ষেপ গ্রহন করতে জনস্বার্থে সরকারি হোমিওপ্যাথি কর্তৃপক্ষসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সরকারি বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মাধ্যমে রেজিস্টার্ড করে প্রেরন করা হয়েছে। জনস্বার্থে আবারো প্রেরন ও প্রকাশিত করা হলো। অনেক বাঁধা ও পথ অতিক্রম করে এবং মাঠ পর্যায় হতে নিজের ও সম্মানিত ডিএইচএমএস ডাক্তারদের দীর্ঘ সংগ্রাম এবং সার্বিক সহযোগিতায় স্বাধীনতার পাঁচ দশক পর বৃহত্তর অর্জন “বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩” ও সে আইনে অন্তর্ভুক্ত “বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল”। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ এর পাসকৃত আইন বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ এর অধিন সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল (সাবেক বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড) এর রেজিস্ট্রার (সদস্য-সচিব) কে পূর্ণরায় প্রেরন করা হলো। এগিয়ে যাক বাংলাদেশ ও সার্বিকভাবে এগিয়ে যাক বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথি।
(মতামত)
=====================================
লেখক পরিচিতি :
ডা. মো. আব্দুস সালাম (শিপলু)।
ডিএইচএমএস (রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ)
(চিকিৎসক, শিক্ষক, কেন্দ্রীয় হোমিওপ্যাথি নেতা ও শিক্ষক নেতা, কলামিস্ট ও প্রাক্তন সাংবাদিক)
বগুড়া, বাংলাদেশ।
২৩ নভেম্বর ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।

শেয়ার করুন .....




© 2018 allnewsagency.com      তত্ত্বাবধানে - মোহা: মনিকুল মশিহুর সজীব
Design & Developed BY ThemesBazar.Com