মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন
বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার (৯ মে) এ ব্যাপারে স্থানীয় এলাকাবাসীকে সতর্ক করে সীমান্তের শূন্য রেখায় যেতে নিষেধ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির চরধরমপুর সীমান্ত ফাঁড়ির কর্মকর্তারা। এ ব্যাপারে বিজিবি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও জনগণকে সতর্ক করার ব্যাপারে জানিয়েছে।
আজ সোমবার (১২ মে) দুপুর পর্যন্ত এ ব্যাপারে সীমান্তে কোনো উত্তেজনা নেই এবং সীমান্ত পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সূত্রগুলো।
সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য সাদিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভারতের প্রায় আধা কিলোমিটার অভ্যন্তরে বালুর বস্তা দিয়ে মরিচা জাতীয় (বাংকার) স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। ওই সীমান্তে দু’দেশের মাঝে রয়েছে মহানন্দা নদী ও গাছপালা।
তিনি আরো জানান, গত শুক্রবার গ্রামের দুটি মসজিদে জুম্মার নামাজের সময় বিজিবির চরধরমপুর বিওপি কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়ে সীমান্তবাসীকে সীমান্তে না যেতে সতর্ক করেন। বিজিবি সতর্ক করার পর বিষয়টি এলাকাবাসী জানতে পারেন। এর আগে বিষয়টি তাদের নজরে আসেনি।
ভোলাহাট থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাটি অবগত। তবে এটি ভারতের ভেতরে তাদের নিজেদের এলাকার ব্যাপার। সীমান্ত এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক রয়েছে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা ব্যাটালিয়নের (৫৯ বিজিবি) চরধরমপুর বিওপি কমান্ডার নায়েব সুবেদার আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘মেইন আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার নম্বর ১৩ এস এবং ১৭-আর এর বিপরীতে ভারতের ৫০০ গজ অভ্যন্তরে বালুর বস্তা ব্যবহার করে বাংকার জাতীয় দুটি স্থাপনা নির্মাণ করেছে বিজিবি।
৫৯ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘সীমান্তের প্রায় পাঁচ শ গজ ভেতরে ১২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন ভারতীয় এলাকায় (নিজস্ব পেরিফেরিতে) স্থাপনা নির্মাণ হয়েছে। এটি তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার।’
সীমান্তবাসী জনগণকে সতর্ক করার ব্যাপারে অধিনায়ক বলেন, ‘এটি নতুন কোনো ঘটনা নয়। রুটিন ব্যাপার। তাদের শূন্যরেখা এলাকায় না যেতে সব সময় বারণ করা হয়।’