সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ১১:১৯ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কয়রায় পথচারি ও ভ্যান চালকদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও স্যালাইন বিতরন চরফ্যাশনে মেঘনা নদীর তীরে মাটি কাটায় অর্থদণ্ড সোনাগাজীতে সিএনজি অটোরিকশা উল্টে চালক নিহত বাগআঁচড়া নাভারণ ও বেনাপোল সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নে মহান মে দিবস পালিত নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগ প্রতিকার ও নিষ্পত্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন শ্রীমঙ্গলে এক কিশোরকে কুপিয়ে জখম শিবগঞ্জের শাহাবাজ পুর ইউনিয়নে কমিউনিটি পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যস্ততার পরিবর্তে অস্তিত্ব টেকানোর লড়াইয়ে মৃৎশিল্পীদের তৈরি বিভিন্ন পণ্য আটপাড়ায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ আটপাড়ায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী আলী খানের উদ্যোগে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন
ইন্দোনেশিয়ায় ১৮৪ জন রোহিঙ্গা

ইন্দোনেশিয়ায় ১৮৪ জন রোহিঙ্গা

মিয়ানমারের আরাকান প্রদেশ ও বাংলাদেশের টেকনাফের শরণার্থী শিবির থেকে ১৮৪ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু নৌপথে ইন্দোনেশিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় আচেহ প্রদেশে পৌঁছেছেন। রোববার গভীর রাতে এই রোহিঙ্গাদের বহনকারী নৌকাগুলো প্রদেশে পূর্ব আচেহ জেলার গিয়ে ভেড়ে।

ঠিক কতগুলো নৌকায় করে তারা পূর্ব আচেহতে গেছেন— তা জানা যায়নি। তবে স্থানীয় জেলে সম্প্রদায়ের জেষ্ঠ্য সদস্য মিফতাহ কুত আদে এবং পুলিশের মুখপাত্র কামিল বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানান, রোববার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৩ টার দিকে এই রোহিঙ্গারা পৌঁছান। তাদের মধ্যে ৯০ জন নারী ও শিশু রয়েছেন এবং শারীরিকভাবে সবাই সুস্থ আছেন।’

বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত জনগোষ্ঠীর তকমা পাওয়া রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের সবচেয়ে অবহেলিত- অধিকারবঞ্চিত জনগোষ্ঠী ইতোমধ্যে বিশ্বের অন্যতম নিপীড়িত জনগোষ্ঠীর তকমা পেয়েছে। ২০১৭ সালে আরাকান রাজ্যের কয়েকটি পুলিশ ও সেনা ছাউনিতে একযোগে বোমা বিস্ফোরণের পর স্থানীয় রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।

অভিযানে অব্যাহত হত্যা-ধর্ষণ-নির্যাতন-লুটপাট-গ্রামের পর গ্রাম অগ্নিসংযোগের মুখে টিকতে না পেরে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেন প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশু।

মিয়ানমারে কোনো ভবিষ্যত নেই বুঝতে পেরে গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সাগরপথে বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাচ্ছেন রোহিঙ্গারা। অন্যদিকে, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা যখন বুঝতে পেরেছেন— এই দেশের মূলস্রোতে মিশে যাওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়, তখন তারাও শামিল হচ্ছেন এই যাত্রায়।

ফলে সাগরপাড়ি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রোহিঙ্গাদের হার দিন দিন বাড়ছে। ২০২২ সালে যত সংখ্যক রোহিঙ্গা সাগর পাড়ি দিয়ে ইন্দোনেশিয়া-মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ডে পৌঁছেছেন— তা গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা।

আবহাওয়াগত কারণে নভেম্বর থেকে এপ্রিল— ৫ মাস শান্ত থাকে এশিয়া অঞ্চলের সাগরগুলো। এ কারণে এই সময়েই হয় অধিকাংশ নৌযাত্রা। তবে যেসব নৌকা ব্যবহৃত হয়— সেসবের অধিকাংশই থাকে ত্রুটিপূর্ণ। ফলে রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুরা নিজেদের জীবন হাতে নিয়েই ওঠেন এসব নৌকায়।

নৌকাডুবি, বৈরী সামুদ্রিক আবহাওয়া ও ক্লান্তিজনিত কারণে গত এক দশকে অসংখ্য রোহিঙ্গার সলিল সমাধি ঘটেছে বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরে।

শেয়ার করুন .....




© 2018 allnewsagency.com      তত্ত্বাবধানে - মোহা: মনিকুল মশিহুর সজীব
Design & Developed BY ThemesBazar.Com