রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন
নিউজ ডেস্ক: আবারো আলোচনায় মিয়ানমার ইস্যু। সীমান্তের ওপার থেকে এখনো মাঝে মধ্যে ভেসে আসছে গুলির শব্দ। তাই সীমান্ত বেড়ার এপারে বাংলাদেশিরা আছেন শংকায়। কারণ মিয়ানমারে চলমান যুদ্ধে জান্তা বাহিনী রাখাইন রাজ্যজুড়ে সাঁড়াশি অভিযান চালাতে পারে এ আশঙ্কায় সীমান্ত এলাকায় জড়ো হয়েছে শত শত রোহিঙ্গা। তাদের অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ ঘটাতে তৎপরও রয়েছেন কিছু দালাল চক্র। যারা বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা শিবিরেই বসবাসরত।
২০১৭ সালের ন্যায় এসব দালাল চক্র ওপার থেকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে আসার জন্য ফাঁক-ফোকর খুঁজছে। তবে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। নাফ নদীতে কোস্টগার্ডের নৌ টহল চলছে নিয়মিত। এছাড়া স্থল সীমান্ত এলাকায় প্রতি দশ ফুট অন্তর বিজিবির পাহারা মোতায়েন রয়েছে।
সীমান্তের ওপারে অনিশ্চিত অবস্থায় থাকা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে মানবিক কারণে আশ্রয় দেওয়ার সর্বশেষ জাতিসংঘের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানোর পর দালাল চক্র মূলত নতুন করে তৎপর হয়ে উঠেছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
তবে সীমান্ত এলাকাজুড়ে বিজিবি ও কোস্টগার্ড রাত-দিন কড়া নজরদারি করছে। আর কোনো রোহিঙ্গাকে এদেশে আসতে দেওয়া হবে না- বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে পুরো মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা সীল করেই রাখা হয়েছে। সতর্ক অবস্থানে থাকার কথা জানিয়েছেন কক্সবাজারের উখিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: রাসেল।
রাখাইন রাজ্যে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সংঘাতের কারণে টেকনাফ সীমান্তের বিপরীতে নলবুনিয়া, পেরংপুর, নুরুল্লাপাড়া, আজিজের বিল, কাদির বিল, মেগিচং,মাংগালা, ফাদংচা ও হাস্যুরতা এলাকায় রোহিঙ্গারা অবস্থান নিয়ে আছে।
সূত্র জানিয়েছে, মংডু শহরের অদূরে সীমান্ত এলাকাজুড়ে অন্তত ৩৫ হাজার রোহিঙ্গার বসবাস। রাচিদং, বুচিদং ও সিটওয়ে (আকিয়াব) অঞ্চলে রয়েছে আরও পাঁচ লক্ষাধিক রোহিঙ্গার বসতি। আরাকান আর্মি উত্তর মংডু তথা তুমব্রু রাইট ক্যাম্প থেকে শুরু করে নাইচাদং সীমান্ত ফাঁড়ি পর্যন্ত সীমান্ত এলাকা ও মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর ঘাঁটিগুলো আরাকান আর্মির দখলে চলে গেছে। সৃত্র: পার্সটুডে