শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১২:৪৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কয়রায় পথচারি ও ভ্যান চালকদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও স্যালাইন বিতরন চরফ্যাশনে মেঘনা নদীর তীরে মাটি কাটায় অর্থদণ্ড সোনাগাজীতে সিএনজি অটোরিকশা উল্টে চালক নিহত বাগআঁচড়া নাভারণ ও বেনাপোল সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নে মহান মে দিবস পালিত নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগ প্রতিকার ও নিষ্পত্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন শ্রীমঙ্গলে এক কিশোরকে কুপিয়ে জখম শিবগঞ্জের শাহাবাজ পুর ইউনিয়নে কমিউনিটি পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যস্ততার পরিবর্তে অস্তিত্ব টেকানোর লড়াইয়ে মৃৎশিল্পীদের তৈরি বিভিন্ন পণ্য আটপাড়ায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ আটপাড়ায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী আলী খানের উদ্যোগে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন
রাশাহীতে সাংবাদিকে পেটালেন আ.লীগ নেতা

রাশাহীতে সাংবাদিকে পেটালেন আ.লীগ নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক :

রাজশাহীতে প্রকাশ্যে সাংবাদিক তুলে নিয়ে গিয়ে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক পেটালেন আওয়ামী লীগের পবা ইউপি সভাপতি সোহরাব আলী মন্ডল। তিনি ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার তৃতীয় দিনে তিনি দৈনিক সানশাইনের অনলাইন ভার্সনের সম্পাদক আসাদুল্লাহ গালিব (৩৫)কে তুলে নিয়ে গিয়ে দলীয় কার্যালয়ে মারপিট করেন। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধারে গেলে তার পিতা হেলাল উদ্দিন তালুকদার (৬৫) এগিয়ে এলে তার উপরও হামলা করে মারপিট করা হয়।

গত বুধবার রাত ৮ টার দিকে এ হামলায় আহত সাংবাদিক আসাদুল্লাহ গালিব রাজশাহী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ক সম্পাদক হিসেব দায়িত্বে আছেন তিনি। তার পিতা হেলাল উদ্দিন একজন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমলে দীর্ঘ প্রায় ১৩ বছর পারিলা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।

আহত সাংবাদকি গালিব জানান, সোহরাব আলীর বিভিন্ন কুকৃর্তী নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এতে তিনি ক্ষুদ্ধ হন। ফলে সভাপতি হওয়ার তৃতীয় দিনেই সাংবাদিকের উপর হামলা করে সেই শোধ নিলেন।

তিনি বলেন, গত ১৬ জুন পারিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে ফাহিমা বেগম নামে এক নেত্রী রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেই সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকায় ও অনলাইনে প্রকাশ হওয়ার জের ধরেই মূলত তার উপর হামলা করা হয়। হামলায় সরাসরি অংশ নেন সোহরাবের ভাই কামরুল, আসাদুল, ছেলে সৌমিকসহ তার অনুসারীরা। হাটের মধ্যে শতশত লোকজনের সামনে তারা পরিকল্পিতভাবে হামলা চালান।

গালিব আরও বলেন, হামলার আগে আসাদুল ও স¤্রাট তার দুই হাত চেপে ধরে টেনে হিচড়ে পারিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিসে নিয়ে যায়। আগে থেকে সোহরাব সেখানে ছিলেন। আওয়ামী লীগ অফিসের ভিতরেই আমাকে মারধর করেন সকলে মিলে। খবর পেয়ে আমার আব্বা আমাকে বাঁচাতে গেলে তার উপরেও হামলা চালান।

তিনি বলেন, আমাকে মারার সময় সোহরাব ও তার ছেলে উচ্চস্বরে চিৎকার করে বলছিল খায়রুজ্জামান লিটন মেয়র তোর বাপ হয় আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিস। এখন ঢাক তোর বাপ মেয়রকে দেখিকে আগাতে আসে কিনা। এ সময় মেয়রকে গালিগালাজ করে আর আমাকে মারপিট করে।

তিনি আরও জানান, গোরস্থানের জমি গোপণে অন্যের কাছে বিক্রির সময় স্থানীয় জনগণের তোপের মুখে পড়ার সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রচারিত হলে সে সময় তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়া হয়। বিভিন্ন ব্যবসায়ীর টাকা নিয়ে শোধ না করার ঘটনা খুব স্বাভাবিক বিষয় তার কাছে। কয়েক বছরের মধ্যে সামান্য ব্যবসায়ী থেকে কয়েক কোটি টাকার সম্পদ করেছেন রাজনীতির পদ বাগিয়ে। এসব বিষয় নিয়ে সংবাদ প্রচারের কারণে আমার উপর এ হামলা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে আওয়ামী লীগ নেতা সোহরাব আলীকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন জানান, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত করে প্রয়োজনী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

শেয়ার করুন .....




© 2018 allnewsagency.com      তত্ত্বাবধানে - মোহা: মনিকুল মশিহুর সজীব
Design & Developed BY ThemesBazar.Com