শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন
পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোও পরিস্থিতি মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পৃথিবীতে যখন অর্থনৈতিক মন্দা দেখা যায়, তার ধাক্কাটা আমাদের ওপরেও এসে পড়ে।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ মানুষ পাচ্ছে, পাবে, তবে এখানে সবাইকে একটু মিতব্যয়ী হতে হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের মিতব্যয়ী হতে হচ্ছে, বর্তমান পরিস্থিতির কারণে আমরা বাধ্য হচ্ছি।
এসময় বৈশ্বিক মন্দা পরিস্থিতিও করোনার মতো শক্ত হাতে মোকাবিলা করে দেশের মানুষকে স্বস্তি দেবেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ১০টায় গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটে রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভ্যাসেল (আরপিভি) বা পারমাণবিক চুল্লিপাত্র স্থাপন কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি যেভাবে করোনা মোকাবিলা করেছি, বিশ্বজুড়ে তৈরি হওয়া মন্দা পরিস্থিতিও মোকাবিলা করতে পারব। আমরা জানি অনেকেই সেটার সমালোচনা করবে, কিন্তু আমরা সেদিকে কান না দিয়ে দেশের প্রতি, জনগণের প্রতি যে দায়িত্ব সেটি আমরা অবশ্যই পালন করব।
শেখ হাসিনা বলেন, পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোও পরিস্থিতি মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে। তারাও সাশ্রয়ের দিকে নজর দিয়েছে। বাংলাদেশ সেদিক থেকে পিছিয়ে নেই। পৃথিবীতে যখন অর্থনৈতিক মন্দা দেখা যায়, তার ধাক্কাটা আমাদের ওপরেও এসে পড়ে।
সরকারপ্রধান বলেন, দেশে বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি ক্ষেত্রে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র অবদান রাখবে। আজকে বাংলাদেশের জন্য বিরাট অর্জনের দিন। এটা আমাদের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। বাংলাদেশের মানুষের জন্য অত্যন্ত সম্মান বয়ে আনবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটে রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভ্যাসেল (আরপিভি) বা পারমাণবিক চুল্লিপাত্র স্থাপনের কাজ উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী গত বছরের ১০ অক্টোবর দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটে পারমাণবিক চুল্লিপাত্র স্থাপনের কাজ উদ্বোধন করেছিলেন।
সরকার আশা করছে, আগামী বছর রূপপুরের ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রথম ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা যাবে। সব ঠিক থাকলে ২০২৪ সালে দ্বিতীয় ইউনিট থেকেও বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে।