মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৯:৫৯ অপরাহ্ন
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে গত ৭ অক্টোবর থেকে যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধ বাধার পর চতুর্থবারের মতো ইসরায়েলে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ইসরায়েলে পৌঁছে ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, এবারের সফরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েলকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন— গাজায় তারা আর ব্যাপক প্রাণহানি মেনে নেবেন না।
ইসরায়েল হুমকি দিয়েছে যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পরই গাজায় আবার তাদের হামলা শুরু হবে। নতুন হামলার লক্ষ্যবস্তু হবে গাজার দক্ষিণাঞ্চল। যেখানে বর্তমানে গাজার উত্তরাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। উত্তরাঞ্চলে হামলা চালানোর সময় সাধারণ মানুষকে দখলদার ইসরায়েলি সেনারাই দক্ষিণ দিকে সরে যেতে বলেছিল।
যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে বার্তা দিয়েছে, যদি তারা দক্ষিণাঞ্চলেও কথিত সামরিক অভিযান সম্প্রসারণ করতে চায়— তাহলে কৌশলে পরিবর্তন আনতে হবে। যেন উত্তরাঞ্চলের মতো দক্ষিণাঞ্চলে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু না হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের এক উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন, ‘উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েল যা করেছে দক্ষিণাঞ্চলে তারা সেটি করতে পারবে না।’
গতকাল ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভার সদস্য বেনি গানজ হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যে কোনো মুহূর্তে হামলা শুরু হতে পারে। উপত্যকার যেখানে প্রয়োজন সেখানেই লড়াই সম্প্রসারিত হবে। কোনো শহর বাকি থাকবে না।’
তবে যুক্তরাষ্ট্র এখন যে বার্তা দিচ্ছে, সেটি ইসরায়েল শুনছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে ইসরায়েলের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বক্তব্যের মাধ্যমে। তিনি গতকাল সাংবাদিকদের বলেছেন, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে তারা যে সামরিক অভিযান চালাবেন সেটি ‘ভিন্ন’ হবে।
তিনি জানান, হতাহত হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে ফিলিস্তিনিদের ওপর। তারা যদি ‘সেফ জোনে’ চলে যায় তাহলে আর ইসরায়েলিদের হামলার শিকার হবে না।
সূত্র: বিবিসি