শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১০:২৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কয়রায় পথচারি ও ভ্যান চালকদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও স্যালাইন বিতরন চরফ্যাশনে মেঘনা নদীর তীরে মাটি কাটায় অর্থদণ্ড সোনাগাজীতে সিএনজি অটোরিকশা উল্টে চালক নিহত বাগআঁচড়া নাভারণ ও বেনাপোল সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নে মহান মে দিবস পালিত নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগ প্রতিকার ও নিষ্পত্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন শ্রীমঙ্গলে এক কিশোরকে কুপিয়ে জখম শিবগঞ্জের শাহাবাজ পুর ইউনিয়নে কমিউনিটি পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যস্ততার পরিবর্তে অস্তিত্ব টেকানোর লড়াইয়ে মৃৎশিল্পীদের তৈরি বিভিন্ন পণ্য আটপাড়ায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ আটপাড়ায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী আলী খানের উদ্যোগে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন
গোদাগাড়ী সোনালী ব্যাংকে লোন পেতে হয়রানী ও অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

গোদাগাড়ী সোনালী ব্যাংকে লোন পেতে হয়রানী ও অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

সামিউল ইসলাম, রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে ঋণ নিতে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ঋণ পেতে হয়রানী ও অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ তুলে ভূক্তভোগী গোদাগাড়ী উপজেলার চান্দলাই পরগনা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গোলম শারওয়ার মুরশেদ গত ৪ ফেব্রুয়ারী সোনালী ব্যাংক রাজশাহী প্রধান অফিসের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, চাঁন্দলাই পরগনা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গোলাম শারওয়ার মুরশেদ গত ২৫/১১/২০২৩ তারিখে সোনালী ব্যাংক গোদাগাড়ী শাখা থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা পারিবারিক প্রয়োজনে চাকুরীর বেতন থেকে হিসাব নম্বর- ৪৬০৮৬৩৪০২০৯৪৪ ঋণ গ্রহন করার জন্য আবেদন করিলে ফরম দেওয়ার সময় ৮৩০ টাকা নেন এবং লোন স্যাংশন কারী কর্মকর্তা আশরাফ আলী বলেন যে, লোনের টাকা গ্রহন করার সময় আরও ১১৫০ টাকা প্রদান করিতে হইবে। কিন্তু আমি যেই দিন লোনের টাকা গ্রহন করেন সেদিন লোন স্যাংশন কারী কর্মকর্তা আশরাফ আলী ব্যাংক শাখায় অনুপস্থিত থাকায় ব্যাংক ম্যানেজার সাইফুল ইসলামের মাধ্যমে কাগজ পত্র ইস্যু করে ২০/১২/২০২৩ খ্রি: লোনের টাকা গ্রহন করেন।

পরবর্তিতে ১০/০১/২০২৪ তারিখে মাসিক লোনের কিস্তি কর্তন করে অবশিষ্ট বেতন উত্তোলন করিতে ব্যাংকে গেলে ব্যাংক হিসাব নম্বর বন্ধ করে রাখেন। এই ব্যাপারে ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগ করিলে তিনি লোন স্যাংশনকারী কর্মকর্তা আশরাফ আলীকে বিষয়টি সুরাহার জন্য নির্দেশ দেন। আশরাফ আলী (লোন স্যাংশনকারী কর্মচারী) শিক্ষক গোলাম শারওয়ার মুরশেদ নিকট হতে মেমো কপির মাধ্যমে পূর্বের চাওয়া ১ হাজার ৫০ টাকার পরিবর্তে ২ হাজার ৯৩৩ টাকা এবং পূর্বের ফরম দেওয়ার দিন ৮৩০ টাকাসহ মোট ৩ হাজার ৭৬৩ টাকা গ্রহন করেন। তিনি এসব অভিযোগের অনুলিপি বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ও দুর্নীতি দমন কমিশন রাজশাহী বরাবর প্রেরণ করেছেন।

এসব অভিযোগের বিষয়ে লোন স্যাংশন কারী কর্মকর্তা আশরাফ আলী বলেন, লোন প্রক্রিয়াকরণ ফি ও ১৫% ভ্যাট কর্তন বাবদ ২০১৩ টাকা, রেভিনিউ স্টাম্প বাবদ ৯২০ টাকা বাবদ মোট ২৯৩৩ টাকা খরচ নেওয়া হয়েছে যার মেমো দেওয়া হয়েছে। বাকী টাকা লোন প্রোসেসিং এর এমাউন্টের ০.৫ % টাকা, সিআইবি ইনকুয়ারী, এনআইডি ইনকুয়ারী ও অন্যকোন ব্যাংকে লোন আছে কিনা এসবের তদন্তর জন্য খরচ কাটার নিয়ম থাকায় তার কাছে এসব খরচ গুলো নেওয়া হয়েছে বলে জানান। তবে এই কর্মকর্তা আরও বলেন আমরা ১ হাজার ৫০ টাকাই নিয়ে থাকি কিন্তু যিনি ঋণ নিবেন তিনি এই টাকাটিও দিতে দিনে চান না। তাই নিয়ম অনুযায়ী কত টাকা নেওয়া যাই সেটাই নেওয়া হয়েছে বলে জানান।

এদিনে অন্যান্য বাংক গ্রাহকরা অভিযোগ করে বলেন, ব্যাংক ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম গোদাগাড়ীর স্থানীয় হওয়ায় দাপট দেখিয়ে কাজ করেন এবং গ্রাহকদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন।

এবিষয়ে জানতে গোদাগাড়ী সোনালী ব্যাংক শাখার ম্যানেজার সাইফুল ইসলামের সাথে একাধিকবার মুঠোফেনে যোগাযোগ করা হলেও ফোন রিসিভ করেন নি। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও কোন সাড়া না পাওয়ায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

শেয়ার করুন .....




© 2018 allnewsagency.com      তত্ত্বাবধানে - মোহা: মনিকুল মশিহুর সজীব
Design & Developed BY ThemesBazar.Com