বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন
অর্থনীতি ডেস্ক : সারাদেশে কাঁচামরিচের ক্ষেত নষ্ট হয়ে উৎপাদন কমেছে। বর্তমানে দেশীয় কাঁচা মরিচ বাজারে নেই বললেই চলে। উৎপাদন কমে যাওয়ায় চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে মরিচ আমদানি করা হচ্ছে। আর এই আমদানি করা কাঁচামরিচ নিয়ে দেশের বাজারে চলছে ব্যাপক কারসাজি। দুই দিনের টানা বর্ষণে দাম বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে ৩০০ থেকে ৪৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। কারওয়ান বাজারের মসজিদের সামনের কাঁচাবাজারে দোকানি রোমান মিয়া বলেন, একদিকে টানা ভারী বৃষ্টি অন্যদিকে পূজার ছুটির কারণে আমদানি বন্ধ থাকায় হঠাৎ সরবরাহ কমে গেছে কাঁচা মরিচের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে।
রোমান আরও জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৪৪০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করেছি। সর্বশেষ রাত ৯টার দিকে আধা কেজি মরিচ ১৫০ টাকায় বিক্রি করেছি। মোবারক হোসেন নামের ক্রেতা বলেন, বাজারে কাঁচা মরিচ নেই বললেই চলে। অনেক ঘুরাঘুরির পর ৩২০ টাকা কেজিতে ২৫০ গ্রাম মরিচ কিনেছি।
কৃত্রিম সংকট তৈরি করে আমদানি কাঁচা মরিচে ভোক্তাদের পকেট কেটে অতিরিক্ত মুনাফা লুটে নিচ্ছে একটি কারসাজি চক্র। গত ৭ দিন আগেও যে কাঁচা মরিচ ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে, গত তিনদিন থেকে তা হঠাৎ বেড়ে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় পৌঁছায়। বৃহস্পতিবার দিনভর রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এ নিয়ে চলেছে ব্যাপক কারসাজি।
কোনো বাজারে ভোক্তাদের জিম্মি করে ৩০০ থেকে ৪৪০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছে। স্বল্প সময়ের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দামে এত বেশি উঠানামায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা।
তারা বলছেন, বাজারে কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকায় ব্যবসায়ীরা কারসাজিতে লিপ্ত হয়ে সাধারণ ক্রেতাদের পকেট কাটছেন। এতে অনেকেই সহজে অতিরিক্ত মুনাফা লুটে নিচ্ছেন। বাজারে যথেচ্ছভাবে জিনিসপত্রের দাম হাঁকাচ্ছেন। বেকায়দায় পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। এমন অভিযোগের সত্যতা মিলেছে কাঁচা মরিচ আমদানিকারকদের বক্তব্যেও।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন বলেন, ভারত থেকে প্রতি কেজি মরিচ আমদানির পর সব খরচ মিলিয়ে বেনাপোল বন্দরে দাম দাঁড়ায় সর্বোচ্চ ৮০ টাকার মতো। আমরা ২-১ টাকা লাভেই তা বিক্রি করছি। কিন্তু মধ্যসত্ত্বভোগীরা কারসাজি করে অতিরিক্ত মুনাফা লুটছে। তিনি বলেন, এজন্য বাজারে মনিটরিং জোরদার করে কারসাজি বন্ধ করতে হবে সরকারকে।
ডেস্ক/এমএস