সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। ১৩ সদস্য বিশিষ্ট পুনর্গঠিত এই কমিটি রবিবার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে।
কমিটির সভাপতি হয়েছেন নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইব্রাহিম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মসিউল করিম বাবু। অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডা. মো. শফিক-উল-আলম ও গ্রিনভিউ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোকসানা আহমদকে কমিটির সহসভাপতি করা হয়েছে।
এছাড়া সদস্য হিসেবে যাদের নেয়া হয়েছে, তারা হলেনÑ বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. মফিজ উদ্দিন, শাহ নেয়ামতুল্লাহ কলেজের প্রভাষক মো. হুমায়ুন কবির, বালিয়াডাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মমতাজ মহল, সাংস্কৃতিক কর্মী ফাইজুর রহমান মানি, সাংবাদিক আজিজুর রহমান শিশির, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান মাসুম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ কামিল মাদরাসার শিক্ষক মো. আব্দুল মতিন, সমাজকর্মী আফসানা খাতুন, এনজিওকর্মী মেহেদি হাসান।
দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন স্বাক্ষরিত এক পত্রে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
ওই পত্রে বলা হয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ১৭ (ছ) ধারায় নির্ধারিত কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য ধারা ১৭(ট) এর বিধান অনুযায়ী দুর্নীতি প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে সততা ও নিষ্ঠাবোধ সৃষ্টি করা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণসচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষে কমিশন কর্তৃক বর্ণিত মনোনীত ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে “চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি” পুনর্গঠন করা হলো। এই কমিটির মেয়াদ হবে ৩ বছর।
এই কমিটি দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রচারণামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করবে। কর্মসূচির মধ্যে থাকবে- বক্তৃতা, বিতর্ক ও রচনা প্রতিযোগিতা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, কর্মশালা, মতবিনিময় সভা, আলোচনা সভা, পথসভা, মানববন্ধন, পদযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি। এছাড়া বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসসমূহে দুর্নীতি প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করবে, সকল প্রকার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আগত মানুষের মধ্যে দুর্নীতিবিরোধী মনোভাব গড়ে তোলার জন্য বিশেষ বক্তব্য প্রদানের কার্যক্রম গ্রহণ করবে; তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সততা ও নিষ্ঠাবোধ সৃষ্টি করা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণসচেতনতা গড়ে তোলার কার্যক্রমে তাদের সম্পৃক্ত করার উদ্দেশ্যে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে স্ব স্ব কর্ম এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানÑ স্কুল, মাদরাসা, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ইত্যাদিতে সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে “সততা সংঘ” প্রতিষ্ঠা করবে। কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে কমিশনের দিকনির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।